২০০৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল অনুরাগ বসুর ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ ছবিটি। এবার আধুনিক প্রেমের কাহিনি নিয়ে অনুরাগ আনতে চলেছেন মেট্রো ইন দিনোঁ ছবিটি। এই ছবিতে আছেন একঝাঁক তারকা। আর তাঁদের জুটি প্রেমের নতুন উপাখ্যান শোনাবে। অনুরাগের এই ছবির অংশ হতে পেরে আপ্লুত অভিনেত্রী সারা আলী খান। সম্প্রতি ছবির ট্রেলার মুক্তি অনুষ্ঠানে অনুরাগের সঙ্গে কাজ করা নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সারা।

অনুরাগ বাসুর এই ছবিতে জুটি বেঁধে আসছেন নীনা গুপ্তা-অনুপম খের, পঙ্কজ ত্রিপাঠি-কঙ্কনা সেনশর্মা, আলী ফজল-ফাতিমা সানা শেখ এবং আদিত্য রায় কাপুর-সারা আলী খান। কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি ও বেঙ্গালুরু—এই চার শহরের ভিন্ন স্বাদের প্রেমকাহিনি নিয়ে ছবিটি বানিয়েছেন অনুরাগ। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এই ছবির ট্রেলার। ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে পরিচালক অনুরাগ বসুসহ সব শিল্পী উপস্থিত ছিলেন। সারা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘অনুরাগ বসুর ছবি দেখে আমি বড় হয়েছি। প্রথম কিস্তি তো খুবই পছন্দের। এখন আমি এই ছবিতে কাজ করছি। তাঁর পরিচালনায় কাজ করা আমার জন্য কল্পনাতীত ছিল। অনুরাগ বসুর ছবিতে সুযোগ পেয়ে আমি দারুণ খুশি। আমার স্বপ্ন সত্যি হলো। আমি এখন বলতে পারি যে আমি অনুরাগ বসুর নায়িকা।’

‘মেট্রো ইন দিনো’ ছবির পোস্টার থেকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন র গ ব

এছাড়াও পড়ুন:

রোনালদো গোল করলেন, পর্তুগাল জিতল উয়েফা নেশন্স লিগ

এমন না যে নিজেকে প্রমাণ করার আরো কিছু আছে তার। তবুও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো অঝোরে কাঁদেন। উল্লাসে কাঁদেন। অর্জনে কাঁদেন। সেই সুখের কান্নায় আরেকবার ভিজলো জার্মানির আলিয়াঞ্জ এরিনার সবুজের গালিচা। 

যেখানে স্পেনকে হারিয়ে পর্তুগাল জিতে নেয় উয়েফা নেশন্স লিগ কাপ। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ এ অমীমাসিংত থাকে। অতিরিক্ত আরো ৩০ মিনিটেও চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ করা যায়নি। টাইব্রেকারেই হয় ফয়সালা। যেখানে ৫-৩ গোলে স্পেনকে হারিয়ে পর্তুগাল নিশ্চিত করে শিরোপা। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার পর্তুগাল জিতল উয়েফা নেশন্স লিগ। ২০১৯ সালে পেয়েছিল প্রথমবার।

চল্লিশ পেরোনো রোনালদো এই ম্যাচেও গোল করেছেন। হয়তো ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোল। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা চলছিল। স্পেন ২-১ এ এগিয়ে। গোল শোধে মরিয়া পর্তুগাল একের পর এক আক্রমণে যাচ্ছে কিন্তু ফিনিশিংয়ের ঘাটতির কারণে গোল পাওয়া হচ্ছিল না। 

৬৫ মিনিটে রোনালদো দলকে সমতায় ফেরান। মেনডেসের ক্রস থেকে ডি বক্সের ভেতরে বল পান রোনালদো। স্পেনের রক্ষণের খেলোয়াড়ের বাধায় বল ঠিকঠাক জায়গা মতো পাননি রোনালদো। কিন্তু তার নিখুঁত শট খুঁজে নেয় স্পেনের জাল। স্কোরলাইন ২-২। এরপর নির্ধারিত সময়ের খেলা অমীমাংসিত থাকে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও গোলের দেখা পায়নি কেউ। 

ফাইনাল ম্যাচ টাইব্রেকারে গিয়ে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়। পর্তুগাল সবগুলো শটে গোলের দেখা যায়। স্পেনের প্রথম তিনটি শটও ছিল গোল। চতুর্থ শট নিয়েছিলেন অধিনায়ক মোরাতা। কিন্তু গোলরক্ষক কস্তা ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বল আটকে দেন। পরের শটে নেভেস গোল করে পর্তুগালকে জেতান শিরোপা। 

ম্যাচের ৮৮ মিনিটে চোট পেয়ে উঠে যান রোনালদো। পেনাল্টির পুরোটা সময় তার চোখে মুখে ছিল চিন্তার ভাঁজ। স্পেন গোল করলেই মুখটা বিষন্ন হয়ে আসে। নিজের দলের খেলোয়াড়রা গোল করলে তার মুখে হাসি ফোটায়। মিশ্র এই অনুভূতির মাঝেই কস্তা মোরাতার শট আটকে দিলে চোখের কোণে জল চলে আসে রোনালদোর। 

এরপর নেভেসের শট লক্ষ্যভেদ হলে নিজেকে আর আটকে রাখতে পারেননি সিআরসেভেন। মাটিতে বসে কান্নায় সবুজ গালিচা ভিজিয়ে দেন। উঠে দাঁড়িয়েও আনন্দাশ্রু ঝরতে থাকে। মাঠের আনুষ্ঠানিকতা শেষে যখন শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন তখন আনন্দের জোয়ারে ভেসে যায় সব। ব্যক্তিগত অর্জনে টইটুম্বুর রোনালদো দেশের জার্সিতে ২০১৬ ইউরো, ২০১৯ নেশন্স লিগ জিতেছিলেন। ছয় বছর পর আবার জিতলেন নেশন্স লিগ। 

কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল…তিন নক আউট ম্যাচেই রোনালদো গোল করেছেন। ২২০তম ম্যাচে এটি রোনালদোর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১৩৮তম গোল। যা তার পেশাদার ক্যারিয়ারের ৯৩৮তম গোল।

ফাইনাল ম্যাচে স্পেন দুইবার এগিয়ে যায়। প্রথমে ২২ মিনিটে। জুবিমেন্ডি অতি সহজেই গোল পেয়ে দলকে এগিয়ে নেন। লিড অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি স্পেন। বক্সের বাইরে থেকে নেটোর বাড়ানোর পাস নিয়ে এগিয়ে নেন মেনডেস। ক্ষীপ্রতায় এগিয়ে যান ভেতরে। এরপর বামপায়ের জোরালো শটে বল পাঠান জালে। ১-১ এ খেলা সমতা।

কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার আগে আবার গোল হজম করে পর্তুগাল। পেড্রির বাড়ানো বল ইয়ারজাবাল শট নিয়ে স্পেনকে এগিয়ে দেন। কিন্তু ওই এগিয়ে যাওয়াতে তেমন লাভ হয়নি। রোনালদোর গোলে পর্তুগাল ম্যাচে সমতা ফেরায়। এরপর টাইব্রেকারে পর্তুগাল উড়ায় বিজয়ের পতাকা। পাঁচবারের ব্যালন ডি অরের সাফল্যের মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত হলো। দেখার বিষয়, চল্লিশ পেরিয়ে যাওয়া রোনালদো কোথায় গিয়ে থামেন। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ