রোহিত-গিলের পর পন্তও রঞ্জি ট্রফিতে, কোহলির কি খবর?
Published: 15th, January 2025 GMT
রোহিত শর্মা মুম্বাইর রঞ্জি ট্রফির দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করেছেন। শুভমান গিলও পাঞ্জাবের হয়ে রঞ্জি ট্রফির পরের রাউন্ড খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি, ২০২৫) জানা গেল ঋষভ পন্তও রঞ্জি ট্রফিতে খেলবেন। তিনি ইতোমধ্যে দিল্লিকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে তিনি উন্মুক্ত। শিগগিরই তিনি রাজকোটে দলের সঙ্গে যোগ দিবেন। ২৩ জানুয়ারি সৌরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলবে দিল্লি। পন্ত সবশেষ ২০১৭-২০১৮ মৌসুমে খেলেছিলেন রঞ্জি ট্রফিতে।
পন্তের খেলার আগ্রহ প্রকাশ করার বিষয়ে দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি অশোক শর্মা বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, পন্ত খেলার আগ্রহের কথা জানিয়েছে। সে খেলার জন্য প্রস্তুত। রাজকোটে দলের সঙ্গে সরাসরি যোগ দিবে সে।’’
রোহিত-গিল-পন্ত রঞ্জিতে ফেরার আগ্রহ দেখালেও বিরাট কোহলির বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। যদিও ক্রিকেটবোদ্ধারা রোহিত ও কোহলিকে বলেছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে। কোহলি ২০১২ সালের পর আর কখনো খেলেননি রঞ্জি ট্রফিতে।
আরো পড়ুন:
চেক বাউন্সের পর রাজশাহীর অনুশীলন বাতিল
আইসিসির মাসসেরা বুমরাহ
কোহলির বিষয়ে অশোক বলেছেন, ‘‘কোহলির বিষয়ে বলতে গেলে, আমরা চাচ্ছিলাম সে খেলুক। কিন্তু তার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাইনি এখনও। যেহেতু হরষিৎ রানা ইংল্যান্ডের বিপক্ষের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে আছে, সেহেতু তাকে পাওয়া যাবে না।’’
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হল ক হল র
এছাড়াও পড়ুন:
এখনও শিশু সাজিদের খোঁজ নেই, ৪৫ ফুটের নিচে ক্যামেরাও যাচ্ছে না
রাজশাহীর তানোরে গর্তে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে ২৪ ঘণ্টা পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার কোয়েল হাট পূর্ব পাড়া গ্রামে সাজিদ নামের দুই বছরের একটি শিশু ৩০–৩৫ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যায়। পরে বিকেল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, মূল গর্তের পাশ থেকে কেটে শিশুটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। ৪৫ ফুট গভীরে গিয়েও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। আজ বেলা আড়াইটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় উদ্ধারকাজ চলছিল। নিখোঁজ শিশুটি উপজেলার কোয়েল হাট পূর্বপাড়া গ্রামের মো. রাকিবের ছেলে।
এদিকে আজ উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শনে গেছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি ঢাকা থেকে আজ বেলা সাড়ে বারটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিশুটিকে না পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কাজ করে যাবে। প্রয়োজন হলে ১০০ ফুট পর্যন্ত যেতে হবে। এটা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
উদ্ধার কাজের যুক্ত ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা ওই গর্তে সার্চ ভিশন ক্যামেরা নামিয়ে দেখেছেন। তবে ৪৫ ফুটের পর আর ক্যামেরা যাচ্ছে না। এই পর্যায়ে কী করা যায়, তা নিয়ে শিশুটির পরিবার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আলোচনা করবেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, রাজশাহীর তানোর উপজেলার পচন্দর ইউনিয়নের এই গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। এ এলাকায় এখন গভীর নলকূপ বসানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। এ অবস্থার মধ্যে কোয়েল হাট গ্রামের কছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তাঁর জমিতে পানির স্তর পাওয়া যায় কি না, সেটা যাচাই করার জন্য গর্তটি খনন করেছিলেন। সেই গর্ত ভরাটও করেছিলেন, কিন্তু বর্ষায় মাটি বসে গিয়ে নতুন করে গর্ত সৃষ্টি হয়। সেই গর্তেই শিশুটি পড়ে যায়।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে দুই বছরের শিশু ৩০ ফুট গভীর গর্তে, ফায়ার সার্ভিস অক্সিজেন দিচ্ছে২০ ঘণ্টা আগেফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এক্সকাভেটর দিয়ে খনন শুরু হয়। ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। রাত ১০টার দিকে ছোট এক্সকাভেটর দিয়ে আর খনন করা সম্ভব হয়নি। রাজশাহী সিটি করপোরেশন থেকে পাঠানো বড় এক্সকাভেটর দিয়ে খনন শুরু করা হয়েছিল। আজ সকাল আটটার দিকে প্রায় ৩৫ ফুট গভীরে গিয়ে মূল গর্তের পাশ কেটে শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটি আরও গভীরে চলে গেছে।
আরও পড়ুন৩৫ ফুট গভীরেও শিশু সাজিদকে পাওয়া যায়নি, উদ্ধার অভিযান চলছে৫ ঘণ্টা আগে