কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিলেন ইশরাক
Published: 22nd, May 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা সংলগ্ন কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ইশরাক হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কাকরাইল মোড়ে উপস্থিত হয়ে এ ঘোষণা দেন তিনি। পাশাপাশি আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকারকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আজকে হাইকোর্টের রায় শোনার পর আমাদের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপাতত আমরা অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত রাখব। আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে তারা কী করে? তাদের যে কর্মকাণ্ড সেটার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী কার্যক্রমের নির্দেশনা আসবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, একটা জিনিস স্পষ্ট বলতে চাই, রায়ের বিষয়, শপথের বিষয় আলাদা। আর এটা হয়ে যাওয়া মানে প্রথম যে দাবি করেছিলাম, ছাত্র প্রতিনিধিসহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের পদত্যাগ করতে হবে, সেটা কিন্তু পরিবর্তন হবে না। সেই দাবি সেই দাবির জায়গায় থাকবে।
ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয় গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। আজকে তাঁরা রাজধানীর কাকরাইল মোড়, মৎস্য ভবন মোড় ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে ‘অবস্থান কর্মসূচি’ পালন করেন। তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবি জানান।
বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইশর ক
এছাড়াও পড়ুন:
৫৬% ফোনকলের সঙ্গে সেবা প্রত্যাশার সম্পর্ক নেই
প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ গত আট বছরে প্রায় সোয়া ছয় কোটি ফোন গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সাড়ে তিন কোটি ফোনকলের সঙ্গে সেবা প্রত্যাশার কোনো সম্পর্ক নেই। এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় কল করে সেবাপ্রাপ্তিকে বিঘ্ন না করতে অনুরোধ জানিয়েছে ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৯০৭টি ফোনকল গ্রহণ করেছে ৯৯৯। এর মধ্যে জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ বিভিন্ন তথ্যসেবা দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৬ জন কলারকে। যা মোট কলের ৪৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। তবে এ সময় ৩ কোটি ৫১ লাখ ১ হাজার ২১টি কলের সঙ্গে সেবা প্রত্যাশার কোনো সম্পর্ক নেই। যা মোট কলের ৫৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ কারণে সত্যিকারের বিপদগ্রস্ত জরুরি সেবা প্রার্থীর সেবাপ্রাপ্তি ব্যাহত হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১–এর ৭০(১) ধারায় বিরক্তিকর কলের জন্য এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের শাস্তির বিধান থাকলেও ৯৯৯ এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে এই আইনে অভিযোগ আনেনি। বরং ৯৯৯ জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। অপ্রয়োজনীয় কল শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে নাগরিক ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেছে ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ।