নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেফতারের সময় পুলিশের সরকারি কাজে বাধাপ্রদান, পুলিশের উপর চড়াও হওয়া এবং তার বাড়িতে সাড়ে ছয় ঘণ্টা পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার (১৩ মে) রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার দারোগা রিপন মৃধা বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় নাম ‍উল্লেখ করা ৫২ আসামি হলো- ০১। শফিকুল ইসলাম বাবু (৪৭) সভাপতি, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নারায়ণগঞ্জ সদর থানা, পিতা-মৃত খালেদ সরদার, সাং-সৈয়দপুর বড় বাড়ী, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ০২। কামরুল হুদা বাবু (৫২) ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জ যুবলীগের সহ-সভাপতি, পিতা- মৃত ডা: নুরুল হুদা, সাং-আরামবাগ, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ০৩। শফিকুল ইসলাম লিটন (৫৮), পিতা-মৃত আমিনুল ইসলাম, সাং-৩৯৭ আলী আহমেদ চুনকা সড়ক, থানা ও জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ০৪। মাইনউদ্দিন আহম্মেদ রাসেল রাসেল কন্ট্রাকটার (৪৮) পিতা-নুরউদ্দিন আহম্মদ, সাং-৩৭ নং কদমরসুল রোড নবীগঞ্জ, থানা-বন্দর, জেলা-নরায়ণগঞ্জ। ০৫। কবির হোসেন (৪৭) পিতা- মৃত ফরিদ হোসেন, সাং-কদম রসুল বড় বাড়ি, থানা- বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ০৬। জামির হোসেন রনি (৪১) পিতা- অজ্ঞাত, সাং-তামাকপট্টি, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ০৭। মোতালেব হোসেন মাস্টার (৫০) পিতা-মৃত আব্দুল মান্নান, সাং-কাইতাখালি, থানা- বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ০৮। আজিম (৫৫) পিতা- অজ্ঞাত, সাং- ১নং বাবুরাইল ভিবাহাসান এর বাড়ীর পাশে, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ০৯। আলিনুর সুমন (৪৭) পিতা- অজ্ঞাত, সাং-দেওভোগ মেয়রের বাড়ীর সামনে, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ১০। শামীম তালুকদার (৫০), যুবলীগ নেতা, পিতা-আলাউদ্দিন, শাসন গাও, এনায়েতনগর ইউনিয়ন, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ১১। গোলাম সরোয়ার শুভ (৪৫), পিতা-মৃত জনু মিয়া, সাং-হৃদয় প্লাজা মর্গ্যান স্কুলের সামনে দেওভোগ পাক্কা রোড। ১২। ফারুক (৫৫), পিতা-মৃত - আমিনুল ইসলাম, সাং-৩৯৭ আলী আহমেদ চুনকা সড়ক, থানা ও জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ১৩। মুকুল (৪১), পিতা-মৃত আমিনুল ইসলাম, সাং-৩৯৭ আলী আহমেদ চুনকা সড়ক, থানা ও জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ১৪। চঞ্চল (৪০), পিতা-মৃত জনু মিয়া, সাং-হৃদয় প্লাজা মর্গ্যান স্কুলের সামনে দেওভোগ পাক্কা রোড। ১৫। আছিয়া খানম সুমী (৪৫), স্বামী-সোহরাব, সাং-দেওভোগ পানির টাংকির সাথে, থানা-নারায়নগঞ্জ সদর। ১৬। পলাশ (৪৫) পিতা-আ: কদ্দুস আজাদ, সাং-শহীদ নগর ২নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর, জেলা-নারায়ণঞ্জ। ১৭। হানিফ (৪০), পিতা-কাসেম, সাং-শহীদ নগর ১ নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়নগঞ্জ সদর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ১৮। সুধীর (৫২), পিতা-চান মিয়া, সাং-শহীদ নগর ১নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়নগঞ্জ সদর, জেলা-নার ১৯। শাকিল (২৮), পিতা- হায়দার আলী, সাং-শহীদ নগর ১নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়নগঞ্জ সদর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২০। মো: জাহাঙ্গীর আলম বেপারী (৫২) পিতা- জয়নাল আবেদীন, সাং-জালকুড়ি জুটপট্টি, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২১। রাসেল (৪২), মৃত হাজী সাত্তার, ডিয়ার সাং-শহীদ নগর ১ নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়নগঞ্জ সদর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২২। শামীম (৪৮) পিতা- মৃত আওলাদ, সাং-শহীদ নগর মেম্বার গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২৩। মাহমুদা (৩৮) স্বামী- শওকত মিঠুন, সাং-শহীদ নগর ১নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২৪। শওকত মিথুন (৪৩) পিতা- আ: হাই, সাং-শহীদনগর ১নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২৫। সাদ্দাম সানি (৩৫) পিতা- নাজিম উদ্দিন, সাং-শহীদ নগর ১নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২৬। রতন প্রধান (৪০) পিতা- কাদির প্রধান, সাং-শহীদ নগর ২নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২৭। মাহিন, পিতা- নজরুল, সাং-জে রোড, ওয়ার্ড নং-২৩, নবীগঞ্জ, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২৮। রুমেল (৪৭) পিতা- মৃত জামাল মাতাব্বর, সাং-শহীদ নগর ২নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ২৯। জিসান (২৮) পিতা- হানিফ, সাং-শহীন নগর ১নং গলি ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩০। সাইফুল ইসলাম (৫১) পিতা- বাচ্চু মিয়া, সাং-শহীদ নগর মেম্বার গলি, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩১। আরাফাত (২২) পিতা-মৃত সালাউদ্দিন, সাং-শহীদনগর ১নং গলি, ১৮ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩২। শিপলু সাদিক (শিপলু বাবু) (৫০) পিতা- মো: মিজানুর রহমান, সাং-শহীদ নগর, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩৩। রাতুল (৩৪) পিতা- বাদশা সরদার, সাং-দেওভোগ সরদার বাড়ী, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩৪। মিঠু (৫২) পিতা- গিয়াস উদ্দিন, সাং-দেওভোগ মোড়ের পুরাতন বাড়ী সংলগ্ন, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩৫। শফি উদ্দিন প্রধান (৫৩) পিতা- মৃত সাহাবুদ্দিন প্রধান, সাং-ডিএন রোড নন্দি পাড়া, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩৬। মাথিন, পিতা- মৃত রমিজ উদ্দিন মোল্লা, সাং-পশ্চিম দেওভোগ লিচুবাগ, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ ৩৭। ওভি (২৯) পিতা- মৃত দিলিপ মিয়া, সাং- দেওভোগ, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩৮। রনি ওরফে মুরগি রনি (৩০), পিতা- অজ্ঞাত (দুধওয়ালা), সাং-খিল মার্কেট, কাশিপুর, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৩৯। রনি (৪১), পিতা-জয়নাল, সাং-নিতাইগঞ্জ মাইচ্ছাপাড়া বাজার, থানা- থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৪০। মো: নয়ন (২৯) পিতা- মো: মোক্তার আলী, মাতা-আছমা বেগম, সাং-বাড়ীর টেক মসিনাবন্দ, থানা- নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৪১। রনি, পিতা- মৃত ভাসা মিয়া, সাং- ২নং বাবুরাইল, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৪২। মো: শাহজাহান (৩৭) পিতা-মোঃ মনছুর আলী, সাং-৪৪ বাড়ীর টেক সৈয়দপুর, থানা- নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৪৩। ইমরান দেওয়ান, পিতা- ফয়েজ মোল্লা, সাং-বউ বাজার, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৪৪। রিফাত সরদার, পিতা- মৃত নান্নু সরদার, সাং- দেওভোগ সরদার বাড়ী, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৪৫। সিদ্দিক মিয়া, পিতা- আমির আলী সাদ, সাং-ইসদাইর বাজার, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৪৬। আবুল বাশার বাসেদ (৫০) পিতা- মৃত নুর মোহাম্মদ খান, সাং-ডিএন রোড নন্দি পাড়া, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৪৭। খোকন ভেন্ডার, পিতা- নসু মিয়া, সাং-মাইরপরশ পাড়া, নবীগঞ্জ, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৪৮। সজল ওরফে কান কাটা সজল (৪৫) পিতা- মৃত সোবাহান মিয়া, সাং-নয়াপাড়া পাইকপাড়া ১৭ নং ওয়ার্ড, থানা- নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ।  ৪৯। রতন সিকদার, পিতা- মৃত আ: রাজ্জাক, সাং-সৈয়দপুর কড়ইতলা, গোগনগর থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৫০। মো: রফিক পাগলা, পিতা- অজ্ঞাত, সাং-সোনারকান্দা হাজীপুর ২০ নং ওয়ার্ড, থানা- বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। ৫১। রাসেল, পিতা- হরমুজ আলী, সাং-খানপুর মেইন রোড, (এ্যামিলির বাড়ীর পিছনের বাড়ী) ১২ নং ওয়ার্ড, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৫২। ইমরান (৩২) পিতা- মৃত বারেক, সাং-সুকুম পট্টি, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০/২০০ জন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ০৮-০৫-২০২৫ইং তারিখ রাত্র অনুমান ২২.

৪০ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন ১৫৭ পশ্চিম দেওভোগস্থ ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীর বাসায় উপস্থিত হয়ে ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী-কে আইনানুগ গ্রেফতার করতে গেলে ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীর সমর্থিত লোকজন আইনানুগ গ্রেফতারে বাধা প্রদান করে এবং তার বাসার সামনে চারপাশের রাস্তায় ট্রাক দিয়ে বালি ফেলে এবং বাঁশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে এবং পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

পুলিশ গ্রেপ্তারের জন্য যাওয়ার পর পর আইভী সমর্থক আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীগণ বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ও বিভিন্ন মাধ্যমে আইভির গ্রেপ্তারের বিষয়ে ঘোষণা দিলে স্থানীয় নারীপুরুষসহ আইভির সমর্থিত আরো লোকজন নারীপুরুষ জড়ো করে। উল্লিখিত বিবাদীগণ পুলিশকে আইনানুগ গ্রেপ্তারে বাধা প্রদান করতে থাকে এবং আইভির গ্রেপ্তার বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।

পুলিশ ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে অপেক্ষা করতে থাকে। ইং ০৯/০৫/২০২৫ তারিখ ০৫.৪৫ ঘটিকার সময় ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীকে পুলিশ গ্রেপ্তারপূর্বক আইনানুগ হেফাজেতে নিয়ে সরকারি পিকআপে উঠিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে।

পথিমধ্যে পুলিশ বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও উল্লিখিত বিবাদীগণ মিছিল সহকারে বিভিন্ন উত্তেজনাকর শ্লোগান দিয়ে আইভিকে বহনকারী গাড়ী চলাচলে বাধা প্রদান করতে থাকে ইং ০৯/০৫/২০১৫ তারিখ সকাল আনু: ০৬.২০ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন কালির বাজারস্থ কাচা বাজারের পশ্চিম পাশে গলা চিপা রাস্তার সামনে বিবি রোডস্থ পাকা রাস্তায় পৌছামাত্র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীর সমর্থক, আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা আইভীকে আইনানুগ গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশকে বাধা প্রদান করে পুনরায় ব্যারিকেড দেয়।

পুলিশ বাধা দিলে উল্লিখিত বিবাদীগণ আইভিকে বহনকারি পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে উক্ত স্থানে উপস্থিত কর্তব্যরত পুলিশের এসআই (নি:) মিলন কুমার হালদার মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হন, এসআই মুহাম্মদ খাইরুল বাশার-১ হাতে জখম, কনস্টবল ৭১১ জহিরুল ইসলাম কপালের বামপাশে গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হন। পুলিশ অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দ্রুত গ্রেফতারকৃত আসামী সেলিনা হায়াত আইভী-কে নিরাপদে জেলা গোয়েন্দা শাখায় নিয়ে যায়।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স আইন ন গ গ র হ য় ত আইভ ল ইসল ম উল ল খ র স মন সমর থ আইভ র আইভ ক র সময় সরদ র

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালকদের হামলা, আহত ১০

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভবনে হামলা চালিয়েছেন ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালকেরা। এ ঘটনায় সিটি কর্পোরেশনের স্টাফসহ অন্তত দশজন আহত হয়েছেন। এসময় প্রায় দেড় ঘন্টা নগরভবন অবরুদ্ধ করে রাখেন হামলাকারীরা। সোমবার (১২ মে) দুপুরে নগর ভবনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এ সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নগর ভবনের ভেতরে ঢুকে ব্যাপক হামলা ও ভাংচুর চালায়৷ সিটি করপোরেশনের স্টাফরা হামলাকারীদের বাধা দিতে আসলে তাদের উপরো হামলা চালায় তারা। এসময় তাদের পিটিয়ে, কুপিয়ে আহত করেন অটোচালকরা।

হামলায় গুরুতর আহতরা হলেন- সিটি করপোরেশনের সুপারভাইজার সম্রাট ইসলাম, যানজট নিরসন কর্মী শাওন, লিটন, পলাশ।

এর আগে গ্রীন এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জের অংশ হিসেবে ও শহরে যানজট নিরসনে মূল শহরে অটোরিকশা চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ করে জেলা প্রশাসন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। শহরের প্রবেশ পথগুলোতে অনুমোদন হীন অটোরিকশা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এদিকে বিগত কয়েকমাস যাবৎ শহরে অবাধ প্রবেশাধিকার চেয়ে আন্দোলন করছিল অটোরিকশা চালকেরা। এর আগে চাষাঢ়ায় সড়ক অবরোধ ও নগরভবন ঘেরাওয়ের মত কর্মসূচি পলন করেছে অটোরিকশা চালকেরা। সোমবার দুপুরে এর জেরেই অটোচালকেরা নগর ভবনের সামনে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নগর ভবনে হামলা চালায় তারা।

হামলায় আহত ছাত্ররা জানান, তারা বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করছিল এবং সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা তাদের সহযোগিতা করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই অটোরিক্সা চালকরা তাদের উপর চড়াও হয় এবং এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে।

তারা আরো জানায়, হামলাকারীদের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখা গেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তোলে।

সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, এর আগেও বিভিন্ন সময় বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে অটোচালকদের বিরুদ্ধে। আজকের এই ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও সিটি কর্পোরেশনের স্টাফদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাকির হোসেন বলেন, বিনা উস্কানিতে এই হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং যানজট নিরসনে নিয়োজিত ছাত্র প্রতিনিধিদের উপর তারা আক্রমণ করেছে ইজিবাইক চালকরা। 

আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ শহরে অনুমোদনহীন অটোরিক্সা বন্ধে সিটি করপোরেশন লাইসেন্স চালু করে। এর মাধ্যমে অটোচালকদের যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং সড়কে বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে নাসিক। তবে নিবন্ধনবিহীন অটোচালকরা পূর্বের ন্যায় নিবন্ধন ছাড়াই শহরে চলাচলের দাবি জানিয়ে আসছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  •  হামলাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তি দিতে হবে : অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান
  • পাসপোর্ট অফিস ও খানপুর হাসপাতালে দালালমুক্ত অভিযান, ২ জনকে দণ্ড
  • নগর ভবনে সশস্ত্র হামলায় মহানগর জামায়াতের প্রতিবাদ
  • আইভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পথে গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ২৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • কদম রসুল সেতু আশীর্বাদ না অভিশাপ হবে 
  •  সোনারগাঁয়ের আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জি. মাসুম বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
  • নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র আইভীর জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ডিভিশন প্রদানের আদেশ
  • রূপগঞ্জে বায়ুদূষণ বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা
  • নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালকদের হামলা, আহত ১০