Samakal:
2025-07-07@22:17:24 GMT

হাড় ক্ষয়ে যাওয়া রোগ

Published: 23rd, May 2025 GMT

হাড় ক্ষয়ে যাওয়া রোগ

 অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিস এমন একটি রোগ, যা হাড়ের স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে রক্ত সরবরাহ বন্ধের ফলে হয়। রক্ত সরবরাহ বন্ধ হলে হাড়ের টিস্যু মারা যায় এবং হাড় ভেঙে যায়। যখন কোনো জয়েন্ট, যেমন– হিপ জয়েন্টের কাছাকাছি হয়, তখন জয়েন্টের পৃষ্ঠটি ভেঙে যেতে পারে। এ অবস্থা যে কোনো হাড়ে হতে পারে। এটি সাধারণত লম্বা হাড়ের শেষ মাথায় হয়। সাধারণত একটি হাড় একই সময়ে অনেক হাড় অথবা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হাড়কে ক্ষয় করে।

কোথায় কোথায় নেক্রোসিস হতে পারে গোড়ালি, চোয়াল, হাঁটু, হাতের হিউমেরাস ও কাঁধের জয়েন্ট, পায়ের ফিমার ও হিপ জয়েন্টে। 

অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের কারণ

কোনো কারণে জয়েন্টে আঘাত পেলে; জয়েন্ট ভেঙে গেলে; রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হলে; দীর্ঘদিন ধরে কর্টিকোস্টেরয়েড ওষুধ সেবন করলে; অতিরিক্ত মদ্যপান করলে; দীর্ঘদিন ধরে কোনো রোগে আক্রান্ত হলে, যেমন– ডায়াবেটিস; রক্তে কোনো রোগ থাকলে, যেমন– সিকেল সেল অ্যানিমিয়া  লিউকেমিয়া; রেডিয়েশন বা কেমোথেরাপি কারণে; এইচআইভি/এইডস রোগের জন্য; অটো ইমিউন রোগের জন্য; হাইপার লিপিডেমিয়ার কারণে; হাইপার কোয়াগুলেবেল অবস্থায় থাকলে; প্যানক্রিয়াটাইটিস; গাউচার রোগ; সিস্টেমেটিক লুপাস ইরাইথিম্যাটাস রোগ থাকলে; কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করলে, জয়েন্ট ডিসলোকেশন হলে।

রোগের লক্ষণ

হাঁটাচলা করার সময় ব্যথা লাগা, পায়ে টান লাগা, সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় ব্যথা অনুভব করা, দাঁড়ানোর সময় ব্যথা অনুভব করা, হাঁটু ভেঙে বসতে না পারা, আক্রান্ত অঙ্গ ছোট হয়ে যাওয়া, কুঁচকিতে-ঊরুতে-নিতম্বে ব্যথা হওয়া, বিশ্রাম নেওয়ার সময় ব্যথা অনুভব হওয়া, ক্রস পায়ে বসতে না পারা ইত্যাদি।

রোগ নির্ণয়

এক্স-রে, এমআরআই, সিটিস্ক্যান, হাড়ের স্ক্যান, বায়োপসি, হাড়ের কার্যকারিতা পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয়। 

চিকিৎসা

এ রোগের চিকিৎসা কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমন– বয়স, রোগের পর্যায়, হাড়ের ক্ষতির পরিমাণ।

নন-সার্জিক্যাল চিকিৎসা

আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা বা গরম সেঁক, কিছু ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ওষুধ,  ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন এবং কার্যকর বিশ্রাম।

সার্জিক্যাল চিকিৎসা 

কোর ডি কম্প্রেশন, হাড় গ্রাফটিং, অস্টিওটমি, সম্পূর্ণ হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন।

জটিলতা 

চিকিৎসা করা না হলে এই রোগ ধীরে ধীরে খারাপ রূপ ধারণ করে। অ্যাভাসকুলার নেক্রোসিসের ফলে হাড়ের মসৃণ আকৃতি নষ্ট হয়। ফলে আর্থ্রাইটিস হতে পারে। ব্যথা বা অন্য কোনো লক্ষণ প্রকাশ পেলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন  হতে হবে।  

লেখক : ফিজিওথেরাপি, ডিজঅ্যাবিলিটিজ ও রিহ্যাবিলিটেশন স্পেশালিস্ট এবং সহযোগী অধ্যাপক (আইআইএইচএস) ও কনসালট্যান্ট ডিপিআরসি, শ্যামলী, ঢাকা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কার্ড কৃষকের, গুদামে ধান দেন মিলার-নেতারা

প্রচুর উৎপাদন, ভালো দাম। তবু ঘাম ঝরানো ফসল হাতে নিয়ে হতাশ কৃষক। সরকার নির্ধারিত মূল্যে গুদামে ধান বিক্রি করতে পারছেন না তারা। মুনাফা গিলছেন রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, মিলার ও কিছু সরকারি কর্মকর্তা। কৃষকের নামে কার্ড; কিন্তু সরকারি গুদামে ধান দিচ্ছেন রাজনৈতিক নেতা ও মিল মালিক। কৃষককে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত করে বাড়তি লাভ নিচ্ছে ফড়িয়া সিন্ডিকেট। এভাবেই প্রকৃত কৃষক বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারের দেওয়া সুযোগ থেকে। 

চলতি বোরো মৌসুমে প্রতি কেজি ধান ৩৬ এবং চালের মূল্য ৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রতি মণ ধানের দাম ১ হাজার ৪৪০ টাকা, যা বাজারমূল্যের চেয়ে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি। ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রতি বছরই কৃষক পর্যায় থেকে সরকারিভাবে ধান কেনার খবর ছড়িয়ে দিতে চেষ্টার কমতি থাকে না খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের। তবে বাড়তি দাম কৃষকের মধ্যে আশা জাগালেও মাঠ পর্যায়ে বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চল থেকে শুরু করে শেরপুর, ফেনী, রাজশাহী, সুনামগঞ্জ, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন জেলায় কৃষকের পরিবর্তে দালাল ও মিলাররা সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করছে।

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি খাদ্যগুদামে চলতি বোরো মৌসুমে ৯৬৫ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বিএনপি নেতারা সরবরাহ করেছেন ৬০০ টন, জামায়াত নেতারা ৩০০ টন। প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে মাত্র ৬৫ টন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কার্ডধারী কোনো কৃষকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৩ টন পর্যন্ত ধান সংগ্রহের কথা। কিন্তু বাস্তবে কৃষকের কার্ড ও পরিচয় ব্যবহার করে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা ধান সরবরাহ করে বিল উঠিয়ে নিচ্ছেন। তারা কৃষকের কাছ থেকে প্রতি মণ ১ হাজার ১০০ টাকায় কিনে সরকারি গুদাম থেকে ১ হাজার ৪৪০ টাকা বিল তুলছেন। 

কৃষকদের অভিযোগ, যারা ভালো মানের শুকনো ধান নিয়ে গুদামে যান, তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু নেতাদের সরবরাহ করা ভেজা, পচা ধানও গ্রহণ করে গুদাম। এতে প্রকৃত কৃষক সরকার নির্ধারিত দামে ধান বিক্রি করতে না পেরে বাজারে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় আদিবাসী ও দরিদ্র কৃষকদের নামে ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে সরকারি ধান সংগ্রহ কার্যক্রমে ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী আতাউর রহমান ‘সাথী চালকল’ নামে একটি ক্ষুদ্র মিলের মাধ্যমে সরকারকে ৪৬ টন চাল সরবরাহ করেছেন। অথচ তাঁর মিলের উৎপাদন ক্ষমতা এত নয়। বিষয়টি স্বীকার করে আতাউর বলেন, ‘আমি বাইরে থেকে ধান কিনে স্থানীয় কৃষকের নামে গুদামে দিই। বিনিময়ে তাদের ৫০০ টাকা করে দিই।’ আদিবাসী অনুকূল সরদার বলেন, ‘আমাদের এলাকার ৩০-৪০ জনকে দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলিয়ে চেক বইয়ের পাতায় আগেভাগেই সই করিয়ে নিয়েছে। এর পর এই নামেই চাল সরবরাহ করা হয়েছে।’

সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে হলে কৃষককে আগে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। তারপর গুদামে ধান দিয়ে কমপক্ষে ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় টাকার জন্য। অনেক সময় এই টাকা পৌঁছাতে আরও বেশি সময় লেগে যায়। তাই কৃষকরা স্থানীয় বাজারে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করে দেন। এতে প্রকৃত কৃষকের প্রতি মণে অন্তত ২৪০ থেকে ৪৪০ টাকা ক্ষতি হয়। এই সুযোগটাই নিচ্ছেন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারা। তারা গরিব কৃষকদের নাম ব্যবহার করে সরকারিভাবে ধান জমা দিচ্ছেন এবং বড় অঙ্কের মুনাফা করছেন।

গোদাগাড়ীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে নাজিরপুরের খাদ্য কর্মকর্তাদের কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
হাওরবেষ্টিত কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে কৃষক সারাবছরে শুধু একবার বোরো ফসল ঘরে তোলেন। সেখানে সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে গিয়ে চাষিদের গুনতে হচ্ছে ঘুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অষ্টগ্রামের খাদ্য পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া একজন কৃষকের কাছ থেকে প্রতি টন ধানে ২ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করছেন। কৃষকরা জানান, ঘুষ না দিলে ধান ‘ভেজা’ বা ‘অনুপযুক্ত’ বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অষ্টগ্রাম খাদ্যগুদামের প্রহরীও কাগজ তৈরির নামে প্রতি টনে ২৭০ টাকা করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুধু ঘুষই নয়, প্রকৃত কৃষকদের না জানিয়েই তাদের নাম ব্যবহার করে অন্যরা ধান দিচ্ছে। কৃষক জাকির হোসেন বলেন, ‘সরকারি গুদামে ধান দিতে পারিনি, অথচ আমার নামে কেউ স্লিপ নিয়েছে।’ কৃষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ধানে আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের কম হলেও তা নেয়নি গুদামের লোকজন। কারণ আমি ঘুষ দেইনি।’

শেরপুর জেলায় গড়ে তোলা হয়েছে ‘ফার্মার সিন্ডিকেট’। সরকারি অ্যাপে আবেদন করে যারা ধান দেওয়ার অনুমতি পান, তাদের অনেকেই ধান দেন না। এতে সুযোগ নেয় গুদামের দালাল চক্র। ৪০০ জন সাধারণ নারী-পুরুষকে দিয়ে ৪০০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। পরে সরকারি অ্যাকাউন্টে প্রতিজনের নামে ১ লাখ ৮ হাজার টাকা জমা হয়। ওই চক্র প্রত্যেককে মাত্র ২ হাজার টাকা দিয়ে বাকি অর্থ তুলে নেয়।

এ ঘটনায় দুই দালালকে আটক করে পুলিশ, তবে অভিযোগকারী না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। শেরপুরের খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক ভূঁইয়া বলেন, এত সংখ্যক কৃষকের নামে হিসাব খোলাটা সন্দেহজনক। বিষয়টি তদন্ত করা হবে।

ফেনীর দাগনভুঞা উপজেলার কৃষকদের দাবি, সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করতে গেলে টনপ্রতি ২ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ না দিলে ধান ফেরত দেওয়া হয়। দালালরা কৃষকের কার্ড কিনে নিজেরাই ধান দিয়ে মুনাফা করছে। কৃষক সাদেক হোসেন বলেন, আমরা ধান নিয়ে গেলে ঘুষ চাওয়া হয়, দালালের ধান ঠিকই নেয়। 

দাগনভুঞার ১৬ জন কৃষক লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, কৃষকের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থেকে খাদ্য উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো কৃষকদের অভিযোগপত্রে বলা হয়, প্রতি টন ধানে ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে বেশি আর্দ্রতার ধান গ্রহণ করছেন গুদামের কর্মকর্তারা। এ কাজে সহায়তা করছে স্থানীয় দালাল সিন্ডিকেট, যারা কৃষকদের কার্ড কিনে চেকে স্বাক্ষর করিয়ে দিচ্ছে। এতে প্রকৃত কৃষকরা সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

নওগাঁয় চাল ও ধান মজুত করে বাজার অস্থির করার অভিযোগে জেলা খাদ্য বিভাগ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার বলেন, বাজারে দাম বাড়ার পেছনে মজুতদারির অভিযোগ ছিল। নিয়ম না মেনে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

তাহিরপুর উপজেলার খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা নুরুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের অভিযোগ তুলেছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষক আশরাফুল আলম, ঝিনুক তালুকদারসহ অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ করেন, খাদ্যগুদামে ধান দিতে গিয়ে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আর্দ্রতার অজুহাতে তাদের ধান না নিয়ে ব্যবসায়ীদের নিম্নমানের ধান গুদামে তোলা হচ্ছে। এ নিয়ে উপজেলার মাসিক উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন, প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় খাদ্য ও কৃষি বিভাগের কিছু কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং দালালের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে ধান সংগ্রহ সিন্ডিকেট। কৃষকদের অভিযোগ, যাচাই-বাছাই ছাড়া কৃষি বিভাগ তালিকা তৈরি করেছে এবং গোপনে লটারির মাধ্যমে নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। কৃষকরা নতুন তালিকা করে ধান সংগ্রহের দাবি জানিয়েছেন।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, এভাবে চলতে থাকলে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহের প্রতি কৃষকের আস্থা চূড়ান্তভাবে ভেঙে পড়বে। বাজার নিয়ন্ত্রণও সম্ভব হবে না।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ধানের দাম বাড়িয়ে সরকার এটিকে কৃষকের জন্য ‘সুবর্ণ সুযোগ’ ভেবেছিল, বাস্তবে তা পরিণত হয়েছে দুর্নীতির উৎসে। কৃষক নয়, লাভবান হচ্ছেন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও দলীয় শক্তি। এখনই কঠোর নজরদারি ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ না নিলে ন্যায্য দামে ধান বিক্রির স্বপ্ন কৃষকের কাছে রয়ে যাবে অধরাই।

খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর বলেন, সারাদেশে এবার কৃষক ন্যায্য দাম পাচ্ছেন। তার পরও কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এশিয়ার দেশগুলোয় ট্রাম্পের শুল্কনীতির কী প্রভাব পড়বে
  • ১৩ লাখ টন আমদানি, ফলন ভালো, তবু বাড়ছে চালের দাম
  • যেসব এলাকায় আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
  • বৈশ্বিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে তেল উৎপাদন বাড়াবে ওপেক জোট
  • সোমবার ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
  • সাজা মাথায় নিয়ে ঘুরছিলেন ধামাকার চেয়ারম্যান মোজতবা আলী
  • ধামাকার চেয়ারম্যান কারাগারে, সাজা মাথায় নিয়ে ঘুরছিলেন
  • রেকর্ড উৎপাদন, বেড়েছে মজুত, তবুও চালের বাজারে উত্তাপ
  • হামলা চালিয়ে যাবে মস্কো, পুতিনে হতাশ ট্রাম্প
  • কার্ড কৃষকের, গুদামে ধান দেন মিলার-নেতারা