১২ মাসে জয়ের চেয়ে হার বেশি, তবু বেতন বাড়ছে বাবর-সালমানদের
Published: 10th, July 2025 GMT
বেতন বাড়তে যাচ্ছে বাবর আজম, সালমান আগাদের। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৩৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাজেট এরই মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে পিসিবির বোর্ড অব গভর্নরস। ক্রিকেটারদের জন্য বার্ষিক বাজেট ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৭৩ কোটি ৪৯ লাখ পাকিস্তানি রুপি। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
বাড়ছে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়ের সংখ্যাও। আগে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকতেন ২৫ জন, যা এখন বাড়িয়ে ৩০ জন করা হবে। তবে ঘরোয়া চুক্তির ক্ষেত্রে বাজেট কাটা হয়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। আগে যেখানে এই বাজেট ছিল ৬৮ কোটি ৪০ লাখ রুপি। তা কমিয়ে করা হয়েছে ৪৫ কোটি রুপি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র পিটিআই-কে বলেছে, ঘরোয়া ক্রিকেটারদের চুক্তির বাজেট প্রায় ৩৪ শতাংশ কমানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দ্বিতীয় রাউন্ডেও যেতে পারেনি তারা। ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ কাছে ২–০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে দলটি।
১৭গত ১২ মাসে পাকিস্তানের জয়ের সংখ্যাসর্বশেষ ১২ মাসে পাকিস্তান ৯ টেস্ট খেলে জিতেছে মাত্র ৩টি, হেরেছে ৬টি। একই সময়ে ১৭টি ওয়ানডে খেলে ৮টি জিতেছে, হেরেছে ৯টি। অন্যদিকে ১৬টি টি-টোয়েন্টির মধ্যে জিতেছে ৬টি, হেরেছে ১০টি। সব মিলিয়ে সর্বশেষ ১২ মাসে পাকিস্তান তিন সংস্করণে ৪২টি ম্যাচ খেলে জিতেছে ১৭টি, হেরেছে ২৫টি।
আরও পড়ুন‘ভালোবাসার ক্রিকেট’ যুক্তি মানে না, তাই হেরে যায় বাংলাদেশ২১ ঘণ্টা আগেপিসিবি কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নারী ক্রিকেটারদের সংখ্যা ১৬ থেকে বেড়ে ২৪ করতে যাচ্ছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে নারীদের জন্য বাজেটও বাড়ছে, যদিও পরিমাণটা খুব বেশ নয়। নারী ক্রিকেটের ঘরোয়া বাজেটে ৪ শতাংশ বাড়তি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাতে বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৭২ লাখ রুপি। এ ছাড়া পিসিবি ১২টি প্রথম শ্রেণির মাঠের দায়িত্ব নিজে নিচ্ছে। এ মাঠগুলোর পিচ প্রস্তুতি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৯ কোটি ৩৬ লাখ রুপি।
বেতন বাড়তে যাচ্ছে বাবর আজম, সালমান আগাদের.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১২ ম স
এছাড়াও পড়ুন:
দুই বছরে উধাও ১৬ হাজার কোটি, আইপিএলের বাজারমূল্য কমছে কেন
বিশ্বের সবচেয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আইপিএল এখন এক অপ্রত্যাশিত অর্থনৈতিক ধাক্কার মুখে। টানা দ্বিতীয় বছরের মতো কমেছে আইপিএলের ব্র্যান্ডমূল্য।
২০২৩ সালে লিগটির মূল্য ধরা হয়েছিল ৯২ হাজার ৫০০ কোটি রুপি, যা ২০২৪ সালে নেমে আসে ৮২ হাজার ৭০০ কোটিতে। ২০২৫ সালে তা আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ১০০ কোটি রুপিতে। অর্থাৎ দুই বছরে উধাও হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঠের ক্রিকেট ঘিরে দর্শক আগ্রহ বাড়লেও দুটি প্রধান কারণে আইপিএলের ব্র্যান্ডমূল্য কমেছে। ভারতের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডি অ্যান্ড পি অ্যাডভাইজরির ‘বিয়ন্ড ২২ ইয়ার্ডস—দ্য পাওয়ার অব প্ল্যাটফর্মস, দ্য প্রাইস অব রেগুলেশন: আইপিএল অ্যান্ড ডব্লিউপিএল ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট ২০২৫’–এ এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কোনো ব্র্যান্ড বা ব্যবসার বাজারে সম্ভাব্য মূল্য, আয়, জনপ্রিয়তা ও ভবিষ্যৎ আয়ের ধারণার ওপর ভিত্তি করে ভ্যালুয়েশন বা আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়। ডি অ্যান্ড পি অ্যাডভাইজরির প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ ব্র্যান্ডমূল্য কমেছিল আইপিএলের। এবার কমেছে ৮ শতাংশ।
২০০৮ সালে শুরু হওয়ার পর প্রতিবছরই আগের বছরের তুলনায় আকারে বড় হয়েছে আইপিএল। এখন লিগটিতে খেলে থাকে ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। একজন খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিক দুই মাসের একটি আসরের জন্য ২৭ কোটি রুপি পর্যন্ত উঠেছে (২০২৫ আসরে ঋষভ পন্তের)। কিন্তু লিগের সার্বিক ব্র্যান্ডমূল্য কমার তথ্য দিচ্ছে উল্টো চিত্র।
আইপিএল নিয়ে দর্শক উন্মাদনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে