ঢাকার প্রগতি সরণিতে ভরদুপুরে পিচগলা সড়কের উপর অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে। কারও হাতে ব্যানার, কেউবা শ্লোগানে কণ্ঠ মেলাচ্ছেন। সবারই দাবি- ইশরাক হোসেনকে দ্রুত দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে। 

রবিবার (১৮ মে) দুপুরে নগর ভবনের সামনে টানা চতুর্থ দিনের মতো চলা অবস্থান কর্মসূচির চিত্র এটি। এই কর্মসূচি থেকে সোমবার নগর ভবন অবরোধের ডাক দিয়েছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। 

এই ঘোষণা দেন সাবেক সচিব ও ইশরাকপন্থী মশিউর রহমান। তিনি জানান, সোমবার সকাল ১১টা থেকে নগর ভবন ও আশপাশের এলাকায় পুরোপুরি অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

এর আগে সকাল ৯টা থেকেই রাজধানীর নগর ভবনের সামনের রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন সমর্থকরা। পিচঢালা রাস্তায় বসে, দাঁড়িয়ে কিংবা ব্যানার হাতে তারা বলেন, “ভোট দিয়ে মেয়র বানিয়েছি, এখন দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।”

দুপুর ১২টার দিকে নগর ভবনের সামনে থেকে সচিবালয় অভিমুখে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। গুলিস্তান, জাতীয় প্রেসক্লাব, শিক্ষাভবন হয়ে আবারও নগর ভবনের সামনে ফিরে আসে মিছিলটি। এর প্রতিটি ধাপেই ছিল দৃপ্ত পদভঙ্গি আর স্লোগানের মুখরতা— “ইশরাকের জয় হোক, জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দাও”।

সাবেক সচিব মশিউর রহমান বলেন, ‘‘এই শহরের ভোটাররা যাকে মেয়র নির্বাচিত করেছে, তাকে কেন এখনো দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না? এ প্রশ্নের উত্তর প্রশাসনের কাছে নেই। তাই এবার জনগণ রাস্তায়। এই অবরোধ শান্তিপূর্ণ, কিন্তু সংকেত স্পষ্ট। গণতন্ত্র নিয়ে ছেলেখেলা বরদাশত করা হবে না।’’

নগর ভবনের চারপাশে দেখা গেছে অতিরিক্ত পুলিশ। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক অবস্থানে ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। 

ইশরাকের সমর্থকরা বলছেন, ভোটে নির্বাচিত হয়েও দায়িত্ব না পাওয়ার বিষয়টি কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি এক প্রকার ‘গণরায়ের অবমাননা’। এ সময় একজন নাগরিক বলেন, ‘‘যদি দায়িত্বই না দেন, তবে ভোটের কী দরকার ছিল? গণতন্ত্র কি কেবল ব্যালটবাক্সে বন্দি থাকবে?’’

ঢাকা/এএএম//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবর ধ ইশর ক

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে বাঁধন বললেন, সিদ্ধান্তটা সহজ ছিল না

শুরু থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পক্ষে ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। আন্দোলনের সঙ্গে একত্বতা প্রকাশ করে শুরুতে সামাজিক মাধ্যমে, এরপর সশরীরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজপথেও সরব ছিলেন তিনি। আজ মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে সেই সময় ও এই সময় নিয়ে কথা জানালেন এই অভিনেত্রী।

সামাজিক মাধ্যমে বাঁধন লিখেছেন, ‘জুলাই আন্দোলন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই আন্দোলন আমাকে আশা দিয়েছিল। দেশের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সাহস জুগিয়েছিল। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তটা কোনো সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। তবুও আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমরা এক হয়েছিলাম এমন একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে রাষ্ট্র নিজের জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র তাক করেছিল তার জনগণের দিকে। কোনো কারণ ছাড়া মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছিল। নির্দোষ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছিল। রিয়া মণির মতো ছোট ছোট শিশুরা জীবন দিয়েছিল। কিন্তু তারা বুঝেই উঠতে পারেনি কেন জীবন দিচ্ছে!’ 

অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আন্দোলনের সময় আমরা এক হয়েছিলাম আমাদের অধিকার আর দেশকে ভালোবেসে। সেটা ছিল স্মরণীয় মুহূর্ত। আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম ভালো কিছুর। আমি সেই আশা সব সময় বুকে ধারণ করেই চলব।’

এর আগে বেশ কয়েকবার নিজের বক্তব্য পরিস্কার করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করতে ছাড়েন নি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে হবে
  • জুলাই বিপ্লবে ঘরে থাকা ব্যক্তিরা কখনোই জনগণের আনন্দের ভাষা বুঝবে না: বাঁধন
  • জুলাই বিপ্লবে ঘরে থাকা ব্যক্তিরা কখনোই জনগণের ভাষা বুঝবে না: বাঁধন
  • জুলাই পদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে রংপুর-কুড়িগ্রামের পথে প্রান্তরে এন
  • আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওয়েবসাইটে টার্গেট হামলা
  • ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
  • একটি পক্ষ তৈরি হচ্ছে, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে: মির্জা আব্বাস
  • এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে বসানোর জন্য কেউ রক্ত দেয়নি: নাহিদ
  • জুলাই আন্দোলন ছিল জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা : বাঁধন
  • বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে বাঁধন বললেন, সিদ্ধান্তটা সহজ ছিল না