ছবি: সংগৃহীত
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পা ভাঙতে হলে ভাঙুক, আমাকে ট্রফি জিততে হবে: রোনালদো
চোখের জলে ভিজছে তার মুখ। আনন্দাশ্রু। উন্মাতাল, উচ্ছ্বাস, উৎসব সবই এই রাতে তার প্রাপ্য। সেই প্রাপ্যটাই জার্মানির আলিয়াঞ্জ এরিনায় বুঝে পেলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
স্পেনকে হারিয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা জিতল পর্তুগাল। ২০১৯ সালে রোনালদো পেয়েছিলেন এই শিরোপা। ছয় বছর পর শিরোপা পুনরুদ্ধার। লম্বা সময় পর রোনালদোর ট্রফির আনন্দ। বয়স চল্লিশ পেরিয়ে যাচ্ছে। ঠিক এমন সময়ে নিজে গোল করে শিরোপা জয়ের অবদানে শামিল হওয়ার আনন্দ, আবেগ, আতিশজ্য ছুঁয়ে যাচ্ছিল তাকে।
চোখের জলের মতো অনুভূতি প্রকাশেও রোনালদো ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকে, ‘‘কী আনন্দ! এই প্রজন্মের জন্য এটা জরুরি ছিল, এই মানের একটি ট্রফি যাদের প্রাপ্য। আমাদের পরিবারের জন্যও.. আমার বাচ্চারা এসেছে এখানে, আমার স্ত্রী, ভাই, বন্ধুরা…।”
আরো পড়ুন:
ধ্বংসস্তূপে শিরোপার ফুল ফোটালেন আলকারাজ
ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সিদ্ধান্ত জানালেন রোনালদো
ম্যাচের পুরোটা সময় মাঠে থাকতে পারেননি রোনালদো। ম্যাচের আগে খানিকটা অস্বস্তিও ছিল তার। কিন্তু সব পাশ কাটিয়ে সবুজ গালিচায় নেমে খেলেছেন সিআরসেভেন। গোল করেছেন। এই ফাইনাল ও শিরোপা তার কাছে কতটা অরাধ্য সেটা বোঝা গেল কথায়, ‘‘ম্যাচের আগে গা গরমের সময়ই কিছুটা অস্বস্তি ছিল। কিছুটা সময় খারাপ লাগছিল। তবে এটা জাতীয় দলের ম্যাচ। খেলার জন্য আমার পা ভাঙতে হলে ভাঙুক। আমাকে ট্রফি জিততে হবে, খেলতে হবে, নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিতে হবে। কারণ এটা আমার দেশের জন্য। আমরা মানুষ অল্প, কিন্তু উচ্চাকাঙ্ক্ষা অনেক বড়।’’
পর্তুগালের হয়ে তিনটি শিরোপা জিতেছেন রোনালদো। ২০১৬ ইউরোর পর ২০১৯ ও ২০২৫ নেশন্স লিগ। জাতীয় দলের জার্সিতে খেলা নিয়ে পর্তুগিজ সুপারস্টার বলেছেন, ‘‘পর্তুগালের কথা যখন হয়, এই অনুভূতিই বিশেষ কিছু। এই প্রজন্মের অধিনায়ক হতে পারা দারুণ গর্ব ও সম্মানের। জাতীয় দলের হয়ে কোনো শিরোপা জিততে পারা মানে সবসময়ই প্রাপ্তির চূড়া।”
“পর্তুগালের জন্য কিছু জিততে পারা সবসময়ই স্পেশাল। ক্লাবের জয়ে অনেক ট্রফি জিতেছি, কিন্তু পর্তুগালের হয়ে জয়ের চেয়ে সুখের কিছু আর নেই। এজন্যই এই কান্না। দায়িত্ব পালন করেছ এবং এই আনন্দের সীমা নেই।” –যোগ করেন তিনি।
চল্লিশেও রোনালদো অপ্রতিরোধ্য। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল তিনটি ম্যাচেই গোল করেছেন। পেশাদার ক্যারিয়ারে সহস্র গোলের রেকর্ড গড়ার ইচ্ছা তার। সেদিকে এগিয়েও যাচ্ছেন। ৯৩৮ তো হয়েই গেল। তবুও প্রশ্নটা বারবার এসেই যায়, কোথায় থামবেন?
উত্তরটা বেশ পরিস্কার তার কাছে, “ভবিষ্যৎ ভাবনা চলতে থাকবে সংক্ষিপ্ত মেয়াদ ধরে। তবে আপাতত সময়টা বিশ্রামের। চোট নিয়ে খেলেছি এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, নিজেকে ঠেলে নিয়েছি সবটুকু… কারণ, জাতীয় দলের জন্য নিজেকে সর্বোচ্চটুকু চেষ্টা করতেই হবে।”
ঢাকা/ইয়াসিন