সিদ্ধিরগঞ্জে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায়  সিদ্ধিরগঞ্জ  থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে ভিক্টিমের মা বাদী হয়ে এ অভিযোগটি দায়ের করেন। মামলায় আসামি হলেন কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার পাশাপুর এলাকার মাওলানা আব্দুল মান্নানপর ছেলে মাসুদ (৩৫)।

মামলার বাদী জানান, আমি গার্মেন্টসে চাকুরি করি। গত ১৮ মে আমার দুই মেয়েকে ভাড়া বাসায় রাখিয়া আমি গার্মেন্টসে যাই।

দুপুর ৩টার দিকে আমার মেয়ে বাসার বাহিরে খেলতে গেলে আসামী আমার মেয়েকে মুখ চেপে ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পাইনাদি এলাকার আসামীর কর্মস্থল মহিউদ্দিন আল মামুন এবং কামরুজ্জামানের যৌথ মালিকানা বিল্ডিং এর গার্ড রুমে নিয়ে যায় এবং আমার মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক প্যান্ট খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। 

আমার মেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে এবং উক্ত ঘটনার বিষয়ে আমাকে বলে দিবে বলিলে আসামি আমার মেয়েকে গার্ড রুমে রেখে পালিয়ে যায়। তখন আমার মেয়ে সুযোগ পেয়ে গার্ড রুম থেকে বের হয়ে আসে। আমি গার্মেন্টস থেকে বাসায় ফিরলে আমার মেয়ে কান্না করে উক্ত ঘটনার বিষয়ে আমাকে জানায়। 

আমার মেয়ে তাহার যৌনাঙ্গে জখমের কারণে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করিলে আমি আমার মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল এর জরুরী বিভাগে নিয়ে যাই। 

পরে তিনি বৃহস্পতিবার রাতে এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশু ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশি চেষ্টা  অব্যাহত রয়েছে বলে ওসি জানান।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ আম র ম য়

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন নিরপেক্ষ বিচারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে

একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং কার্যকর বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। বিচার বিভাগ পরিচালনার জন্য একটি স্বতন্ত্র ‘বিচার বিভাগীয় সচিবালয়’ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা পুনরায় জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হয়।

শুক্রবার বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিভাগের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ জজ মো: আমিরুল ইসলাম। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার বিভিন্ন স্তরের বিচারকরা এ সভায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনায় বক্তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন। বিচারকার্য পরিচালনায় অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এবং অপর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দকে বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে বক্তারা জেলা আদালতের বিচারকদের প্রশাসনিক নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের আওতায় আনার ওপর জোর দেন।

সভায় ‘মাসদার হোসেন মামলার’ ৬ নম্বর নির্দেশনার আলোকে বিচারকদের জন্য একটি পৃথক ও স্বাধীন পে-কমিশন গঠনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। বক্তারা বলেন, বিচারকগণ সংবিধান রক্ষার গুরু দায়িত্ব পালন করেন বিধায় তাদের আর্থিক সুবিধা ও সম্মানি সেই দায়িত্বের গুরুত্ব ও মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া উচিত। এই লক্ষ্যে বিদ্যমান বেতন কাঠামোর অতিরিক্ত ৩০% হারে বিচারিক ভাতা বকেয়াসহ প্রদানের এবং একটি নতুন পে-কমিশন গঠন করে শতভাগ বিচারিক ভাতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জেলা আদালতের বিচারকদের প্রতি যে বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়, তা নিরসনের প্রয়োজনে জ্যেষ্ঠতা, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে জেলা আদালতের বিচারকদের উচ্চ আদালতে ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান।

বিচার বিভাগের আধুনিকায়ন ও স্বাধীনতা রক্ষায় অ্যাসোসিয়েশনকে একটি সক্রিয় ও কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গগে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে বক্তারা ‘ইয়ং জাজেস ফোরাম’-এর সাহসী ও গতিশীল ভূমিকাকে আন্তরিকভাবে স্বীকৃতি দেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রত্যাশা জানানো হয় যে, বর্তমান অর্ন্তবতীকালীন সরকার বিচার বিভাগের কাঠামোগত ও প্রশাসনিক সংস্কারে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। বক্তারা বলেন, বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা ছাড়া রাষ্ট্রের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। সে প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতির ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ দ্রæত বাস্তবায়ন এবং একটি পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ