Prothomalo:
2025-09-21@18:10:58 GMT

শীর্ণ রাত্রির উপকূলের মতো

Published: 7th, August 2025 GMT

মাটির ঘ্রাণ

স্যাটেলাইট ছুঁয়ে ফিরে এল

হিরণ্যকশিপুর ছায়া

ঘুমিয়েছে নৃসিংহ অবতার

আকাশে ওড়ে না পাখি

 ইন্দ্রধামে ড্রোনের ওড়াউড়ি

কৃষ্ণের বাঁশির সুর অ্যালগরিদমে

সেই সুরে জেগে ওঠে বিজ্ঞাপনী রাধা।

প্রাচীন বটগাছকে প্রশ্ন করে নবীন লতাগুল্ম—

‘তোমার শেকড়ের গভীরতা কত টেরাবাইট?’

সিগন্যালের ড্রপে হারিয়ে যায় উর্বশী

তাকে আর ডাকে না সংগীত

শ্রাবণসন্ধ্যায় জন্ম নেয় একটি কামিনী

স্পর্শ না করেও যে সংস্পর্শে থাকে.

..

তবু কেউ একজন—তুমি কিংবা আমি

ড্রোন আর স্যাটেলাইটের মাঝে—

আজীবন খুঁজে ফিরি মাটির ঘ্রাণ

কোয়ান্টাম অবস্থা

সে নিকটে এলেই ইলেকট্রনের মতো

কেঁপে ওঠে আমার হৃদয়ের কক্ষপথ

যেন একান্ত নিরবচ্ছিন্ন সেই তরঙ্গ...

বুকের মধ্যে বিগ ব্যাংয়ের প্রতিধ্বনি—

আলোক বিচ্ছুরণ

প্রথম দেখা, প্রথম কথা

হাসি যেন তার ফোটনপ্রবাহ

সাড়া জাগায় নিউরনজালে

স্নায়ুর মাধ্যাকর্ষণে স্পর্শের সংকেত...

আমার মস্তিষ্কে সে এক অনাদি ধ্রুবক

যাকে ছেড়ে দিলে সমীকরণ দাঁড়ায় না আর

চোখে চোখ রাখলে হারিয়ে যাই কৃষ্ণবিবরে

ফানাফিল্লাহ হয়ে যাই চেতনার নিউক্লিয়াসে

তুমি চলে গেলে—সময় থেমে যায়,

আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাও ব্যর্থ হয়ে পড়ে

ভালোবাসা মানে নিউটনের সূত্র ভেঙে

ভাবনার মহাশূন্যে নতুন এক ঢেউ

কখনো সে সুপারনোভা-বিস্ফোরিত আগুন

কখনো নিঃশব্দ ডার্ক ম্যাটার

প্রতিটি অণুতে তার অনুপস্থিতি অপরিমেয়

কারণ, সে কোয়ান্টাম অবস্থা

একইসঙ্গে—আছে, আবার নেই।

নোটিফিকেশনের ফাঁকে

যখন অফিস শেষে ট্রাফিকে আটকে থাকি,

নোটিফিকেশনের ফাঁকে জ্বলে ওঠে তোমার মেসেজ—

ব্যস্ত, অসুস্থ এই নগরীতে একঝলক ফাল্গুনি হাওয়া

মেট্রোর অজস্র যাত্রীর ভিড়ে দাঁড়িয়ে থাকা প্রেম

হাত ধরতে না পারার তীব্র অপূর্ণতা—

পরের স্টেশনে নেমে যাওয়ার অনিশ্চয়তা

তুমি সিটি স্ক্যানের মতো ব্যস্ত

আমি জিপিএস হারানো ট্যাক্সির যাত্রী—

দুজনের কেউই পৌঁছাই না কোথাও

আমাদের আর ‘ভালোবাসি’ বলা হয় না কখনো

যৌথ সুরে বাঁধা

আঙুলে ছিল আগুনের ডাক

হৃদয়রেখায় মৃদু আলো ছড়ায় জোনাকি

রাতের নৈঃশব্দ্যে জেগে ওঠে সমুদ্রের ঢেউ

দুই তীর, দুই শরীর—একই স্রোতে বাঁধা

সূক্ষ্ম একটি তরঙ্গ দুলে ওঠে তোমার স্পর্শে

বিদ্যুৎ খেলে যায় শিরায় শিরায়

করতলে অনাবিষ্কৃত মানচিত্র—

যৌথ পাহাড়, আদি গুহাচিত্রের অনিবার্য ডাক

শরীর হয়ে ওঠে বইছুট অস্থির কবিতা

প্রতিটি ঘ্রাণ, প্রতিটি অস্ফুট শীৎকার—

যৌথ সুরে বাঁধা, তোমার-আমার

গাণিতিক মিথ

কোথাও কোনো নিশ্চিত পথ নেই

যদিও হঠাৎ ভেসে ওঠে ক্ষীণ রেখা

শীর্ণ রাত্রির উপকূলের মতো—

হারিয়ে যায় দৃষ্টির অতলে

আর যে পদচিহ্ন ছড়িয়ে আছে—

সংসারজুড়ে, চারদিকে, অস্পষ্ট

তাকে স্পর্শ করার মতো ভাষা—

আমার তো জানা নেই।

শূন্যস্থানই একমাত্র উপপাদ্য

নিজেকে যত বেশি প্রমাণ করি—

শূন্য হয়ে উঠি নিজেকে হারিয়ে

পূর্ণতা কি তবে গাণিতিক মিথ!

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স পর শ

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সের ব্যাটিং ঝলক আর বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ডের সিরিজ জয়

ডাবলিনের মালাহাইড ভিলেজে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের নায়ক জর্ডান কক্স করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। সঙ্গে লিয়াম ডসন, জেমি ওভারটন ও আদিল রশিদের বোলিং জাদুতেই ধরা খেল স্বাগতিকরা।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৪ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের মূল ভরসা ছিলেন গ্যারেথ ডেলানি। শেষদিকে তার ঝড়ো ২৯ বলে অপরাজিত ৪৮ রানে ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পায় দল। ইনিংসে ছিল ৪টি চার আর ৩টি বিশাল ছক্কা। ওপেনার রস অ্যাডায়ার ২৩ বলে ৩৩ এবং তিন নম্বরে নামা হ্যারি টেক্টর ২৭ বলে ২৮ রান যোগ করেন। তবে অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে দ্রুত ফেরান ডসন। পরে টেক্টরকেও আউট করে ২ ওভারে ৯ রানে ২ উইকেটের বোলিং ফিগার দাঁড় করান তিনি।

আরো পড়ুন:

ভারতকে ১৭২ রানের টার্গেট ছুড়ল পাকিস্তান

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে ভারত

জেমি ওভারটন তার চার ওভারে লরকান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্ফারকে ফিরিয়ে আয়ারল্যান্ডের মিডল অর্ডারে আঘাত হানেন। সবচেয়ে কার্যকরী ছিলেন লেগস্পিনার আদিল রশিদ। ইনিংসের শেষভাগে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ২৯ রানে ৩ উইকেট।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারেই সিনিয়র ব্যাটার জস বাটলারকে শূন্য রানে ফেরান ব্যারি ম্যাককার্থি। অধিনায়ক জেকব বেথেলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, করেন মাত্র ১৫ রান।

তবে একপ্রান্ত আগলে ব্যাট চালান ফিল সল্ট। ২৩ বলে ২৯ রানের ইনিংসে দুই চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে গড়েন কক্সের সঙ্গে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। সেখানেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। কক্স খেলেন ৩৭ বলে ৫৫ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস। যেখানে ছিল নিয়ন্ত্রিত শটের ছড়াছড়ি। শেষ পর্যন্ত বেন হোয়াইট তাকে বোল্ড করলেও তখন জয় প্রায় নিশ্চিত।

বাকি কাজটা সেরে দেন টম ব্যান্টন ও রেহান আহমেদ। ব্যান্টনের ২৬ বলে অপরাজিত ৩৭ রানে ভর করে ১৭.১ ওভারেই ৪ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।

এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল ইংল্যান্ড। 

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ