নারীদের ভোটার তালিকায় আনতে বিশেষ নজর দিন: ইসি সানাউল্লাহ
Published: 15th, January 2025 GMT
নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, “আপনারা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের ভোটার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করুন। কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্ব না করে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা আবশ্যক।”
তিনি বলেন, “ভোটার হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে উৎসাহ দিতে হবে। নারীরা যেন তাদের বিভিন্ন নাগরিকসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে বিশেষ নজর দিতে হবে।”
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভোটার তালিকা হালনাগাদ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
ভোটার তালিকা হালনাগাদে সহায়তা করবে ইউএনডিপি
আইসিসির মাসসেরা বুমরাহ
ভোটার তালিকা করা এবং তা সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব উল্লেখ করে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, “ব্যক্তি যাতে নিয়ম অনুযায়ী ভোট দিতে পারেন, সেজন্য সঠিক ভোটার তালিকা করা আপনার-আমার সবার কর্তব্য। কারণ একটি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনে জয় পরাজয় নির্ধারিত হতে পারে।”
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ, খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো.
নির্বাচন কমিশনার সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করেন। এ সময় তিনি প্রধান উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে হতে পারে বলে ধারণা দেন। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারিত হবে বলেও জানান তিনি।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, “মূলত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মৃত ও ভুয়া ভোটার বাদ দিয়ে হালনাগাদ ভোটার তালিকা তৈরিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এবারের নির্বাচনের লড়াইটা কঠিন: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের লড়াইটা হবে কঠিন।
তিনি বলেন, “এবারের নির্বাচন আওয়ামী আমলের নির্বাচন নয়। নিরপেক্ষ পরিবেশেই ভোট হবে। জয়ী হতে হলে জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতেই হবে।”
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির পঞ্চম দিনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “এই নির্বাচন আওয়ামী অভয়ের নির্বাচন নয়। তাই জনগণের মন জয় করাই হবে মূল বিষয়। কে নমিনেশন পেল তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।”
তিনি আরো বলেন, “গত ৫ আগস্ট আমরা ফ্যাসিস্ট শাসনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেশে অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছিল। আমাদের নেতা বিদেশে থাকলেও তিনি আমাদের সংগঠিত রেখেছেন— তার প্রমাণ আপনাদের সামনে।”
তিনি জানান, আজ তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব গঠনের সুযোগ এসেছে এবং এ নেতৃত্বে থাকবেন তারেক রহমান।
ফখরুল বলেন, “আজকের লড়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শক্তিশালী মনোভাব নিয়ে এগোতে হবে। বিএনপির সংস্কার শুরু করেন জিয়াউর রহমান— রেমিট্যান্স, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, উন্মুক্ত অর্থনীতি। পরে বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষার প্রসার, নারীর ক্ষমতায়ন, যুবকদের কর্মসংস্থান বাড়িয়েছেন।”
গত ১৫ বছরের আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “আপনারা দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন— এখন সেই লড়াইয়ের শেষ প্রান্তে। নির্বাচনের মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে হবে। বিএনপি কখনো পরাজিত হওয়ার দল নয়।”
১৯৭১ প্রসঙ্গে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের অস্তিত্ব ১৯৭১। অথচ কেউ কেউ বলে ৭১-এর প্রজন্ম নাকি নিকৃষ্ট প্রজন্ম— তারা এমন কথা কীভাবে বলে?”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন বলেও তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বেগম রোকেয়া সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “নারী জাগরণের অগ্রদূতকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য। ৫ আগস্টের ঘটনার পর দেশে কোনো অন্ধ শক্তি সক্রিয় হচ্ছে কি না, সেটিও উদ্বেগের বিষয়।”
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা/মোহাম্মদ/ইভা