আগামী দিনগুলোতে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আজ রোববার সকালে ক্রেমলিনে দেওয়া এক বক্তব্যে পুতিন এ প্রস্তাব দেন। তবে ইউরোপীয় নেতাদের দেওয়া ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা গতকাল শনিবার কিয়েভে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়।

তবে ১৫ মে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে গতকাল কিয়েভ এবং ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডের নেতারা এক বৈঠকে আগামীকাল সোমবার থেকে রাশিয়ার প্রতি ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় কিয়েভে এ বৈঠক হয়েছে বলে বিভিন্ন খবরে উঠে এসেছে।

পুতিন বলেন, ‘আমরা কিয়েভ সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা ২০২২ সালে যে আলোচনা ভেঙে দিয়েছিল, তা যেন আবার শুরু করে। আর আমি জোর দিয়ে বলছি—(এ আলোচনা হবে) কোনো শর্ত ছাড়াই।’

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের শুরুর দিকে ইস্তাম্বুলে দেশ দুটির মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হয়, কিন্তু যুদ্ধ বন্ধে কেউই সম্মত হয়নি। এর পর থেকে তিন বছরের বেশি সময় ধরে এ যুদ্ধ চলছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘১৫ মে ইস্তাম্বুলে আলোচনা শুরুর প্রস্তাব দিচ্ছি আমরা।’ আলোচনার আয়োজনে সহায়তা চাইতে শিগগিরই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলেও জানান পুতিন।

পুতিন আরও বলেন, তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চলমান সংঘাতের মূলোৎপাটন করতে ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি কথা বলতে চান।

মস্কো যেসব বিষয়কে ‘সংঘাতের মূল কারণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের পশ্চিমাঘেঁষা কৌশলগত অবস্থান, ন্যাটোতে যোগদানের চেষ্টা, পূর্ব ইউক্রেনের রুশভাষীদের নিরাপত্তার মতো বিষয়। মস্কোর এ দাবিকে পশ্চিমা দেশগুলো ও কিয়েভ বরাবরই অগ্রহণযোগ্য বলে আসছে। তাদের ভাষায়, রাশিয়ার সামরিক অভিযান মূলত তার সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আলোচনা চলাকালে আমরা একটি নতুন যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছি না।’

২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তিন বছর পার হলেও ইউক্রেনে হামলা বন্ধের কোনো ইঙ্গিত দেয়নি দেশটি। গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও কিয়েভের পক্ষ থেকে দেওয়া যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল রাশিয়া। মস্কো আগেই সতর্ক করে বলেছিল, পশ্চিমা দেশগুলো যদি কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ না করে, তবে কোনো যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নেই।

আরও পড়ুনবিজয় দিবসে কুচকাওয়াজে পুতিনের পাশে সি, ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রসহ নানা অস্ত্রের মহড়া০৯ মে ২০২৫

ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড এখন রাশিয়ার দখলে। ২০১৪ সালে দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপও এর মধ্যে রয়েছে। চলতি বছর বসন্তে ইউক্রেনে হামলা আরও জোরদার করে রাশিয়া।

আরও পড়ুনপুতিনের প্রতি ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান ইউরোপের নেতাদের১১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনইউক্রেনে প্রতি বর্গকিলোমিটার দখল করার দাম দাঁড়াচ্ছে ২৭ রুশ সেনার প্রাণ০৬ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র প রস ত ব দ

এছাড়াও পড়ুন:

যে পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি কমল

আজ বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস। শেয়ারবাজারের লেনদেন শেষ হয়েছে। গতকাল বুধবারের মতো আজও ৪০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে শেয়ারবাজারে। আজ মোট ৪৭৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এখন দেখা যাক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোন পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারের দাম আজ সবচেয়ে বেশি কমেছে।

১. এফএএস ফাইন্যান্স

ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে দেখা যাচ্ছে, আজ সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে এফএএস ফাইন্যান্সের। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গতকাল দিন শেষে এই শেয়ারের দাম ছিল ৩ টাকা। আজ দিন শেষে শেয়ারটির দাম হয়েছে ২ দশমিক ৮ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

২. ফারইস্ট ফাইন্যান্স

দাম কমার দিক থেকে আজ দ্বিতীয় স্থানে আছে ফারইস্ট ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড। আজ দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমে হয়েছে ৩ দশমিক ৪ টাকা। গতকাল দিন শেষে শেয়ারটির দাম ছিল ৩ দশমিক ৬ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৬ সালে ৫ শতাংশ এবং ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

৩. ফ্যামিলি টেক্স

তৃতীয় স্থানে আছে ফ্যামিলি টেক্স। এই কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। গতকাল দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ২ দশমিক ৪ টাকা এবং আজ তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৩ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৮ ও ২০১৭ সালে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে।

৪. ঢাকা ব্যাংক

দাম কমার দিক থেকে আজ চতুর্থ স্থানে আছে ঢাকা ব্যাংক। আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গতকাল দিন শেষে এ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ১০ দশমিক ৬ টাকা। আজ দিন শেষে শেয়ারের দাম কমে হয়েছে ১০ দশমিক ২ টাকা। কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ নগদ এবং ২০২২ সালে ৬ শতাংশ নগদ ও ৬ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে।

৫. ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল

দাম কমার দিক থেকে পঞ্চম স্থানে থাকা ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়ালের শেয়ারের দাম কমেছে ২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আজ দিন শেষে এ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে হয় ৪ দশমিক ২ টাকা। গতকাল দিন শেষে শেয়ারটির দাম ছিল ৪ দশমিক ৩ টাকা। কোম্পানিটি ২০২২ সালে ৬ শতাংশ, ২০২১ সালে ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভিআইপি এলে লিফট চলে
  • সন্তান ফিরে পেতে এক মায়ের লড়াই
  • অনলাইন: শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষ পাঁচ কোম্পানি
  • যে পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি কমল
  • পদ্মা সেতুর ৩ বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার টোল আদায়
  • পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপার দুই কোটি যানবাহন, আয় আড়াই হাজার কোটি টাকা
  • সাত ক্যাচের চারটি ফেলেছেন জয়সোয়াল, যা বললেন গিল
  • সীতাকুণ্ডে বনাঞ্চল কেটে গড়ে ওঠা জাহাজভাঙা কারখানা উচ্ছেদ
  • চুয়াডাঙ্গায় শিশু ধর্ষণের পৃথক দুটি মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন