আদালত চত্বরে মমতাজের ওপর ডিম-জুতা নিক্ষেপ
Published: 22nd, May 2025 GMT
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে চারজনকে হত্যা এবং হরিরামপুরে হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর ও হরিরামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আদালতের কার্যক্রম শেষে প্রিজন ভ্যানে নেওয়ার সময় বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মীরা তাকে লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল আদালত-১ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুন নূর সিংগাইর উপজেলার হত্যা মামলায় মমতাজের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় চিফ জুডিশিয়াল আদালত-৩ এর বিচারক আইভি আক্তার হরিরামপুর থানার হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় মমতাজ বেগমকে মামলার শুনানির জন্য গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মানিকগঞ্জ আদালতে আনা হয়।
মমতাজ বেগমকে আদালতে ওঠানোর সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও নেতাকর্মীরা তার শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়।
পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা মধ্যে রিমান্ড শুনানি শেষে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় আসামি মমতাজ বেগমের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীরা ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করেন।
কোর্ট ওসি আবুল খায়ের জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় হরতালের সমর্থনে করা মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালে ২৫ অক্টোবর মমতাজ বেগমকে তিন নম্বর আসামি করে সিঙ্গাইর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মো.
ওসি আরো জানান, বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়। একটি আদালতে দুই দিন ও অন্য আদালতে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। আসামিকে গাজীপুর কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ঢাকায় বেশকিছু থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় মমতাজ বেগম চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন। রিমান্ড শেষে মমতাজ বেগমকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছিল।
ঢাকা/চন্দন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মমত জ ব গমক ম ন কগঞ জ ব এনপ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
অভিনেত্রী শাওনসহ ১০ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
এক নারীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, তার বাবাসহ ১০ ব্যক্তির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ছানাউল্ল্যাহ এ আদেশ দেন। একই মামলায় গত ২৩ এপ্রিল শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বাদীপক্ষ থেকে আজ এই মামলার পলাতক আসামি শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।
অন্য যাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন, শাওনের বাবা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, ভাই মাহিন আফরোজ, বোন সেঁজুতি ও তাঁর স্বামী সাব্বির, শাওনের বাবার বোনের ছেলে মোখলেছুর রহমান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, সিটিজেন কেব্লসের মহাব্যবস্থাপক সুব্রত দাস ও হিসাব বিভাগের প্রধান মাইনুল হোসেন।
এই মামলায় জামিনে আছেন পুলিশের পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও উপপরিদর্শক শাহ আলম।
শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে গত ১২ মার্চ শাওনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিশি ইসলাম নামের এক নারী। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, শাওনের বাবা মোহাম্মদ আলী তাঁর স্বামী। এই নারী আদালতে কাবিননামা জমা দিয়েছেন।
নিশি ইসলামের মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত শাওনসহ ১২ জনকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির আদেশ দিয়েছিলেন। গত ২৩ এপ্রিল ছিল আদালতে হাজিরার দিন। সেদিন শাওনসহ ১০ জন আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলায় নিশি ইসলাম দাবি করেছেন, আগের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ও প্রতারণা করে ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ৫০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে তাকে বিয়ে করেন মোহাম্মদ আলী। পরে বাদী জানতে পারেন, মোহাম্মদ আলী আগেই বিবাহিত। পরে বিয়ের কথা গোপন করার জন্য আসামিরা বাদীকে চাপ দেন। গত ৪ মার্চ মোহাম্মদ আলীর গুলশানের বাসায় বাদীকে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় মামলায়। শাওনের বিরুদ্ধেও মামলায় নির্যাতনের অভিযোগ আনেন বাদী। পরে বাদীকে বাসা থেকে তুলে এনে গ্রেপ্তার করিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।