নিজের ‘বিভাজনমূলক’ শব্দচয়নের জন্য ‘দুঃখিত’ উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
Published: 22nd, May 2025 GMT
‘আগেকার যেকোনো বক্তব্য ও শব্দচয়ন, যা বিভাজনমূলক ছিল- সেগুলোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত’—পদত্যাগের দাবির মুখে এ কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, ‘সরকারে আর একদিনও থাকলে অভ্যুত্থানের সব শক্তির প্রতি সম্মান ও সংবেদনশীলতা রেখে কাজ করতে চাই।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা মাহফুজ। তিনি এমন সময়ে এই পোস্ট দিলেন, যখন তাঁর ও আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
মাহফুজ আলমের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
‘ব্যক্তির আদর্শ, সম্মান ও আবেগের চেয়ে দেশ বড়
দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য অনিবার্য। আগেকার যেকোনো বক্তব্য ও শব্দচয়ন, যা বিভাজনমূলক ছিল- সেগুলোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সরকারে আর একদিনও থাকলে অভ্যুত্থানের সব শক্তির প্রতি সম্মান ও সংবেদনশীলতা রেখে কাজ করতে চাই। পুরাতন বন্দোবস্তের বিভেদকামী স্লোগান ও তকমাবাজি, যা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে হত্যাযোগ্য করে তোলে, সেগুলো পরিহার করলেই আশা করি ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।
বাংলাদেশের শত্রুরা ঐক্যবদ্ধ ও আগ্রাসী। সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে। দেশপ্রেমিক জনগণ যাঁরা জুলাই অভ্যুত্থানে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন, তাঁদের সামনে দীর্ঘ পরীক্ষা। এ পরীক্ষা ঐক্যের এবং ধৈর্যের। এ পরীক্ষা উতরে যেতেই হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ভিক্ষা না ছাড়ায় বাবাকে হত্যা, ছেলে আটক
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নিজ ঘর থেকে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের রিকশাচালক ছেলে আল আমিনকে (২৬) আটক করা হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী এ তথ্য জানান।
রবিবার (২২ জুন) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকায় হত্যার শিকার হন হাফিজ উদ্দিন (৬৫) নামে ওই ব্যক্তি।
নিহত হাফিজ উদ্দিন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মনিপুরা গ্রামের মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা। তিনি ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার জালাল মিয়ার বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। একসময় কাঠমিস্ত্রির কাজ করা হাফিজ উদ্দিন বার্ধক্যজনিক কারণে ভিক্ষা করতে শুরু করেন।
আরো পড়ুন:
জামিনে মুক্তি পেলেন বেরোবির শিক্ষক মাহমুদুল হক
নারায়ণগঞ্জে চার ঘণ্টার ব্যবধানে জোড়া খুন
ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, রাত দেড়টার দিকে পাশের রুমের বাসিন্দারা চিৎকার শুনে গিয়ে দেখেন, নিহতের রুম ভেতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে তারা জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায়, রুমের ভেতরে নিহত বৃদ্ধের রক্তাক্ত মরদেহ মাটিতে পড়ে আছে। পাশেই তার ছেলে বসে আছেন।
ছেলে আল আমিনকে আটক করে থানায় আনার পর জিজ্ঞাসাবাদে করলে, তিনি তার বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ছেলে জানায়, তারা বাবা ভিক্ষা করে এটা তিনি মানতে পারছিলেন না। নিষেধ করলেও মানছিলেন না তিনি। এ কারণে গলাটিপে এবং খাটের সঙ্গে মাথা থেতলে বাবার মৃত্যু নিশ্চিত করেন আল আমিন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা/রুমন/মাসুদ