কাকরাইলে এখনো জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের অবস্থান, সমাবেশে যোগ দিতে আসছে একের পর এক বাস
Published: 16th, May 2025 GMT
তিন দফা দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা সংলগ্ন কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মোড় থেকে যমুনার দিকে যেতে সড়কের ডানপাশে পুলিশ ব্যারিকেডের সামনে বসে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষক–শিক্ষার্থী এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সমাবেশে যোগ দিতে পর্যায়ক্রমে বাসে করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আসছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মৎস্য ভবন থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী, জুমার নামাজের পর থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে গণ–অনশনে বসবে।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দেখা যায়, অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী রাস্তায় বসে স্লোগান দিচ্ছেন। মোড়ে থাকা বেশির ভাগ শিক্ষার্থী সারারাত ওই জায়গাটিতে অবস্থান নিয়ে আছেন বলে জানান। এ সময় শিক্ষার্থীদের থেমে থেমে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা, ‘এক দুই তিন চার, হল আমার অধিকার’, ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘মানি নারে মানি না, বৈষম্য মানি না’ প্রভৃতি স্লোগান দিচ্ছিলেন। সকাল ১০টার দিকে সেখানে কিছু শিক্ষকদের এসে যোগ দিতে দেখা গেছে। সোয়া ১০টার কিছু পরে সেখানে একটি বাসে করে শিক্ষার্থীরা এসে পৌঁছান। সাড়ে ১০টার দিকে আরেকটি বাস এসে পৌঁছায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী আতাউল্লাহ আল আহাদ সকাল ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রথমে জড়ো হয়েছেন। পরে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে সবাই কাকরাইলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তারা পৌঁছানোর পরেই সমাবেশ শুরু করা হবে।
বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার সকালে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ ন জগন ন থ ১০ট র
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ