ফেনীতে সংযোগ সড়ক ছাড়াই নদীর ওপর দাঁড়িয়ে আছে চারটি সেতু। জেলার তিনটি উপজেলায় চারটি নদীর ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উদ্যোগে এসব সেতু নির্মিত হয়। তবে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও জমি অধিগ্রহণ–সংক্রান্ত জটিলতায় তৈরি হয়নি সংযোগ সড়ক।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ফেনী জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফেনী জেলার দাগনভূঞা, সোনাগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি সেতু নির্মাণ করছে এলজিইডি। এর মধ্যে ডাকাতিয়া এবং পাহালিয়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হক ট্রেডার্স এবং ছোট ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ করে মেসার্স ছালেহ আহমদ, মুহুরী নদীর ওপর সেতু নির্মাণকাজ করে মেসার্স গ্রিনল্যান্ড সালেহ জেবি।

নির্মিত সেতুগুলোর বর্তমান অবস্থা

ডাকাতিয়া নদীর ওপর দাগনভূঞার সিলোনিয়ায় ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮১ মিটার দৈর্ঘ্যের যে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে, তার কাজ শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি। তিন বছর পর সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর। সেতুটি নির্মাণের দেড় বছর অতিবাহিত হলেও সংযোগ সড়ক এখনো না থাকায় চলাচলের উপযোগী হয়ে ওঠেনি।

ছোট ফেনী নদীর ওপর দাগনভূঞার মাতুভূঞায় ৯ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের যে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে, তার কাজ শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি। পাঁচ মাস পর একই বছরের ৩০ মে কাজটি স্থগিত করা হয়। তত দিনে মূল সেতু নির্মাণকাজ হয়ে যায়।

মুহুরী নদীর ওপর ছাগলনাইয়ার পাঠাননগরে ৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের যে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে, তার কাজ শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি। সাড়ে চার বছর পর সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয় চলতি বছরের ৫ জুন। সেতুটি নির্মাণকাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক এখনো না থাকায় চলাচলের উপযোগী হয়ে ওঠেনি।

কালিদাস পাহালিয়া নদীর ওপর সোনাগাজীর নবাবপুরে ৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯৬ মিটার দৈর্ঘ্যের যে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে, তার কাজ শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর। তিন বছর পর সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর। সেতুটি নির্মাণের দেড় বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক না হওয়ায় এখনো চলাচলের উপযোগী হয়ে ওঠেনি।

ফেনীর দাগনভূঞার মাতুভূঞায় ছোট ফেনী নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটিরও নেই কোনো সংযোগ সড়ক.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নদ র ওপর স ন র ম ণ কর র দ গনভ ঞ স য গ সড়ক পর স ত হয় ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

শত্রুতার জেরে কিশোরকে বিষপান ও এসিড ঢেলে হত্যার অভিযোগ

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় মর্মান্তিক ও নৃশংস এক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মো. হোসেইনকে (১৩) রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বিষপান করিয়ে এবং অণ্ডকোষে এসিড ঢেলে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। 

বুধবার (১৮ জুন) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওই কিশোর। নিহত হোসেইন উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। সে শিকারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল।

স্থানীয় সূত্র ও পারিবারিক দাবি অনুযায়ী, দুই মাস আগে শিকারপুর গ্রামের মইনুল হোসেনের মুদি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গ্রামে সালিশ বসে। সালিশে অভিযুক্ত সাইমুন নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে চুরির প্রমাণ পাওয়া গেলে গ্রামের সালিশে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সালিশে সাক্ষ্য দেন হোসেইনের বাবা আবু তাহের। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ওঠে সাইমুন।

হোসেইনের বাবা আবু তাহের বলেন, “৩১ মে আমার ছেলেকে রাস্তা থেকে তুলে নেয় সাইমুন ও তার ভাই আলাউদ্দিন। পরে জোর করে তাকে বিষপান করায় এবং তার অণ্ডকোষে এসিড ঢেলে দেয়। ছেলেটা কয়েকদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়েছে। শেষ পর্যন্ত আর বাঁচল না।”

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. অরূপ কুমার রায় বলেন, “শিশুটির গলা ফুলে গিয়েছিল, সে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। তার অণ্ডকোষ পুড়ে গিয়েছিল। অবস্থা ছিল অত্যন্ত জটিল।”

এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে সাইমুন ও তার ভাই আলাউদ্দিনকে। 

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, “আমরা মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

ঢাকা/রুবেল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ