অভিযোগ মিথ্যা, আবেদনের প্রেক্ষিতে অব্যাহতি
Published: 22nd, May 2025 GMT
অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে দুর্নীতির বিষয়ে অস্বীকার করেছেন স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।
দুর্নীতির অভিযোগে তাকে কেউ অব্যাহতি দেননি, তিনি নিজেই আবেদন করে পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন বলেও দাবি করেন সাবেক এই এপিএস।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “দুদক ডেকেছে তাই এখানে এসেছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো ভিত্তি নাই। একটি পক্ষ ছাত্রদের টার্গেট করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। যেমন মিডিয়াতে আমার পদত্যাগের বিষয়টি অব্যাহতি হিসাবে এসেছে। আমাকে বিসিএস ভাইভা দিতে হবে, একটা প্রস্তুতির বিষয় ছিল। এ কারণে পদত্যাগ করেছিলাম। আমি ২৫ মার্চ পদত্যাগ করেছি। আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যদিও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিজ্ঞপ্তি ভুল আকারে এসেছে। আর দুর্নীতির অভিযোগ এরপরে এসেছে।”
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদকে আসেন। দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।দুদকের উপসহকারী পরিচালক মিনু আক্তার সুমির নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনকে আজ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়।
ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে।
তাছাড়া একই অভিযোগ উঠে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের বর্তমান পিও ডা.
অভিযোগের বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য আলাদা টিমও গঠন করা হয়।
অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের দুদকে হাজির হতে বলা হয়।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের বর্তমান পিও ডা. মাহমুদুল হাসান ও সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকে ২০ মে, এনসিপির সাবেক নেতা গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে ২১ মে এবং স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২২ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।
গত ২০ মে নির্ধারিত সময়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলেও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের বর্তমান পিও ডা. মাহমুদুল হাসান ও সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবি আসেননি। পরদিন তারা দুদকে হাজির হন। দুদক টিম অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একই দিন হাজির হন এনসিপির সাবেক নেতা গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরও। তিনজনই অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। বরং ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বর্তমান পিও মাহমুদুল হাসান পদত্যাগ করবেন বলেও জানান।
বৃহস্পতিবার মোয়াজ্জেম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলে তিনি দুদকে হাজির হন। অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক টিমের মুখোমুখি হন।
এর আগে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠলে এই অভিযোগে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দীন তানভীরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে বেনামে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠলে তাকে দল থেকে বাদ দেয় এনসিপি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ জ ঞ স ব দ র জন য স থ ন য় সরক র ক ষমত র অপব উপদ ষ ট যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে কলেজছাত্রকে পল্লিচিকিৎসকের ছুরিকাঘাতের অভিযোগ
নোয়াখালী সদর উপজেলায় পল্লিচিকিৎসকের ছুরিকাঘাতে আবুল হোসেন ওরফে রাফি (১৮) নামের এক কলেজছাত্র গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের চাঁন মিয়ার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত আবুল হোসেন অশ্বদিয়া ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের মো. আজাদের ছেলে। তিনি কবিরহাট সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত পল্লিচিকিৎসক মো. শাহীন (৫৫) একই এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার আগে বিকেলে অশ্বদিয়া ইউনিয়নের সোলেমান উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলছিলেন আবুল হোসেন ও তাঁর বন্ধুরা। খেলতে গিয়ে মো. সায়েম নামের এক শিক্ষার্থীর হাতে লেগে অপর বন্ধু রুমনের ঠোঁট ফেটে যায়। পরে তাঁরা রুমনকে চিকিৎসার জন্য চাঁন মিয়ার মোড়ের পল্লিচিকিৎসক মো. শাহীনের কাছে নিয়ে যান।
আবুল হোসেনের বন্ধু সায়েম বলেন, চিকিৎসক শাহীন রুমনকে চিকিৎসা দিতে রাজি হননি। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে শাহীন পাশের চায়ের দোকান থেকে একটি ছুরি এনে আবুল হোসেনের গলার নিচে আঘাত করেন। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন।
তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শাহরিয়ার বলেন, আহতের গলার ভেতরে তিন ইঞ্চির মতো গভীর কেটে গেছে এবং ধমনি ছিঁড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে এক কলেজছাত্র আহত হওয়ার ঘটনা আমরা জেনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। অভিযুক্ত পল্লিচিকিৎসক পলাতক রয়েছেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’