চুয়াডাঙ্গায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার স্বর্ণসহ যুবক আটক
Published: 8th, August 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়েছে ভারতে পাচারকালে সাড়ে ৩ কোটি টাকার বেশি দামের ২১টি স্বর্ণের বারসহ আবিদ মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আবিদ মিয়া জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের আনার আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত পৌনে ৮টার দিকে ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার হায়দার আলী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজিবি জানিয়েছে, ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারিরা ভারতে স্বর্ণ পাচার করবে। তার নেতৃত্বে বিজিবির একটি দল সীমান্ত পিলার নম্বর ৭৫/৩-এস থেকে আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দর্শনা পৌর এলাকার ইশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের রাস্তার ওপর অবস্থান নেয়। বেলা আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটে বিজিবির দলটি একটি মোটরসাইকেলে করে দুজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে। তাদেরকে থামার জন্য সংকেত দেওয়া হলে একজন মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে পায়। আবিদ মিয়া সোনার বারসহ মোটরসাইকেল থেকে নেমে পাশের একটি ছোট পুকুরে ঝাঁপ দেয়। বিজিবির সদস্যরা পানিতে নেমে আবিদ মিয়াকে আটক করে। এ সময় সে তার কাছে থাকা একটি প্যাকেট সদৃশ বস্তু পুকুরে ফেলে দেয়। বিজিবি তার দেহ তল্লাশি করে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো একটি প্যাকেট জব্দ করে। পরে বিজিবির সদস্যরা পুকুর থেকে চোরাকারবারির ফেলে দেওয়া অপর প্যাকেটটিও উদ্ধার করে। দুটি প্যাকেট থেকে ২১টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। এছাড়াও আটক ব্যক্তির ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২০২ টাকা জব্দ করা হয়। উদ্ধার করা স্বর্ণের বারগুলোর ওজন ২ কেজি ৪৪৯ গ্রাম। এগুলোর দাম আনুমানিক ৩ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ৮৯০ টাকা।
আরো পড়ুন:
রাঙামাটির জুড়াছড়ি সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
ভোমরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
এ ঘটনায় বিজিবির নায়েক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করে আটক ব্যক্তিকে থানায় হস্তান্তর করেছেন। জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ র ব র
এছাড়াও পড়ুন:
ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুট: ৬ দপ্তর ও বেলার কাছে নথি চেয়েছে দুদক
সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে ছয়টি সরকারি দপ্তর ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কার্যালয়ের কাছে নথিপত্র চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথকভাবে এসব চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যে দপ্তরগুলোর কাছে নথি তলব করা হয়েছে, সেগুলো হলো সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসন অফিস, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কোম্পানীগঞ্জ থানা, খনিজ সম্পদ ব্যুরো ও খনিজ সম্পদ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বেলার সিলেট অফিস।
দুদক সূত্র জানায়, চিঠিগুলোয় যেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ভোলাগঞ্জ এলাকায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) যেসব তদন্ত করেছে, তার সত্যায়িত কপি ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বিস্তারিত পরিচয়; কী পরিমাণ পাথর উত্তোলন বা আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং কতটা অবশিষ্ট রয়েছে, তার তথ্য; পাথর উত্তোলনের কারণে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির হিসাব; পাথর লুট নিয়ে বিএমডি থেকে দায়ের করা মামলার এজাহারের কপি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম ও গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ও দায়ী সরকারি–বেসরকারি ব্যক্তিদের নাম।
আরও পড়ুনপাথর তোলায় রাজনৈতিক দলের ‘ঐকমত্য’, পরে লুট, ঘটল কীভাবে ১৪ আগস্ট ২০২৫এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর দুদক জানিয়েছিল, ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটে রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। উপপরিচালক রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অপরাধের মাত্রা ও সংশ্লিষ্টতার ধরন বিবেচনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।