সিলেটে প্রকাশ্যেই পাথর লুট, নেপথ্যে বিএনপি নেতারা
Published: 18th, June 2025 GMT
একসময় যত দূর চোখ যেত, পাথর আর পাথর দেখা যেত। এখন সেখানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত আর ধু–ধু চর। বছরের পর বছর ধরে লুটতরাজের কারণে পাথরসাম্রাজ্য সিলেটের কোয়ারি ও নদ-নদীগুলো এখন প্রায় পাথরশূন্য। বিশেষ করে গত ১০ মাস প্রকাশ্যেই লুট হয়েছে। এর নেপথ্যে বিএনপি ও এর অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের নেতারা রয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসনের নির্লিপ্ততার কারণে পাথর লুটপাট বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সিলেটের বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আখতার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হাজার হাজার মানুষ পাথর কোয়ারি আর নদ-নদী থেকে নির্বিচার পাথর লুটপাট করছেন। অথচ প্রশাসন তা ঠেকাতে কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না।
গত শনিবার সকালে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) জাফলং এলাকা পরিদর্শনে গেলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের গাড়িবহর আটকে দেন বালু-পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা। এসব আন্দোলনকারীর নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় ছাত্রদল, যুবদল ও শ্রমিক দলের কয়েকজন নেতা। এ সময় তাঁরা বন্ধ থাকা জাফলংসহ সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো চালুর দাবিতে স্লোগান দেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দুই উপদেষ্টার নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই গত সোমবার সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুলে ৩০টি ও জৈন্তাপুরে ৫টি মেশিনে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবারও সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুলে ৩৩টি ক্রাশার মেশিনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশনা দেয় সরকার। এর পর থেকে রাতের আঁধারে স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন চলত। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কোয়ারির নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা। তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় কয়েক হাজার পাথরশ্রমিক প্রকাশ্যে পাথর উত্তোলন শুরু করেন।
বড় বড় পাথরে ভরা ছিল পুরো এলাকা। ২০১৮ সালে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী বললেন, ‘আমি ৩৫ বছর ধরে বিএনপি করি’
ছবি: ফেসবুক থেকে