বারবার ঠোঁট ফাটছে? মেনে চলুন ঘরোয়া উপায়
Published: 4th, May 2025 GMT
ঠোঁট ফাটা শুধু যে শীতকালে হয় তা নয়, গরমের দিনেও এটা হতে পারে। অনেক সময় ঠোঁট এতটাই ফেটে যায় যে রক্ত পর্যন্ত বের হয়। তবে নিয়মিত যত্ন নিলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ঠোঁট ফাটার কারণ
সাধারণ কয়েকটি কারণে ঠোঁট ফেটে যায়। যেমন-পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া (ডিহাইড্রেশন), অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম আবহাওয়া, ঘন ঘন ঠোঁট চাটা বা কামড়ানো, মানানসই লিপ বাম ব্যবহার না করা, ভিটামিন বি, আয়রন বা জিঙ্কের অভাব
ঠোঁট ফাটা রোধে কার্যকর ঘরোয়া উপায়
নারকেল তেল : নারকেল তেলে থাকা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজিং ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে। দিনে ২–৩ বার ঠোঁটে হালকা করে তেল লাগান।
মধু ও গ্লিসারিনের মিশ্রণ : ১ চামচ মধু ও ১ চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে লাগান। এটি ঠোঁটকে নরম রাখে এবং ফাটা দ্রুত সারিয়ে তোলে।
ঘি বা দুধের সর : প্রাকৃতিক ঘি বা দুধের সর ঠোঁটের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে লাগাতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেল : অ্যালোভেরা ঠান্ডা ও হাইড্রেটিং উপাদানে ভরপুর। অ্যালোভেরা জেল ঠোঁটে লাগালে চুলকানি, জ্বালা ও ফাটাভাব কমে যায়।
শসার রস : শসা ঠোঁট ঠান্ডা ও ময়েশ্চারাইজ করে। শসার পাতলা স্লাইস ঠোঁটে ঘষে ৫–১০ মিনিট রেখে দিন। এটি ঠোঁটকে হাইড্রেট করে।
ঠোট ফাঁটা রোধে আরও যা করবেন
দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন
ঠোঁটের জন্য এসপিএফযুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন
রাতে ঘুমানোর আগে লিপ বাম বা প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করুন
যা করবেন না
ঠোঁট চাটবেন না বা কামড়াবেন না
বেশি কেমিক্যালযুক্ত লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না
ঠোঁট ফাটা অবস্থায় স্ক্রাব করবেন না
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মালয়েশিয়ায় আরো বাংলাদেশি কাজ করার সুযোগ পাবেন: আশা প্রধান উপদেষ্টার
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আরো অধিকসংখ্যক বাংলাদেশি কাজ করার সুযোগ পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মালয়েশিয়া সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে কুয়ালালামপুরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। এরপর দুই দেশের মধ্যে ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি সহযোগিতামূলক নোট বিনিময় স্বাক্ষর করা হয়।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় কাজ করছে। তারা উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠান, যা তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবনযাপন, সন্তানের লেখাপড়া এবং ভালো শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের জন্য এই দরজা খোলা থাকবে এবং আমাদের দেশের আরো অধিকসংখ্যক তরুণ-তরুণী এখানে কাজ করার সুযোগ পাবেন।”
বাংলাদেশের কর্মীদের মালয়েশিয়ায় কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, “মালয়েশিয়ার জনগণ তাদের সঙ্গে পরিবারের একজন সদস্য এবং বন্ধুর মত আচরণ করে। এতে তারা খুব খুশি। তারা অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি এখান থেকে অনেক কিছু শেখে, যা দেশে ফিরে যাওয়ার পর নিজের ব্যবসা দাঁড় করাতে সহায়ক হয়।”
মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে একটা উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আপনারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন এবং প্রযুক্তি নিয়ে আসুন। আমাদের মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে আপনারা পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারেন।”
একটা টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে বিনিয়োগ ও ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গত বছর ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমেছিল। আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক বিদায় নিয়েছে। এরপর নতুন সরকারের দায়িত্ব নিয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে আমরা সহযোগিতা খুঁজছিলাম, আর তখন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বন্ধুর মত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি আমাদের শক্তি জুগিয়েছিলেন। ”
বাংলাদেশে সঠিক পথ নিশ্চিত করতে দৃঢ় সংকল্পের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা দেশে শৃঙ্খলা ফেরাতে পেরেছি। অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করেছি।”
“ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবারও কার্যকর করা গেছে। যে কারণে এক বছরের মাথায় এসে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারছি।” আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট নিরসন এবং আসিয়ানের সদস্যপদ প্রাপ্তির জন্য মালয়েশিয়ার জোরালো সমর্থন চান।
সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম আশা প্রকাশ করে বলেন, “দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক উভয় দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে সহায়ক হবে।”
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/ইভা