৫ আগস্ট চিরদিনের জন্য আমার স্মৃতিতে খোদাই হয়ে গেছে: বাঁধন
Published: 5th, August 2025 GMT
গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যত্থানের মুখে দেশ ছাড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ আন্দোলনের শুরু থেকে জোরোলো ভূমিকা পালন করেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। কখনো ফেসবুকে, কখনো দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজের ব্যানারে রাজপথে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে আগস্ট মাসের শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার নানা অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন বাঁধন। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজপথে ছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা জানিয়ে আজ ফেসবুকে দুটো পোস্ট দিয়েছেন, ব্যক্ত করেছেন সেই অনুভূতি।
একটি পোস্টে আজমেরী হক বাঁধন বলেন, “আমি এই দিনটি চিরকাল মনে রাখব। ৫ আগস্ট ২০২৪ এর সকাল—ভয় আর আশায় ভরা, কিন্তু সাহস আর অটল দৃঢ়তায় পূর্ণ ছিল। কী এক মুহূর্ত ছিল। কী এক অভিজ্ঞতা। এই দিনটা চিরদিনের জন্য আমার স্মৃতিতে খোদাই হয়ে গেছে।”
আরো পড়ুন:
বাঁধন-সাবার ভার্চুয়াল দ্বন্দ্বে যোগ দিলেন অরুণা বিশ্বাস
‘আমরা জানি না আজ আমাদের জীবনে কী ঘটতে যাচ্ছে’
এর কয়েক ঘণ্টা পর বাঁধন তার দ্বিতীয় পোস্টটি দিয়েছেন। তাতে এ অভিনেত্রী বলেন, “৫ আগস্ট ২০২৪ এর সেই দুপুর—আনন্দ আর অভূতপূর্ব উচ্ছ্বাসে ভরা। যখন খবর ছড়িয়ে পড়ে, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, জনতার গর্জন তাকে তাড়িয়েছে, তখন যে উল্লাস, যে বিস্ফোরণ জনতার মাঝে দেখা গিয়েছিল, তা আমি জীবনে কখনো দেখিনি। বাসায় বসে, অফিস থেকে বা শুধু সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করে এই অনুভূতি কখনো বুঝতে পারবেন না। এটা অনুভব করার জন্য আপনাকে সেখানে থাকতে হতো।”
“পুরো জাতি একসঙ্গে জেগে উঠেছিল। কেউ কেঁদেছে, কেউ হেসেছে, কেউ নেচেছে, কেউ স্লোগান দিচ্ছিল। বাতাসে ছিল স্বাধীনতার বিদ্যুৎ। সেই মুহূর্তটাই আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান স্মৃতি। আমি বাংলাদেশের মানুষদের নিয়ে গর্বিত। কি এক বিজয়। কি এক অসাধারণ সাফল্য।” বলেন বাঁধন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পণ্য রপ্তানিতে বিলিয়ন ডলারের কাছে ইয়াংওয়ান, অর্ধবিলিয়ন ছাড়িয়ে হা-মীম, মণ্ডল ও ডিবিএল
বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিতে শীর্ষ অবস্থানটি দক্ষিণ কোরীয় ব্যবসায়ী কিহাক সাংয়ের মালিকানাধীন ইয়াংওয়ান করপোরেশনের। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশীয় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদের মালিকানাধীন হা-মীম গ্রুপ।
ইয়াংওয়ান ও হা-মীম ছাড়াও রপ্তানিতে সেরা দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা বাকি আট শিল্প গ্রুপ হচ্ছে মণ্ডল গ্রুপ, ডিবিএল গ্রুপ, অনন্ত, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপ, পলমল গ্রুপ, প্যাসিফিক জিনস গ্রুপ ও মাইক্রো ফাইবার গ্রুপ।
সেরা দশে থাকা নয়টি শিল্প গ্রুপের রপ্তানির ৯০ থেকে ১০০ শতাংশই তৈরি পোশাক। এই তালিকায় ব্যতিক্রম শুধু প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য থেকে শুরু করে জুতা, আসবাব, প্লাস্টিক ও হালকা প্রকৌশল পণ্য—প্রায় সবই আছে শিল্প গ্রুপটির রপ্তানির তালিকায়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রপ্তানি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে প্রথম আলো বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের শীর্ষ ১০ শিল্পগোষ্ঠীর এই তালিকা তৈরি করেছে। এনবিআরের পরিসংখ্যান থেকে স্থানীয় বা প্রচ্ছন্ন রপ্তানি ও নমুনা রপ্তানি বাদ দিয়ে প্রকৃত রপ্তানির হিসাব নেওয়া হয়েছে।
এনবিআরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশ থেকে মোট ৪৬ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৬৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষ দশ গ্রুপের সম্মিলিত রপ্তানির পরিমাণ ৫ দশমিক ২৫ বিলিয়ন বা ৫২৫ কোটি মার্কিন ডলার, যা মোট রপ্তানির ১১ শতাংশ।
গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক শিল্পগোষ্ঠী