বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। ড্যাশ ৮-৪০০ মডেলের একটি উড়োজাহাজ কক্সবাজারের রানওয়েতে উড্ডয়নের পর পেছনের একটি চাকা খুলে পড়ে যায়। তবে কোনো বিপদ ঘটেনি। শুক্রবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করেছে বিমানটি।

শিশুসহ মোট ৭১ জন যাত্রী নিয়ে শুক্রবার বেলা ১টা ২০ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ৪৩৬ ফ্লাইটটি। উড্ডয়নের পর পেছনের একটি চাকা খুলে নিচে পড়ে গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি।

জানা গেছে, উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই ফ্লাইটটির পাইলট ঢাকার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে (এটিসি) জরুরি বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় তিনি জরুরি অবতরণ করতে চান বলে জানিয়ে দেন। এই বার্তা পেয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি প্রস্তুতি নেওয়া হয়। রানওয়ের পাশে প্রস্তুত করে রাখা হয় ফায়ার সার্ভিস।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ বি এম রওশন কবীর বলেন, কক্সবাজারের রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পরপরই পেছনের একটি চাকা খুলে নিচে পড়ে যায়। এটি জানার পরই আমরা জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নিই। ইঞ্জিনিয়ারিং টিম রানওয়ের পাশে অবস্থান নেয়। বেলা ২টা ২০ মিনিটে ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। সব যাত্রী নিরাপদে নেমেছেন। বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটিগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র একট র নওয়

এছাড়াও পড়ুন:

দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৫৩ ফিলিস্তিনি ১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা

ভ্রমণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নয় মাসের গর্ভবতী এক নারীসহ ১৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে বিমানে আটকে রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। শুক্রবার এ  ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষ তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।

বিমানে আটকে থাকা যাত্রীদের সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া এক ইমাম জানিয়েছেন, বিমানের ভেতরে প্রচণ্ড গরম ছিল এবং শিশুরা চিৎকার করে কাঁদছিল।

দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেনিয়ার নাইরোবিতে যাত্রাবিরতির পর বৃহস্পতিবার সকালে জোহানেসবার্গের ও.আর. টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিলিস্তিনিদের একটি চার্টার বিমানে অবতরণ করে।

ফিলিস্তিনি যাত্রীদের কাছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কোনো বহির্গমন স্ট্যাম্প ছিল না, তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় কতদিন থাকবেন তাও উল্লেখ ছিল না এবং স্থানীয় ঠিকানাও ছিল না। এর ফলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।

বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে এবং গিফট অফ দ্য গিভার্স নামে একটি স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা ফিলিস্তিনিদের থাকার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়ার পর পরিবার ও শিশুসহ ১৫৩ জন যাত্রীকে বিমান থেকে নামতে দেওয়া হয়। 

সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৩ জন যাত্রী অন্য দেশে চলে গেছেন, ১৩০ জন দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়ে গেছেন।

গিফট অফ দ্য গিভার্সের প্রতিষ্ঠাতা ইমতিয়াজ সুলিমান জানিয়েছেন, গত দুই সপ্তাহে এটি ফিলিস্তিনিদের বহনকারী দ্বিতীয় বিমান যা দক্ষিণ আফ্রিকায় অবতরণ করেছে এবং যাত্রীরা নিজেরাই জানেন না যে তারা কোথায় যাচ্ছেন। দুটি বিমানই যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে লোকদের বহন করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চার্টার বিমানটি কে পরিচালনা করেছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহ আরেফিন টিলা থেকে আবার পাথর লুট, ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড
  • দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা: ৩৫ মিনিট বন্ধ সব ফ্লাইট
  • দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৫৩ ফিলিস্তিনি ১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা