রাপা প্লাজায় জয়িতার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা, উদ্যোক্তারা হতাশ
Published: 14th, May 2025 GMT
রাজধানীর রাপা প্লাজায় জয়িতার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে জয়িতা ফাউন্ডেশন। এর মধ্য দিয়ে রাপা প্লাজায় জয়িতার ১৪ বছরের কার্যক্রমের অবসান ঘটল। সেখানে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সময় চেয়ে জয়িতা উদ্যোক্তাদের আবেদন উচ্চ আদালত গতকাল মঙ্গলবার খারিজ করে দেন। এ আদেশের পরপরই রাপা প্লাজার নিচে জয়িতা বিপণন কেন্দ্র ও ফুড কোর্ট বন্ধের নোটিশ টাঙিয়ে দেয় ফাউন্ডেশন।
উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, গতকাল রাপা প্লাজায় সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। ফলে জয়িতা বন্ধ ছিল। ছুটির দিনে তাঁদের না জানিয়ে ফুড কোর্টের মালামাল সরিয়ে নিয়েছে জয়িতা ফাউন্ডেশন। নিজেদের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি তাঁদের। আজ বুধবার তাঁরা ফুড কোর্টে গিয়ে দেখেন, এসি নেই। চেয়ার–টেবিল একটার ওপর একটা রাখা। বিপণন কেন্দ্র থেকে পণ্যসামগ্রী আজকের মধ্যেই সরিয়ে নিতে বলা হয় তাঁদের। এত দিনের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসহায়ত্ব ও হতাশা প্রকাশ করেন তাঁরা। রাপা প্লাজার চতুর্থ তলায় জয়িতা পণ্যের জন্য ৭৮টি এবং ফুড কোর্টের জন্য ১৬টিসহ মোট ৯৪টি স্টল ছিল।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংস্থা জয়িতা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জয়িতার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। ২০১১ সালের নভেম্বরে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় জয়িতার যাত্রা শুরু হয়। এটি ফাউন্ডেশন হয় ২০১৬ সালে। জয়িতা ফাউন্ডেশন দেশজুড়ে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে প্রশিক্ষণ, সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া, উদ্যোক্তাদের মধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরি, পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রিতে সহায়তা করে। জয়িতা ফাউন্ডেশনের অধীনে ১৫৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে ১২তলা ‘জয়িতা টাওয়ার’ নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবরে ভবন উদ্বোধন করা হলেও তা এখনো চালু হয়নি। শুধু দুটি ফ্লোরে ফাউন্ডেশনের কার্যালয় চালু হয়েছে। আর টাওয়ার নির্মাণের পর থেকেই উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ফাউন্ডেশনের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। নতুন টাওয়ারে উদ্যোক্তারা সরাসরি স্থানান্তর চাইলে তা নাকচ করে দেয় ফাউন্ডেশন।
নোটিশ টাঙানোর পাশাপাশি গতকালই জয়িতা ফুডকোর্টের সব মাল ফাউন্ডেশন সরিয়ে নিয়েছে বলে জানান এত দিন সেখানে কার্যক্রম চালিয়ে আসা উদ্যোক্তা মোসা.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য় জয় ত র
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় মুক্তি পাচ্ছে ‘দেলুপি’
খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের নদী ভাঙনকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে ‘দেলুপি’ সিনেমা। আগামী ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে এটি। এদিন নগরীর খালিশপুরের লিবার্টি সিনেমা হলে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি। ১৪ নভেম্বর থেকে ঢাকাসহ দেশব্যাপী মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছেন মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম।
এর আগে ৫ নভেম্বর, সিনেমাটির প্রিমিয়ার শো প্রদর্শিত হবে বেলুটি ইউনিয়নের দারুণ মল্লিক প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। এখানে সিনেমাটির দৃশ্যধারনের কাজ হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
তার প্রথম সিনেমা ‘দেলুপি’। খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটিতে এর শুটিং হওয়ায় এবং এর অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা খুলনা অঞ্চলের হওয়ায় আগামী ৭ নভেম্বর সিনেমাটি খুলনায় মুক্তি পাবে। ঢাকাসহ সারাদেশের প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে ১৪ নভেম্বর থেকে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিনেমাটির প্রচার শুরু হয়েছে। সিনেমার ট্রেইলার, টিজার, গানও প্রচারিত হচ্ছে। সিনেমাটিতে রাজনীতি, ভালোবাসা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রামের গল্প বলেছেন বলে জানান পরিচালক মোহাম্মদ তাওকীর।
খুলনায় নানাভাবে সিনেমাটির প্রচারের পরিকল্পনা করেছেন পরিচালক মোহাম্মদ তাওকীর। তার ভাষায়, “আরো বেশ কিছুদিন খুলনায় সিনেমাটির প্রচারের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—সারা শহরে চিকা মারা, পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের দারুণ মল্লিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ৫ নভেম্বর প্রিমিয়ার, লিবার্টি সিনেমা হল সাজিয়ে দর্শকদের জন্য প্রস্তুত করা, ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে প্রচার ছাড়াও নানা ধরণের কর্মসূচি। একই সঙ্গে খুলনার ৪টি উপজেলায় স্পেশাল শোয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ ও ৯ নভেম্বর বটিয়াঘাটা উপজেলা এবং ১০ নভেম্বর দাকোপ উপজেলা, ১১ নভেম্ব পাইকগাছা উপজেলা ও ১২ নভেম্বর ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে প্রদর্শিত হবে।”
‘দেলুপি’ সিনেমার অভিনয়শিল্পীরা খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো জাকির হোসেনসহ অনেকে।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/শান্ত