ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্স ২০২৪ সালের পাবলিক শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে। গত সোমবার কোম্পানির ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ লভ্যাংশ অনুমোদিত হয়। এই বছরের জন্য স্পনসর-পরিচালকেরা লভ্যাংশ নেবেন না।

কোম্পানির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এ সভায় মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিমসহ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার অংশ নেন। সভায় কোম্পানির ২০২৪ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী উপস্থাপন ও অনুমোদন করা হয়।

সভায় চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও যুদ্ধের ঘনঘটার কারণে অর্থনীতি ব্যাপক হারে সংকুচিত হয়েছে। এর প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। এ রকম সময়ের মধ্যেও ২০২৪ সালে ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্সের প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ৯৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্স প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ৪২০ কোটি ৬০ লাখ টাকার বিমা দাবি পরিশোধ করেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কোম্পানিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

মাহবুবুর রহমান বলেন, ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্স শুরু থেকে ব্যবসায়িক নীতির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা বজায় রেখেছে। অনবদ্য ব্যবসায়িক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ এই কোম্পানিকে দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) ‘সেরা বার্ষিক প্রতিবেদন ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেছে। ২০২০ সালে বিমা খাতে অনবদ্য কার্যক্রম ও পরিচ্ছন্ন বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস (সাফা) ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্সকে ‘সেরা বার্ষিক প্রতিবেদন’ পুরস্কার প্রদান করে।

এ ছাড়া ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্স ২০১২-১৫ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) ‘বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে এবং ২০১৩ সালে আইসিএবির ‘সার্টিফিকেট অব মেরিট অ্যাওয়ার্ড’ সম্মানে ভূষিত হয়।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সোমবার ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্সের শেয়ার ১৭ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২০২৪ স ল অন ম দ

এছাড়াও পড়ুন:

থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%

এশিয়াসহ বিশ্বের চালের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এশিয়ায় চালের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মূলত বাজারে চালের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

থাইল্যান্ডসহ চালের অন্যান্য বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত ও মিয়ানমারে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারেও চালের দাম কমছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার খাদ্যসূচক অনুযায়ী, চলতি বছর চালের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এমনকি বিশ্ববাজার চালের দাম আগস্ট মাসে আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। খবর দ্য নেশনের

থাইল্যান্ডে চালের দামের এই নিম্নমুখী প্রবণতা একদম নতুন কিছু নয়, বেশ কয়েক মাস ধরেই এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষিবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে চালের দাম কম থাকায় দেশটির কৃষকেরা ধানের আবাদ কমিয়ে দিতে পারেন।

থাইল্যান্ডে গত বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম দাঁড়ায় টনপ্রতি ৩৩৫ ডলার। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৩৮ ডলার। থাইল্যান্ডের কৃষি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত ১৪ বছরে থাই সরকারের জনতুষ্টিমূলক নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কৃষকদের সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে প্রায় ৪০ বিালিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হলেও একধরনের নীতিগত ফাঁদ তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকেরা প্রযুক্তি উন্নয়ন, দক্ষতা বাড়ানো কিংবা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো থেকে নিরুৎসাহিত হয়েছেন।

সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ এসেছে। এটাও দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ভারত ও মিয়ানমারের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো চালের গুণগত মানের উন্নতি করেছে। আধুনিকতা এনেছে উৎপাদনব্যবস্থায়। ফলে তারা কম খরচে ভালো মানের চাল রপ্তানি করতে পারছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এখনো ভর্তুকিনির্ভর ব্যবস্থায় আটকে আছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এফএওর সূচক কমেছে

প্রতি মাসেই খাদ্যমূল্যসূচক করে থাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চালের দাম কেমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৪–এ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা ছিল ১১৩ দশমিক ৬। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক ছিল ১২৫ দশমিক ৭। সেই হিসাবে এক বছরে চালের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।

চালের দামের এই পতন শুরু হয় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত ধাপে ধাপে রপ্তানি–নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করে তখন। এ ঘটনা চালের বাজারে বড় প্রভাব ফেলে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সব ধরনের চালের মূল্যসূচক ১৩ শতাংশ কমেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের

অথচ ২০২৪ সালের শুরুতে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। তখন ভারত একের পর এক রপ্তানি সীমাবদ্ধতা জারি করলে ২০০৮ সালের পর চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে মজুতের প্রবণতা তৈরি হয়। অন্যান্য উৎপাদক দেশেও সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পর থেকে চালের দাম কমতে শুরু করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নীরবতা ভেঙে হঠাৎ রাজনীতিকে ‘না’ বলে দিলেন শমসের মুবিন চৌধুরী
  • এস আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগসংক্রান্ত আদেশ স্থগিত
  • পাড়ার মঞ্চ থেকে বড় পর্দায় 
  • বিকল্প শক্তির উত্থানে নভেম্বরের শেষে ‘জাতীয় কনভেনশন’ করবে বাম ঘরানার দলগুলো
  • থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%