দীপ্ত স্টার হান্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কিশোরগঞ্জের মিষ্টি ঘোষ এবং বরিশালের সাকিব হোসেন। প্রথম রানার্সআপ যশোরের ফারিহা রহমান এবং বরিশালের শফিউল রাজ। দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছেন সিলেটের সানজিদা চৌধুরী এবং বরিশালের হাফিজ রহমান।
গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় দীপ্ত টিভিতে প্রচার হয়েছে দীপ্ত স্টার হান্টের গ্র্যান্ড ফিনালে। দীপ্ত স্টার হান্ট গ্র্যান্ড ফিনালের আয়োজনে ছিল টপ ৬ প্রতিযোগীর নাচ, কমেডি স্কিট এবং মিউজিক ম্যাশআপ পরিবেশন করেন সন্ধি, সভ্যতা ও কর্নিয়া।
এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন রিয়েলিটি শোর জুরি তারিক আনাম খান, শিহাব শাহীন এবং রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। দীপ্ত টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান, পরিচালক কাজী জাহিন হাসান, দীপ্ত টিভির সিইও তাসনুভা আহমেদ টিনা, চলচিত্র নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম, নির্মাতা অনিমেষ আইচ, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী এবং অন্যান্য অভিনয়শিল্পীগণ ও নাটক র্নিমাতাগণ। 

প্রতিযোগিতার শুরুতে অংশ নেন তিন হাজারের বেশি প্রতিযোগী। বাছাইপর্বের নানা ধাপ পেরিয়ে বিচারকমণ্ডলী বেছে নেন সেরা দশ প্রতিযোগীকে—শফিউল রাজ, হাফিজ রহমান, শাকিব হোসেন, শিমুল বিশ্বাস, এম এস এইচ লাবন, সানজিদা চৌধুরী, নূপুর আহসান, মিষ্টি ঘোষ, ফারিহা রহমান ও শেখ ফারিয়া হোসেন। গ্র্যান্ড ফিনালের কমেডি রাউন্ডে অংশ নেন এই ১০ জন। 
দুই বছরের বিশেষ চুক্তির মাধ্যমে বিজয়ীরা কাজের সুযোগ পাবেন সিনেমা, ওয়েব ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ ও টিভি সিরিজে। তাদের পরিচালনা ও প্রচারের দায়িত্বে থাকবে কাজী মিডিয়া লিমিটেড। সুপারস্টার হওয়ার পথে এটি তাদের জন্য হতে যাচ্ছে এক বড় পদক্ষেপ।

বিজয়ী শাকিব হোসেন বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ক্যামেরার পেছনে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে উঠে আসা শাকিব এরই মধ্যে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। অথচ অভিনয়ের প্রতি তেমন আগ্রহ না থাকা সত্ত্বেও দীপ্ত স্টার হান্টের ফেসবুক পোস্ট দেখে নিবন্ধন করেন তিনি।

প্রথম দিনেই নার্ভাস হয়ে সিরিয়াল মিস করেছিলেন, তবুও আত্মবিশ্বাসে ভর করে পৌঁছে যান সেরা দশে। শাকিব বলেন, ‘আমি জানি আমি সেরা। ছোটবেলা থেকে স্টেজে পারফর্ম করেছি, তাই নার্ভাস হইনি। ক্যামেরার পেছনের কাজের অভিজ্ঞতা আমার অনেক কাজে দিয়েছে। বড় জায়গায় নিজেকে দেখতে চাই, সামনে-পেছনে দুই জায়গাতেই নিজেকে প্রমাণ করতে চাই।’

অপর বিজয়ী মিষ্টি ঘোষ স্নাতকোত্তর শেষ করে ঢাকার একটি ফ্যাশন হাউসে ডিজিটাল বিপণন বিভাগে কাজ করছেন। প্রতিযোগিতার একটি রাউন্ডে খারাপ পারফর্ম করে বাদ পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিচারকদের বিশেষ বিবেচনায় ফিরে আসেন। সেই প্রত্যাবর্তনেই বাজিমাত। তিনি বলেন, ‘আশা করিনি। ফিরে আসার পর প্রচণ্ড চাপ ছিল। আমার ওপর বিশ্বাস রেখেই আবার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সবাই এত ভালো করছিল, তাই চ্যাম্পিয়ন হতে পারব কি না, বুঝে উঠতে পারছিলাম না। যখন আমার নাম ঘোষণা হলো, তখন সত্যিই বিশ্বাস করতে পারিনি—আমি চ্যাম্পিয়ন!’ 
 
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরায় বিএনপি ও যুবদলের ৩ নেতাকর্মী বহিষ্কার

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি ও যুবদলের তিন নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতউল্লাহ পলাশ ও সদস্য সচিব আবু জাহিদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলা সদর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মোতালেব হোসেন খাঁ, শ্যামনগর পৌর বিএনপির সার্চ কমিটির সদস্য মফিজুর রহমান মফু ও বিএনপি কর্মী সলতে বাবু।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে সারজিসের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা 

শিবচরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির ওপর হামলা, আহত ২৫

বহিষ্কারের চিঠিতে বলা হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যার অংশ হিসেবে গত ২৫ জুলাই শ্যামনগর উপজেলার ওয়ার্ড কাউন্সিল চলার সময়ে ভোট প্রদানে বাধাদানসহ ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচারণের পাশাপাশি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। যে কারণে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপরাধে উক্ত তিনজনকে সাময়িকভাবে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতউল্লাহ পলাশ বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দলকে ভালোবাসলে দলের নীতি ও আদর্শ মেনে চলতে হবে।”

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই ওয়ার্ড কউন্সিলকে ঘিরে শ্যামনগরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে ওয়ার্ডের কাউন্সিল অধিবেশন বন্ধ করে দেন জেলা বিএনপির নেতারা।

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ