কোচ পিটার বাটলারকে অপসারণের দাবিতে বিদ্রোহ করছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের বেশ কয়েকজন সদস্য। তাদের মধ্যে অন্যতম মাতসুশিমা সুমাইয়া দাবি করছেন তাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে এসব দাবি করেন জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড মাতসুশিমা। এই সাফজয়ী কন্যা জানান তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং এই ট্রমা কিভাবে কাটিয়ে উঠবেন জানেন না।

“আমরা যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি, সেই পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার এবং সতীর্থদের জন্য ইংরেজিতে একটি চিঠি লেখার ন্যূনতম সামর্থ্য আমার আছে। কয়েক দিন ধরে আমি অসংখ্যবার মৃত্যু ও ধর্ষণের হুমকি পেয়েছি। হুমকিতে ব্যবহৃত শব্দগুলো আমাকে এমনভাবে ভেঙে দিয়েছে, যা আমি কল্পনাও করিনি।”

আরো পড়ুন:

চারে ফিরলো চেলসি

জোড়া গোলে ৭০০ জয়ের মাইলফলক ছুঁলেন রোনালদো, মেসি কোথায়?

‘‘আমি জানি না, এই মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে আমার কত সময় লাগবে। তবে এটা বলতে চাই, শুধু তাদের স্বপ্ন অনুসরণ করার জন্য আর কাউকে যেন এর মধ্য দিয়ে যেতে না হয়।’’

বাটলারের অপসারণ দাবিতে মেয়েরা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) বরাবর একটি চিঠি দেয়। ইংরেজিতে লেখা সেই চিঠি লেখেন সুমাইয়া। 

ফুটবলার হওয়ার আগে নিজের পরিবার সঙ্গে সংগ্রমের কথাও বলেন এই ফুটবলার, “ফুটবল খেলার জন্য আমি আমার মা–বাবার সঙ্গে লড়াই করেছি, শুধু এই বিশ্বাসে যে আমার দেশ আমার পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সত্যিকার অর্থে কেউই একজন ক্রীড়াবিদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করে না।”

২০২৪ সাফ পর্যন্ত তার ফুটবল যাত্রা সুন্দর ছিল বলে জানান সুমাইয়া, “ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী হিসেবে আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে মালদ্বীপে লিগ খেলা এবং বাংলাদেশের হয়ে ২০২৪ সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা পর্যন্ত যাত্রাটা আমার কাছে অম্লমধুর ছিল।”

এদিকে সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকির বিষয়ে বাফুফে কোনো ব্যাবস্থা নিচ্ছে কি না জানতে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেনকে ফোন দিলেও পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা দিলেও এই কর্তা দেননি সাড়া।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবির সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ দেড় ঘণ্টা পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ৪১ হাজার ভর্তিচ্ছু এতে নিয়েছেন। ঢাবির ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে পরীক্ষার্থীরা হলে প্রবেশের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। এ সময় তাদের সঙ্গে অভিভাবকরাও রয়েছেন।

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্র ফ্রন্ট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন ও ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক সংগঠনের হেল্প ডেস্ক দেখা গেছে।

পরীক্ষা শুরুর আগে রাকিব নামের এক ভর্তি পরীক্ষার্থী রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা দিতে এসেছি। জানি না পরীক্ষা কেমন হবে। কিছুটা ভয় ভয় করছে।”

পরীক্ষা শেষে তানিয়া নামে এক পরীক্ষার্থী রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “পরীক্ষা মোটামুটি ভালো হয়েছে। প্রত্যাশা করছি ফলাফল আশানুরূপ হবে। এবারের প্রশ্ন স্ট্যান্ডার্ড হয়েছে। তবে ঢাবির পরীক্ষার প্রশ্ন তো মনে হয় সহজ, অথচ কঠিন। বাড়িতে গিয়ে মিলিয়ে দেখলে বুঝতে পারব।”

ঢাবি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড় ছাড়া সবকিছুই ঠিকঠাক চলেছে। ভর্তি পরীক্ষার আবেদন থেকে পরীক্ষা দেওয়া পর্যন্ত কোন সমস্যার সম্মুখীন হইনি।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ভবনস্থ পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ প্রমুখ।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ বলেন, “এটি তীব্র প্রতিযোগিতামূলক একটি পরীক্ষা। দেশের আটটি বিভাগের ৬৭টি কেন্দ্রে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বহু মানুষের কঠিন পরিশ্রম আছে এ রকম একটি আয়োজনে।”

তিনি বলেন, “আমাদের সীমিত সামর্থের মধ্যে অভিভাবকদের অভিবাদন জানানোর জন্য একটু সামান্য কিছু চেষ্টা আমরা করেছি। যাতায়াত ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাটা যাতে আগের চেয়ে একটু ভালো হয় সেজন্য চেষ্টা করেছি। বিএনসিসি স্কাউটস গাইডস আনসার ভিক্টোরিয়াল টিমসহ একটা বড় অংশ এখানে ভলান্টিয়ারের কাজ করছেন।”

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির আসন রয়েছে ৬ হাজার ১০টি। এর মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ১ হাজার ৫০টি আসন রয়েছে। এ ছাড়া কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪, বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৮৯৬ এবং চারুকলা ইউনিটে কোটাসহ ১৩০টি আসন রয়েছে।

এবার পাঁচটি ইউনিটে ৩ লাখ ২৯ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। আসনপ্রতি আবেদন পড়েছে প্রায় ৫৫টি। বেশি আবেদন পড়েছে বিজ্ঞানে ১ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি। অনলাইন ভর্তি কমিটির তথ্য অনুযায়ী, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার ৪১৮টি আবেদন পড়ে। 

ব্যবসায় শিক্ষায় ৪০ হাজার ৯৭৩, চারুকলায় ৬ হাজার ৮৩ এবং আইবিএ ইউনিটে ১০ হাজার ২৭০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 

এর আগে, ৩ জানুয়ারি আইবিএ ইউনিট, ৪ জানুয়ারি চারুকলা ইউনিট (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) এবং ২৫ জানুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবাসাইট থেকে জানা যাবে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রতিদিন এক টেবিল চামচ মিষ্টিকুমড়ার বীজ খেলে যে ৫টি উপকার পাবেন
  • জাবিতে `ডি` ইউনিটের পরীক্ষায় ছাত্রীদের উপস্থিতি ৮২ শতাংশ
  • রুখতে পারেনি দারিদ্র্য, সুযোগ পেলেন মেডিকেলে ভর্তির
  • মানুষের মস্তিষ্কে প্লাস্টিক কণার উপস্থিতি দ্রুত বাড়ছে, উদ্বেগে বিজ্ঞানীরা
  • ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স
  • সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • মাধবপুরে কৃতি শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি দিল সায়হাম গ্রুপ
  • ঢাবির সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
  • জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আলেম সমাজের ভূমিকা অবিস্মরণীয়: চরমোনাই পীর
  • রুয়েটের ভর্তি, প্রাক-নির্বাচনী কাল, পরীক্ষা তিন শিফটে