বাসা বা দপ্তরে ব্যবহৃত কম্পিউটারে ভাইরাস বা ম্যালওয়ারের আক্রমণ হতে পারে কারণ ছাড়াই। স্মার্ট ডিভাইসে হুটহাট ভাইরাস ঢুকে পড়ার কথা কমবেশি সবারই জানা; দ্রুত যা ভয়ংকর হয়ে যেতে পারে। সক্রিয় এমন বেশ কিছু ম্যালওয়ারের সরব উপস্থিতি নেটিদুনিয়ায় সব সময়ই দৃশ্যমান হয়; যার উপস্থিতি শুধু পিসিতে নয়, স্মার্টফোনও যার লক্ষ্য।
নতুন করে দুশ্চিন্তার কারণ, একবার আক্রমণের সফল হলে ক্ষতি হবে নিশ্চিত। তাই স্মার্টফোন ব্যবহারে যথাযথ সাবধানতার আপতত কোনো বিকল্প দেখছেন না প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। ব্যক্তিগত তথ্য চুরির সঙ্গে ফোনে ধীরগতি, দ্রুত ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়া, গরম হয়ে যাওয়ার পেছনে কাজ করে বহুল আলোচিত তিনটি সুপারম্যালওয়ার। উল্লিখিত ম্যালওয়ার থেকে থাকতে হবে সতর্ক। যেমন– ডার্কগেট, ইমোটেট ও লোকিবট। নামে কিউট হলেও ম্যালওয়ার তিনটি কী পরিমাণ ক্ষতিকর তা শুধু ভুক্তভোগী উপলব্ধি করেছেন।
ইন্টারনেটের রঙিন দুনিয়ায় যেন আতঙ্ক ছড়াতে কাজ করছে উল্লিখিত তিনটি ছাড়াও হাজারো সুপারম্যালওয়ার। অসতর্কতার সুযোগে মুহূর্তে ডিভাইসে ক্ষতি করছে ম্যালওয়ারের আক্রমণ। প্রতিনিয়ত ঘটছে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, আর্থিক ক্ষতি বা সামাজিক সম্মানহানির মতো ঘটনা।
রাশিয়ান বহুজাতিক সাইবার নিরাপত্তা ও অ্যান্টিভাইরাস সেবাদাতা ক্যাসপারস্কি প্রকাশিত রিপোর্টে বিশেষ তিনটি সুপারম্যালওয়ারের কথা বলেছে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য (ডেটা) চুরি করার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সুপারম্যালওয়ারের হাত থেকে বাঁচতে হলে তাদের গতিপ্রকৃতির বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।
সাধারণত ম্যালওয়ার আক্রমণের কারণে স্মার্টফোনে প্রথমেই ধীরগতি দৃশ্যমান হয়। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া ডিভাইসের চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যায়, ডিভাইস দ্রুত গরম হয়ে যায়। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অতিরিক্ত গরম হতে পারে ডিভাইসটি। উল্লিখিত বিষয়ের যে কোনোটি ঘটলে ডিভাইসের নিরাপত্তায় মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। অসতর্ক হলে ঘটবে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম য লওয় র র

এছাড়াও পড়ুন:

চল্লিশের পর তারুণ্য ধরে রাখতে যে পুষ্টি দরকার

বয়স ৪০ পেরোনোর পর থেকেই শরীরে নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। হরমোনের ওঠানামা, শক্তির ঘাটতি, হাড়ে ব্যথা, কিংবা মনোযোগ কমে যাওয়ার মতো বিষয় ঘটে। বয়স বাড়লেও প্রাণশক্তি ধরে রাখা সম্ভব, যদি আমরা প্রতিদিনের খাবার নিয়ে একটু সচেতন হই। পুষ্টি শুধু রোগপ্রতিরোধে নয়, শরীরের প্রতিটি কোষের পুনর্গঠন, মানসিক ভারসাম্য ও তারুণ্য ধরে রাখারও মূল চাবিকাঠি।

অস্থিসন্ধি ও হাড়ের যত্নে সঠিক খাবার

ইলিশ, রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, সামুদ্রিক মাছ, ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ।

দুধ, টক দই, পনির, ছানা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি জোগায়।

হলুদ ও আদা রান্নায় নিয়মিত ব্যবহার করলে প্রদাহ কমে।

তিল, চিনাবাদাম, বাদাম, চিয়া সিড, তিসির বীজ অস্থিসন্ধিতে ভালো ফ্যাট সরবরাহ করে।

পালংশাক, লালশাক, কলমিশাক, পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়ার পাতা হাড়ের জন্য চমৎকার।

ডিমে প্রোটিন ও ভিটামিন ডি উভয়ই আছে। তাজা মাছের তেল বা শর্ষের তেল বেশ উপকারী।

খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার

সম্পর্কিত নিবন্ধ