শরীয়তপুরে ছাত্রদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে আবারও সড়ক অবরোধ, যাত্রীদের দুর্ভোগ
Published: 18th, June 2025 GMT
শরীয়তপুরে ছাত্রদলের জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে একটি পক্ষ আজ বুধবারও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। আজ দুপুরে তারা ঢাকা–শরীয়তপুর সড়কের শহরের চৌরঙ্গী এলাকায় সড়কে বসে বিক্ষোভ করেছে। এ নিয়ে ১৫ দিন ধরে আন্দোলন করছে পক্ষটি।
অবরোধের কারণে সড়কটিতে এক ঘণ্টার বেশি সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়েন। কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষুব্ধ পক্ষটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর খোলাচিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছে।
৩ জুন ৩৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। এর পর থেকে ১৫ দিন ধরে একটি পক্ষ কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ, মশালমিছিল ও কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। নতুন এ কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। তাতে পুলিশ, পথচারীসহ ১৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কমিটির আহ্বায়ক এইচ এম জাকির আওয়ামী লীগ নেতাদের নেতৃত্বাধীন বাস মালিক সমিতির কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তাঁর এক ভাই শ্রমিক লীগের নেতা, আরেক ভাই যুবলীগের নেতা, ভাতিজা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। ওই কমিটিতে ইলেকট্রিশিয়ান, জজ কোর্টের আইনজীবীর সহকারী ও অছাত্রদের রাখা হয়েছে। এমন কমিটি আমরা মানি না। কমিটি বাতিল না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এইচ এম জকির প্রথম আলোকে বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর একটি পক্ষ বিরোধিতা করে আসছে। ওই পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা তা না শুনে জনদুর্ভোগের মতো বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছে।’
সদর উপজেলার পালং মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রদলের একটি কর্মসূচি করার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরে আমরা যানজট নিয়ন্ত্রণ করেছি। এ সময় পথচারীদের নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।’
আরও পড়ুনশরীয়তপুরে ছাত্রদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে মশালমিছিল, দুই পক্ষ মুখোমুখি১১ জুন ২০২৫আরও পড়ুনছাত্রদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়ক অবরোধ, দুই কিলোমিটার যানজট০৫ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র ক সড়ক অবর ধ র কম ট
এছাড়াও পড়ুন:
শেষ হলো বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’ সফলভাবে শেষ করেছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সমন্বয় এবং দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই মহড়ার মাধ্যমে দুই পক্ষের প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব জোরদার হয়েছে।
শনিবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকারের প্রতিফলন টাইগার শার্ক মহড়া। এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে চিকিৎসা প্রশিক্ষণ, টহল, লক্ষ্যভেদ অনুশীলন, সাঁতার, ডুবসাঁতার এবং ক্লোজ কোয়ার্টারস কমব্যাটসহ বিভিন্ন সমন্বিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত) ট্রেসি জ্যাকবসন বলেন, ‘এই যৌথ সামরিক মহড়া নিরাপদ, শক্তিশালী ও আরও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করে। এটি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্বেরও প্রতীক।’
কৌশলগত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি টাইগার শার্কে অন্তর্ভুক্ত ছিল বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের বিনিময়, যৌথ পরিকল্পনা সেশন এবং কৃত্রিম অনুশীলন পরিবেশে প্রশিক্ষণ। এসব কার্যক্রম ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত কৌশল গঠনে সহায়তা করা।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম যুদ্ধ কমান্ড, যা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রম তদারকি করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে।