ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটির হয়ে খেলতেন বাংলাদেশের হামজা চৌধুরী। কাগজে কলমে এখনও তিনি ফক্সদের খেলোয়াড় তবে ধারে খেলছেন শেফিল্ড ইউনাইটেড। এই শেফিল্ড আবার বর্তমানে খেলছে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বিভাগ ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশীপে। তবে প্রিমিয়ার লিগে ফেরার খুব কাছাকাছি আছে তারা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফ ফাইনালের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে হামজার দল। এই রাতে শেফিল্ড সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে ব্রিস্টল সিটির বিপক্ষে।

লিডস এবং বার্নলির সরাসরি প্রমোশন পেয়ে প্রিমিয়ার লিগে উঠে যায়। ক্রিস ওয়াইল্ডারের শেফিল্ড চ্যাম্পিয়নশীপে তৃতীয় স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করেছে। অ্যাশটন গেটে দুর্দান্ত সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে দাপুটে পারফরম্যান্সের পর, মাত্র এক বছরের ব্যবধানে আবারও শীর্ষ স্তরে ফেরার আশায় বুক বাঁধছে ব্লেডসরা।

শেফিল্ড যেখানে কয়েক সপ্তাহ আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করে রেখেছিল, সেখানে ব্রিস্টল শেষ দিনের নাটকীয়তায় টপ সিক্সে জায়গা করে নেয় বার্নলির কাছে হেরে যাওয়ার পর। নিয়মিত মৌসুমে ২২ পয়েন্টের ব্যবধান ছিল এই দুই দলের মাঝে, আর সেটাই মাঠে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শেফিল্ড ছিল অনেক বেশি শক্তিশালী।

প্রথমার্ধের ঠিক আগে পেনাল্টি থেকে হ্যারিসন বুরোস শেফিল্ডকে এগিয়ে দেন। ম্যাচের শেষ দিকে বদলি হিসেবে নামা আন্দ্রে ব্রুকস এবং ক্যালাম ও'হেয়ার দুইটি গোল করে ব্যবধান আরও বাড়ান। সোমবার ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল। অন্য সেমিফাইনালের প্রথম লেগে শুক্রবার কোভেন্ট্রিকে তাদের মাঠেই ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে সান্ডারল্যান্ড।

হামজা এখন পর্যন্ত লেস্টারের জার্সিতে ১৩১টি ম্যাচ খেলেছে। যার মাঝে ৯১টি ছিল প্রিমিয়ার লিগে। তবে এত দীর্ঘ সময়ে (৬ মৌসুম) মাত্র ৯১টি ইপিএল ম্যাচে ২৫৯৩ মিনিট খেলার সুযোগ হয়েছিল হামজার। তবে আশা করা যাচ্ছে শেফিল্ড প্রিমিয়ার লিগে গেলে তারা হামজাকে পাকাপাকিভাবে নিতে চাইবে। সেক্ষেত্রে ইপিএলে প্রতি মৌসুমেই যথেষ্ট পরিমাণ সময় মাঠে খেলার সুযোগ পাবেন হামজা।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ইন ল র ব যবধ ন প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আজ সোমবার সংগঠনের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই বিদেশি সংস্থার হাতে দেওয়া যাবে না।

বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক শক্তির প্রাণকেন্দ্র বন্দর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা শক্তির হাতে ব্যবস্থাপনাগতভাবে স্থানান্তর করার যেকোনো উদ্যোগ রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কৌশলগত স্থাপনা পরিচালনার নামে কোনো বিদেশি আধিপত্য, বিশেষ সুবিধা বা গোপন চুক্তি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসংগত ও অগ্রহণযোগ্য।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জনগণের অগণিত ত্যাগ ও শ্রমে গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম বন্দর–সম্পর্কিত যেকোনো সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, জন আস্থার প্রতি সম্মান এবং রাষ্ট্রীয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে গ্রহণ করতে হবে। জনগণের অজান্তে বা গোপন আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে দেশের সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি। জাতীয় সম্পদ রক্ষার প্রশ্নে কোনো শিথিলতা, সমঝোতা বা বিদেশি চাপ গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের, দেশেরই থাকবে। এটি রক্ষায় প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নাগরিক সতর্কতা ও গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত রয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ