স্মার্টফোনে কী ভাইরাস ঘুরছে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ
Published: 10th, May 2025 GMT
বাসা বা দপ্তরে ব্যবহৃত কম্পিউটারে ভাইরাস বা ম্যালওয়ারের আক্রমণ হতে পারে কারণ ছাড়াই। স্মার্ট ডিভাইসে হুটহাট ভাইরাস ঢুকে পড়ার কথা কমবেশি সবারই জানা; দ্রুত যা ভয়ংকর হয়ে যেতে পারে। সক্রিয় এমন বেশ কিছু ম্যালওয়ারের সরব উপস্থিতি নেটিদুনিয়ায় সব সময়ই দৃশ্যমান হয়; যার উপস্থিতি শুধু পিসিতে নয়, স্মার্টফোনও যার লক্ষ্য।
নতুন করে দুশ্চিন্তার কারণ, একবার আক্রমণের সফল হলে ক্ষতি হবে নিশ্চিত। তাই স্মার্টফোন ব্যবহারে যথাযথ সাবধানতার আপতত কোনো বিকল্প দেখছেন না প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। ব্যক্তিগত তথ্য চুরির সঙ্গে ফোনে ধীরগতি, দ্রুত ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়া, গরম হয়ে যাওয়ার পেছনে কাজ করে বহুল আলোচিত তিনটি সুপারম্যালওয়ার। উল্লিখিত ম্যালওয়ার থেকে থাকতে হবে সতর্ক। যেমন– ডার্কগেট, ইমোটেট ও লোকিবট। নামে কিউট হলেও ম্যালওয়ার তিনটি কী পরিমাণ ক্ষতিকর তা শুধু ভুক্তভোগী উপলব্ধি করেছেন।
ইন্টারনেটের রঙিন দুনিয়ায় যেন আতঙ্ক ছড়াতে কাজ করছে উল্লিখিত তিনটি ছাড়াও হাজারো সুপারম্যালওয়ার। অসতর্কতার সুযোগে মুহূর্তে ডিভাইসে ক্ষতি করছে ম্যালওয়ারের আক্রমণ। প্রতিনিয়ত ঘটছে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, আর্থিক ক্ষতি বা সামাজিক সম্মানহানির মতো ঘটনা।
রাশিয়ান বহুজাতিক সাইবার নিরাপত্তা ও অ্যান্টিভাইরাস সেবাদাতা ক্যাসপারস্কি প্রকাশিত রিপোর্টে বিশেষ তিনটি সুপারম্যালওয়ারের কথা বলেছে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য (ডেটা) চুরি করার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সুপারম্যালওয়ারের হাত থেকে বাঁচতে হলে তাদের গতিপ্রকৃতির বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।
সাধারণত ম্যালওয়ার আক্রমণের কারণে স্মার্টফোনে প্রথমেই ধীরগতি দৃশ্যমান হয়। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া ডিভাইসের চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যায়, ডিভাইস দ্রুত গরম হয়ে যায়। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অতিরিক্ত গরম হতে পারে ডিভাইসটি। উল্লিখিত বিষয়ের যে কোনোটি ঘটলে ডিভাইসের নিরাপত্তায় মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। অসতর্ক হলে ঘটবে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম য লওয় র র
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।