বিপিএলের সেরা খেলোয়াড়, তবু জাতীয় দলে নেই—মন খারাপই ছিল মিরাজের
Published: 20th, May 2025 GMT
মেহেদী হাসান মিরাজের মন খারাপই ছিল। সতীর্থেরা যখন জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন, তাঁর সময়টা কাটছিল বাসায় আর টুকটাক অনুশীলনে। এর মধ্যেই পিএসএলের দল লাহোর কালান্দার্সে খেলার সুযোগ পেয়ে যান মিরাজ। ম্যানেজার এই খবর জানানোর পর স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিতও হয়েছে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার।
আজ পাকিস্তানের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে অবশ্য একটা বিপত্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন মিরাজ। বিমানবন্দরে পৌঁছে টের পান পাসপোর্টটা রেখেই চলে এসেছেন—পরে বাসা থেকে দ্রুত তা আনার পর বোর্ডিং পাসটা ঠিকঠাকমতোই করেছেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় উড়াল দেওয়ার কথা পাকিস্তানের উদ্দেশে।
আমার চেয়ে তাঁরা (নির্বাচকেরা) ভালো বলতে পারবেন (কেন নেই)। তাঁরা যেভাবে চিন্তা করেন, হয়তো ভালোর জন্যই চিন্তা করেন। খেলোয়াড় হিসেবে খারাপ লাগে, যেহেতু বিপিএলে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলাম।মেহেদী হাসান মিরাজ, বাংলাদেশএর আগে বিমানবন্দরে একটা আফসোস করে গেছেন মিরাজ। খুলনা টাইগার্সের হয়ে ১৩ উইকেট আর ৩৫৫ রান করে সর্বশেষ বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি। অথচ আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে স্কোয়াডেই রাখা হয়নি তাঁকে।
একটু আক্ষেপ নিয়েই আজ মিরাজ বলেছেন, ‘আমার চেয়ে তাঁরা (নির্বাচকেরা) ভালো বলতে পারবেন (কেন নেই)। তাঁরা যেভাবে চিন্তা করেন, হয়তো ভালোর জন্যই চিন্তা করেন। খেলোয়াড় হিসেবে খারাপ লাগে, যেহেতু বিপিএলে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলাম। বেশ কিছু টি-টোয়েন্টিতে ভালোও খেলেছিলাম।’
তবে এ নিয়ে আফসোসটা দীর্ঘও করতে চান না এই অলরাউন্ডার, ‘মেনে নিতে হয়…ক্রিকেটে অনেক সময় অনেক কিছু হয়। আমি ইতিবাচক চিন্তা করি, সবকিছু ইতিবাচকভাবে নিই।’
আরও পড়ুন‘হানিয়া আমিরের স্টাইল বেশি পছন্দ আমার’১৪ ঘণ্টা আগেপিএসএলে সাকিব আল হাসানের দলের হয়ে খেলবেন মিরাজ। এটি তাঁর দ্বিতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে যাওয়া, এর আগে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গিয়ে অবশ্য কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। এবার পিএসএলে সুযোগ পাওয়ায় ফোনে মিরাজকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাকিব।
পিএসএলে খেলতে যাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অস্ত্রবিরতি ভেঙে পড়ল
অস্ত্রবিরতি ভেঙে আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি রকেট হামলা চালিয়েছে। কাবুলে বিভিন্ন সূত্র থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সাংবাদিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোর চারটা নাগাদ দক্ষিণ আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের শুরাবাক জেলায় রকেট হামলা চালায় পাকিস্তান। তবে হামলায় তাৎক্ষণিক হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আফগান সূত্র জানায়, প্রথমে পাকিস্তানের দিক থেকে হামলা চালানো হয়। জবাবে ইসলামি আমিরাতের সরকার নতুন করে পাকিস্তানি চৌকি এবং অবস্থানের ওপর পাল্টা রকেট হামলা চালায়। আফগানিস্তানের বিভিন্ন সূত্র মনে করছে, এতে পাকিস্তানের ভালো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, অনেকের প্রাণহানিও হয়েছে।
এই রকেট হামলা প্রমাণ করছে, কাতার ও ইরানের পরামর্শে যে অস্ত্রবিরতি শুরু হয়েছিল, তা ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই ভেঙে পড়ল। এতে অস্ত্রবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা প্রশ্নও দেখা দিল। অবশ্য এর আগে সোমবার দুই পক্ষ থেকেই অস্ত্রবিরতিকে স্বাগত জানানো হয়েছিল।
পাশাপাশি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আফগানিস্তানের বিষয়ে যে ধরনের মন্তব্য করেছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে, দুই দেশের সম্পর্কের দ্রুত অবনতি হচ্ছে। গত কয়েক বছরে তালেবান নেতৃত্বাধীন ইসলামিয়া আমিরাতের সরকারকে ‘অন্তর্বর্তী বা আফগানিস্তানের সরকার’ বলে অভিহিত করেছে ইসলামাবাদ। তবে গত রোববার থেকে তারা আফগান সরকারকে কার্যত পাকিস্তান নির্ধারিত সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পাকিস্তানের ওপর সাম্প্রতিক সময়ে একসঙ্গে হামলা চালিয়েছে আফগান তালেবান, তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) এবং বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। অর্থাৎ আফগান সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মন্তব্য নিয়ে এখনো আমিরাতের সরকার কোনো মন্তব্য করেনি।