ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্সের ১০% নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন
Published: 2nd, July 2025 GMT
ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্স ২০২৪ সালের পাবলিক শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে। গত সোমবার কোম্পানির ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ লভ্যাংশ অনুমোদিত হয়। এই বছরের জন্য স্পনসর-পরিচালকেরা লভ্যাংশ নেবেন না।
কোম্পানির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এ সভায় মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিমসহ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার অংশ নেন। সভায় কোম্পানির ২০২৪ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী উপস্থাপন ও অনুমোদন করা হয়।
সভায় চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও যুদ্ধের ঘনঘটার কারণে অর্থনীতি ব্যাপক হারে সংকুচিত হয়েছে। এর প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। এ রকম সময়ের মধ্যেও ২০২৪ সালে ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্সের প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ৯৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্স প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ৪২০ কোটি ৬০ লাখ টাকার বিমা দাবি পরিশোধ করেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কোম্পানিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্স শুরু থেকে ব্যবসায়িক নীতির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা বজায় রেখেছে। অনবদ্য ব্যবসায়িক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ এই কোম্পানিকে দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) ‘সেরা বার্ষিক প্রতিবেদন ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেছে। ২০২০ সালে বিমা খাতে অনবদ্য কার্যক্রম ও পরিচ্ছন্ন বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস (সাফা) ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্সকে ‘সেরা বার্ষিক প্রতিবেদন’ পুরস্কার প্রদান করে।
এ ছাড়া ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্স ২০১২-১৫ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) ‘বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে এবং ২০১৩ সালে আইসিএবির ‘সার্টিফিকেট অব মেরিট অ্যাওয়ার্ড’ সম্মানে ভূষিত হয়।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সোমবার ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্সের শেয়ার ১৭ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুবিতে র্যাগিং: ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কারসহ বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র উ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ১৭ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র পরামর্শককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ২ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীরা নিয়মিত র্যাগিংয়ের শিকার হন। পরে ১৬ জুলাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রক্টরিয়াল বডি র্যাগিং চলাকালে হাতেনাতে অভিযুক্তদের আটক করেন। এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচনে নারী ভোটকেন্দ্র পরিবর্তনের দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্র
জাবিতে পোষ্য কোটা বহাল, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার ও আজীবন হল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া একই শিক্ষাবর্ষের আরো ১৭ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর পাশাপাশি মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের আবদুল্লাহ আরাফাত ও রিফা সানজিদা।
মুচলেকা এবং শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে- আবদুল্লাহ আরাফাত, রিফা সানজিদা, সাবিয়া সুলতানা, আনোয়ারুল ইসলাম, মো. শাহ মখদুম, মোহাম্মদ আয়াতুল্লাহ, মো. জাহিদুল ইসলাম, রাজিয়া সুলতানা লুৎফা, মো. হাসিবুর রহমান, মো. মাহমুদুর রহমান, আফতাব উল হক খান, মো. আশিকুর রহমান (সি. আর), শিপন চন্দ্র সরকার, মাহমুদুল হাসান তামিম, শেখ সৌরভ উদ্দিন জয়, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. সুমন রানা, জিনাত জাহান ও সাবিকুন নাহার মিমকে।
শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনে অবহেলা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তাদের পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোসা. শামসুন্নাহারের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিভাগের তৎকালীন ছাত্র উপদেষ্টা ও সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহিন উদ্দিন বলেন, “প্রথমেই বলে রাখি, আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি। আমি দায়িত্বে থাকাকালে আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমি সিআরদের গ্রুপে মেসেজ দিয়েছি, কথা বলেছি সবার সঙ্গে। তারপরেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে।”
শোকজের বিষয়ে তিনি বলেন, “শোকজের বিষয়টি আমি দেখেছি। দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরও এমন সিদ্ধান্ত আমার জন্য অপমানজনক। আমরা শোকজের জবাব দেব।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, “তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই সুপারিশ করা হয়েছে। র্যাগিং একটি বিকৃত মানসিকতার কাজ। র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি। ভবিষ্যতে র্যাগিং হবে একটি নোংরা শব্দ।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী