গাজীপুরে ইমামের মৃত্যুর ঘটনায় ১৭ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার নেই কেউ
Published: 3rd, May 2025 GMT
গাজীপুর জেলা কারাগারে ইমাম রইস উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনার ছয় দিন পর হত্যা মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রী মাজেদা আক্তার। গত শুক্রবার পূবাইল থানায় করা এ মামলায় তিনি ১৭ জনের নাম উল্লেখ করেন। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ জনকে। পূবাইল থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুমিল্লার বাসিন্দা রইস উদ্দিন গাজীপুর মহানগরের তাল গাছিয়ারটেক আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন। পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে অপবাদ দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে মাজেদা আক্তার উল্লেখ করেছেন, তাঁর স্বামী জুমাসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে মসজিদের মুসল্লিদের উদ্দেশে কোরআন ও সুন্নাহের আলোকে ধর্মীয় বয়ান দিতেন। হায়দারাবাদ এলাকার এক পক্ষ বয়ান পছন্দ করত এবং অন্য পক্ষ প্রতিনিয়ত হিংসা-বিদ্বেষ করত। বিরোধী পক্ষ রইস উদ্দিনকে মসজিদ থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করত। পরে বিবাদীদের মধ্যে একজনের সন্তানকে ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে গাছে বেঁধে গত রোববার সকালে গাছে বেঁধে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে মাথার চুল কেটে জুতার মালা গলায় দেয় এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় তারা। বিষয়টি পরিবারকে না জানিয়ে চার ঘণ্টা পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে রইস উদ্দিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে ওইদিন রাতেই তিনি মারা যান।
শনিবার ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, রইস উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা মামলা নিয়েছি। অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘মেরিনার কাজে প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়’
স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল বলেছেন, ‘মেরিনা তাবাশ্যুমের কাজে একজন প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়, যা নৈতিকভাবে শক্তিশালী ও সৎ। অভিব্যক্তিতে (এক্সপ্রেশন) সততা না থাকলে আমরা এগোতে পারব না।’
সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো স্থাপত্যে আগা খান পুরস্কার পান মেরিনা তাবাশ্যুম। এই পুরস্কারপ্রাপ্তি উদ্যাপন করতে গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন নাহাস আহমেদ।
মেরিনা তাবাশ্যুম সম্পর্কে তাঁর শিক্ষক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব আর্কিটেকচারের চেয়ারপারসন জয়নব ফারুকি আলী বলেছেন, ‘স্থাপত্য মানুষের জীবন ও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে কী অসাধারণভাবে মিশে যায়, মেরিনা তাবাশ্যুম সেটার স্বাক্ষর রেখেছেন তাঁর ঢাকার দক্ষিণখানের বায়তুর রউফ মসজিদে। ২০১৬ সালে যখন মসজিদটির উদ্বোধনে যাই, তখন মসজিদটির মোয়াজ্জিনের কাছে জানতে চাই, এ মসজিদের কোন বিষয়টি আপনার সবচেয়ে ভালো লাগে। মোয়াজ্জিন বলেছিলেন, “আমার এখান থেকে আজান দিতে ভালো লাগে।”’
মেরিনা তাবাশ্যুমের কাজে একজন প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়, যা নৈতিকভাবে শক্তিশালী ও সৎ। অভিব্যক্তিতে (এক্সপ্রেশন) সততা না থাকলে আমরা এগোতে পারব না।স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল।গতকাল ‘বিটুইন ইরোজন অ্যান্ড ইমার্জেন্স’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আর্কিকানেক্টের সহযোগিতায় সিরামিক বাংলাদেশ ম্যাগাজিন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন আর্কিকানেক্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্থপতি জালাল আহমেদ।
মেরিনা তাবাশ্যুম বলেন, ‘মসজিদের প্রকল্পটি ছিল ব্যক্তিগত। নানির দান করা জায়গায় ২০০৬ সালে এ মসজিদটির ডিজাইন শুরু করি। এটিকে শুধু মসজিদ হিসেবে না দেখে পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে যুক্ত করে মোর দ্যান মস্ক (মসজিদের চেয়েও বেশি কিছু) হিসেবে দেখার চেষ্টা করেছি।’
অনুষ্ঠান কথা বলছেন স্থাপতি মেরিনা তাবাশ্যুম