ঢাকায় গ্রেপ্তার সাবেক এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জে যত মামলা
Published: 13th, May 2025 GMT
মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর-হরিরামপুর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জের দুই থানায় হত্যাসহ দুটি মামলা আছে। এর মধ্যে সিঙ্গাইর থানায় হত্যার অভিযোগে এবং হরিরামপুর থানায় হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি তিনি।
মমতাজ বেগম দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আছেন। তিনি ২০০৯ সালে প্রথমবার সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি মনোনীত হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হন। তবে সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদের কাছে পরাজিত হন। এর পর থেকে তিনি নির্বাচনী এলাকায় যাতায়াত কমিয়ে দেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির স্টার কাবাবের পেছনের একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে ঢাকার একটি আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার কয়েকটি থানায় হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁকে একটি হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
নির্বাচনী এলাকায় দুই মামলা
প্রায় এক যুগ আগে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে হরতালের মিছিলে গুলিতে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় গত ২৫ অক্টোবর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মো.
মামলায় সংক্ষিপ্ত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি হরতালের সমর্থনে মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর-হেমায়েতপুর সড়কের গোবিন্দল নতুন বাজার এলাকায় মিছিল বের করেন ইসলামী সমমনা দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। এতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বাদীর ছেলে নাজিম উদ্দিন মোল্লাসহ চারজন নিহত হন। নিহত অন্য তিনজন হলেন গোবিন্দল গ্রামের মাওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন ও শাহ আলম।
মামলার বিষয়ে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম বলেন, হত্যা মামলার বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মামলার প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।
মমতাজের নির্বাচনী এলাকা হরিরামপুর থানায় মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা আছে। গত ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন মামলাটি করেন। মামলায় মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগের ৮৬ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ৩০ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানের উপজেলার বয়ড়া গ্রামের বাসভবনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বক্তব্য চলাকালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা করেন। এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মুমিন খান বলেন, মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি এখনো তদন্তাধীন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ মমত জ ব র উপজ ল ব এনপ র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন করতে কানাডা যাচ্ছেন সিইসি
কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে ২৮ আগস্ট কানাডা যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রবাসী ভোটারদের সঙ্গে একটি সভায়ও অংশ নেবেন তিনি।
সরকারি এক আদেশে এ সফরের সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. লুৎফুল কবির সরকার তাঁর সফরসঙ্গী হবেন। সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো টরন্টো ও অটোয়ায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানগুলোতে যোগদান এবং কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের সূচনা করা।
সিইসি ২৬ আগস্ট অথবা তার কাছাকাছি সুবিধাজনক কোনো তারিখে ঢাকা থেকে কানাডার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সেখানে ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া, সুবিধা এবং বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য ও দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
সফর শেষে সিইসি ৪ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে ব্যক্তিগত ছুটিতে থাকবেন। এই ছুটির অতিরিক্ত সময়ের সব খরচ তিনি নিজে বহন করবেন। ৮ সেপ্টেম্বর তাঁর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন কানাডায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের এই উদ্যোগকে প্রবাসীদের ভোটাধিকারে অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। পাশাপাশি এটি ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা প্রকাশ করছে।