শিশুকে ‘ইমোশনালি হেলদি’ করার জন্য বাবা-মায়ের করণীয়
Published: 23rd, May 2025 GMT
সব বাবা-মা চান তার সন্তান যেন মানসিকভাবে স্ট্রং হয়। কিন্তু এই স্ট্রংনেস একদিনে আসে না। একটি শিশুকে ইমোশনালি হেলদি করে গড়ে তুলতে কি কি প্রয়োজন? — বাবা মায়েদের এই প্রশ্নের উত্তর জানার সঙ্গে সঙ্গে এটা জানা প্রয়োজন যে, কোন জিনিসটা শিশুর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
ক্লিনিক্যাল সাইক্লোজিস্ট ফারজানা পিয়াস শিশুকে ইমোশনালি হেলদি করার জন্য চারটি পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দিচ্ছি।
ইমোশনগুলোর নামের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন: শিশুদের ইমোশনগুলোর সঙ্গে নামে পরিচয় করিয়ে দিন। সেটা হতে পারে, রাগ, জিদ, হতাশা, টায়াডনেস, স্যাডনেস, হ্যাপিনেস-এই রকম সবগুলো ইমোশনের নামের সঙ্গে শিশুকে পরিচয় করিয়ে দিন। যাতে সে নিজে নিজে আইডেন্টিফাই করতে পারে কোন সময় কেমন ফিল করছে, বা কোন ইমোশনটা ফিল করছে।
আরো পড়ুন:
লিচু খাচ্ছেন, এই ফলের ভালো-মন্দ জেনে নিন
সারাদিন সুস্থ থাকতে সকালে যে সাতটি কাজ করতে পারেন
শরীরের কোথায় ইমোশনগুলোর প্রভাব পড়ে সেটা বুঝতে শেখান: শিশুকে আরেকটি জিনিস শিখিয়ে দিতে হবে, সেটা হলো— শিশু যে ইমোশনগুলো ফিল করছে সেগুলো আসলে শরীরের কোন পার্টে ফিল হচ্ছে। যেমন— শিশু নার্ভাস ফিল করছে, এই ফিলটা শরীরের কোন জায়গায় বেশি হচ্ছে। অনেক শিশু নার্ভাসনেসটা পেটে ফিল করে। আবার অনেকে নার্ভাসনেসটা বুকের মধ্যে ফিল করে। অনেকের হার্টবিট বেড়ে যায়। তো এই ফিলিংগুলো শিশু কোন জায়গা বেশি ফিল করছে সেটা প্রশ্ন করার মাধ্যমে শিশুকে বুঝতে শিখিয়ে দিতে হবে।
ইমোশন ম্যানেজ করার উপায় শেখান: আপনাকে আরেকটি কাজ করতে হবে তাহলো বিভিন্ন ইমোশনগুলোকে কীভাবে সুন্দর করে, যথাযথভাবে ম্যানেজ করা যায় সে বিষয়ে শিশুকে শিখিয়ে দিতে হবে। যেমন- দশ থেকে এক পর্যন্ত উল্টো দিক থেকে গোনা, পিলো পাসিং করা, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা ইত্যাদি।
নিজেরা সতর্ক হোন: শিশুকে ইমোশন ম্যানেজমেন্ট শেখানোর আগে সবচেয়ে জরুরি বাবা-মায়ের নিজেদের ইমোশন ম্যানেজ করা বা ঠিক রাখা। অর্থাৎ আপনি আপনার নিজের ইমোশনগুলোর নাম দিতে পারেন, শরীরের কোথায় ইমোশনগুলোর প্রভাব তৈরি হয় সেটা আইডেন্টিফাই করতে পারেন এবং বিভিন্ন সিচ্যুয়েশনে ইমোশনগুলোকে কীভাবে যথাযথভাবে কীভাবে ম্যানেজ করবেন, সেদিকে নজর দিতে পারেন। আপনি যখন বিভিন্ন সিচ্যুয়েশনে আপনার ইমোশনগুলো শিশুর সামনে ম্যানেজ করবেন তখন শিশু নিজে নিজেই ইমোশনালি হেলদি হয়ে উঠবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ শ র যত ন ম য ন জ কর ফ ল করছ ফ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না’ লেখা সরিয়ে নতুন পোস্ট দিলেন ফয়েজ তৈয়্যব
‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন না। তার ক্ষমতা প্রয়োজন নেই। কিন্তু একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য ড. ইউনূসকে দরকার আছে।’
শুক্রবার দুপুরে এ কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে পোস্টটি ডিলিট করে আরেকটি পোস্ট দেন তিনি।
বিকেলের পোস্টে ফয়েজ তৈয়্যব লেখেন, ‘ডিসক্লেইমার। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা স্যারের বিষয়ে দেওয়া স্ট্যাটাসটি আমার ব্যক্তিগত মতামত। এটাকে নিউজ না করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। ধন্যবাদসহ।’
দুপুরের পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না। অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যারের দরকার আছে। বরং ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরও বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে—এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদের দেখাতে হবে যে, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।’
ফয়েজ তৈয়্যব লেখেন, ‘আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি। তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা, সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।’
নির্বাচনের বিষয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, ‘সকল দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি। এ সময়ে সকল যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ।’