গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে। বর্তমানে সিসিটিভি ফুটেজের সাথে তাদের মিলিয়ে সনাক্তকরণের কাজ চলছে।
হত্যার ঘটনায় নিহত সাংবাদিকের বড়ভাই একটি হত্যা মামলা করেছেন।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন খান। তিনি বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহভাজন পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না।”
নিহত মো.
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, দাড়িওয়ালা ও মাথায় ক্যাপ পরা ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান চাপাতি হাতে দৌড়াচ্ছে। তার সঙ্গে শাহজামাল, বুলেট ও সুজনসহ আরও কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম এখনো পলাতক ও চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক হত্যার ঘটনার পর থেকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে আসামিদের চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় তার বড়ভাই মো. সেলিম বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুর চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবের ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
ঢাকা/রেজাউল/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ৬ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ৬ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। পৃথক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মহেশপুর সীমান্তের পলিয়ানপুর ও বাঘাডাঙ্গা বিওপি বিজিবির কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক মুন্সি ইমদাদুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
টেকনাফে মানব পাচারকারী চক্রের আস্তানা থেকে ৮৪ জনকে উদ্ধার
সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে আরো ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
বিজিবি জানিয়েছে, সোমবার পৃথক সময়ে ভারতে অবস্থান শেষে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে সুন্দর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ৬ বাংলাদেশিকে আটক করে। আটকদের মধ্যে তিনজন নারী, দুজন শিশু ও একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ। পরে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধীন পলিয়ানপুর ও বাঘাডাঙ্গা বিওপির সঙ্গে পৃথক পতাকা বৈঠক আহ্বান করে বিএসএফ। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ আটক বাংলাদেশিদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এরপর আটক নারী ও শিশুদের যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়। এছাড়া, প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ বাংলাদেশিকে মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি। আটক ৬ বাংলাদেশি হস্তান্তরের ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মহেশপুর থানায় পৃথক দুটি জিডি করা হয়েছে।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আটক একজনের নামে মামলা করা হবে। মামলার মাধ্যমে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। আটক নারী ও শিশুদের যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।’’
ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব