গুলশান ও বনানী এলাকার পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমন্বিতভাবে কাজ করবে ঢাকা ওয়াসা, রাজউক এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

মঙ্গলবার বনানী লেকের পাড়ে কড়াইল বস্তি সংলগ্ন ডিএনসিসি নির্মিত সুষ্ঠু পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট পরিদর্শনকালে এ তথ্য জানান ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান।

তিনি জানান, বনানী ১১ নম্বর সড়কের ব্রিজ থেকে কড়াইল বস্তির দিকে লেকের পাড়ের রাস্তাটি রাজউকের সম্পত্তি। রাজউক সেখানে ড্রেনেজ নির্মাণের জন্য ডিএনসিসিকে অনুরোধ করেছে। ডিএনসিসি দ্রুত সময়ের মধ্যেই ওই ড্রেনেজ নির্মাণ করবে।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, ইউনিসেফের সহায়তায় ডিএনসিসি ইতোমধ্যে তিনটি সুষ্ঠু পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট নির্মাণ করেছে, যা চলতি মাসেই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে। কোনও রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে কাজ করবে এই প্রযুক্তি। পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফল হলে ডিএনসিসির অন্যান্য এলাকাতেও এই ধরনের প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে।

তিনি বাড়িওয়ালাদের প্রতি অনুরোধ জানান, বাড়ির পয়ঃবর্জ্য সরাসরি সিটি করপোরেশনের স্টর্ম ড্রেনে না দেওয়ার জন্য। যেসব এলাকায় ওয়াসার পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশন নেটওয়ার্ক নেই, সেখানে বাড়িতেই পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট স্থাপনের পরামর্শ দেন তিনি।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.

মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলম, ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা এবং গুলশান-বনানী সোসাইটির প্রতিনিধিরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এনস স র জউক ড এনস স র র জউক

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের হাইফা বন্দরে হুতিদের হামলা

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হাইফা বন্দর, নেগেভ, উম্ম আল-রশরাশ ও বিরসেবায় এ হামলা চালানো হয়েছে।

হুতির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস কর্মকান্ডের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় ছয়টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোনগুলো সফলভাবে লক্ষবস্তুতে আঘাত হেনেছে।

গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ না করলে এবং অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে হুতি।

তবে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩১ জন ছিলেন ত্রাণপ্রত্যাশী। এ সময় ৫১৩ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অনাহারের কারণে গাজায় আরও পাঁচ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা ২২৭–এ পৌঁছাল, যাদের মধ্যে ১০৩টি শিশু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ