অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, ১১ নারী আটক
Published: 8th, August 2025 GMT
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার একটি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ১১ জন নারীকে আটক করেছে বিজিবি।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) ভোরে উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের শুকানী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার আমজোয়ানী সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা সবাই বাংলাদেশি।
৫৬ বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দুটি দল অভিযানে নামে। সীমান্ত পিলার ৭৪২/১-এস থেকে প্রায় ৬০০ গজ ভেতর থেকে ১১ নারীকে আটক করা হয়। তারা যশোর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
নওগাঁয় ১৮ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
চুয়াডাঙ্গায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার স্বর্ণসহ যুবক আটক
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, একাধিক দালালের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তারা সীমান্তে আসেন। আটকদের কাছ থেকে নগদ ৭০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের তেঁতুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হবে।
নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধে সীমান্তজুড়ে বিজিবির নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
ঢাকা/নাঈম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুট: ৬ দপ্তর ও বেলার কাছে নথি চেয়েছে দুদক
সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে ছয়টি সরকারি দপ্তর ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কার্যালয়ের কাছে নথিপত্র চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথকভাবে এসব চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যে দপ্তরগুলোর কাছে নথি তলব করা হয়েছে, সেগুলো হলো সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসন অফিস, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কোম্পানীগঞ্জ থানা, খনিজ সম্পদ ব্যুরো ও খনিজ সম্পদ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বেলার সিলেট অফিস।
দুদক সূত্র জানায়, চিঠিগুলোয় যেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ভোলাগঞ্জ এলাকায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) যেসব তদন্ত করেছে, তার সত্যায়িত কপি ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বিস্তারিত পরিচয়; কী পরিমাণ পাথর উত্তোলন বা আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং কতটা অবশিষ্ট রয়েছে, তার তথ্য; পাথর উত্তোলনের কারণে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির হিসাব; পাথর লুট নিয়ে বিএমডি থেকে দায়ের করা মামলার এজাহারের কপি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম ও গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ও দায়ী সরকারি–বেসরকারি ব্যক্তিদের নাম।
আরও পড়ুনপাথর তোলায় রাজনৈতিক দলের ‘ঐকমত্য’, পরে লুট, ঘটল কীভাবে ১৪ আগস্ট ২০২৫এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর দুদক জানিয়েছিল, ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটে রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। উপপরিচালক রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অপরাধের মাত্রা ও সংশ্লিষ্টতার ধরন বিবেচনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।