মানিকগঞ্জে হত্যা ও হামলার পৃথক মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩–এ দুটি মামলার শুনানি হয়।

আদালত প্রাঙ্গণে মমতাজ বেগমকে নিয়ে আসার সময় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। তাঁরা মমতাজের ওপর ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করেন এবং ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেন। নিরাপত্তার জন্য আদালত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

সিঙ্গাইর থানার একটি হত্যা মামলায় মমতাজ বেগমকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১–এ হাজির করা হলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে হরিরামপুর থানার হামলা, মারধর ও বসতবাড়ি ভাঙচুরের মামলায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩–এ হাজির করা হলে আরও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

হত্যা মামলার বাদীর আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন খান বলেন, হত্যা মামলা এবং হামলা ও মারধরের পৃথক দুটি মামলায় আদালত আসামি মমতাজের মোট ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে এই আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। আসামির প্রতি মানিকগঞ্জবাসী ক্ষুব্ধ। তিনি অবৈধভাবে বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন। তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা জেলাবাসীর।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর মিরপুরে সাগর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর চার দিনের রিমান্ড শেষে মমতাজ বেগমকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাঁকে মানিকগঞ্জ আদালতে আনা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ মমত জ ব

এছাড়াও পড়ুন:

ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেট স্থগিত চেয়ে রিটে আদেশ কাল

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া গেজেট স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন। ইশরাক হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। 

গত ১৪ মে মো. মামুনুর রশিদ নামে এক ব্যক্তির পক্ষে আইনজীবী কাজী আকবর আলী হাইকোর্টে এ রিটটি দায়ের করেন। রিটে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় স্থগিতের পাশাপাশি তাকে মেয়র পদে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি রিটে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়কে মেয়র পদে ইশরাককে শপথ না পড়াতে এবং আইন মন্ত্রণালয়কে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের সংশ্লিষ্ট বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
 
জানা গেছে, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র ঘোষণা করা হয়। গেল ২৭ মার্চ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। রায়ের কপি পাওয়ার পর ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু পরামর্শ পাওয়ার আগেই ২৭ এপ্রিল ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে ইসি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাইকোর্টে ডা. জুবাইদা রহমানের করা আপিলের শুনানি শুরু
  • প্লট বরাদ্দ নিয়ে দুদকের করা মামলায় অব্যাহতি পেলেন মির্জা আব্বাস
  • আইনজীবী ফোরাম জেলা বার ইউনিটের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
  • মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ না পড়াতে রিটের আদেশ বৃহস্পতিবার
  • ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিটের ওপর আদেশ পেছাল
  • দুদকের মামলায় খালাস পেলেন এনটিভির চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী
  • জনগুরুত্বপূর্ণ ও সাংবিধানিক মামলার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কেন নয়
  • রাজনৈতিক দল হিসেবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ কেন নয়
  • ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেট স্থগিত চেয়ে রিটে আদেশ কাল