হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার অভিযোগে আটক ৫৪
Published: 5th, May 2025 GMT
গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার অভিযোগে ৫৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতা–কর্মী বলে পুলিশের দাবি।
এ ছাড়া ওই ঘটনায় আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ সকালে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খান প্রথম আলোকে বলেন, যে সরকারকে তাঁরা বিদায় করেছেন, সেই সরকারের লোকজনই এই হামলার সঙ্গে জড়িত। তারা নানা ইস্যু তৈরি করার জন্য এই হামলা করেছে। তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে পুলিশের একাধিক দল হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালনা করছে। এখন পর্যন্ত ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনার পরপই জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করে। অভিযান চালিয়ে তাৎক্ষণিক মহানগরীর বাসন এলাকা থেকে গাজীপুর মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন ও কাশিমপুর থানা শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমেদ ওরফে দিপুকে আটক করা হয়। পরে রাতভর পুলিশ গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৪ জনকে আটক করে।
আরও পড়ুনগাজীপুরে গাড়িতে হামলা, আহত হাসনাত আবদুল্লাহ১৪ ঘণ্টা আগেগতকাল রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদ হাসান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, সালনার গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানজটে আটকে থাকা অবস্থায় চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে এসে তাঁর গাড়িতে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। হামলায় তিনি হাতে আঘাত পান এবং গাড়ির গ্লাস ও উইন্ডশিল্ড ভেঙে যায়।
আরও পড়ুনযানজটে আটকে থাকা অবস্থায় ৪-৫টি মোটরসাইকেলে এসে হাসনাতের গাড়িতে হামলা: পুলিশ১২ ঘণ্টা আগেদুর্বৃত্তদের হামলায় হাসনাতের গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেলে হাসনাত আবদুল্লাহর কনুইয়ের কয়েক জায়গায় কেটে যায় বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদ হাসান। তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ে ওই স্থান ত্যাগ করে হাসনাতের গাড়িবহর বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) ক্যাম্পাসে আশ্রয় নেয়। পরে তাঁর কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে তাঁকে উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পুলিশের আরেকটি গাড়ি দিয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁকে নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিক ভাইদের জীবনের নিরাপত্তা কে দিবে, প্রশ্ন তমা মির্জার
গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আসাদুজ্জামান তুহিন নামে এক সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর সমালোচনার ঢেউ বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেক্কারজনক এ ঘটনা নিয়ে জোরোলো প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জা।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে তমা মির্জা একটি খবরের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন। তার ক্যাপশনে লেখেন, “উনার দোষটা কী ছিল একটু জানাবেন? কেন এত নির্মমভাবে একজন সাংবাদিককে খুন করা হলো?”
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তমা মির্জা বলেন, “আবার এটা নিয়ে কারো কিছু বলারও নেই, চুপ করে দেখছে, শুনছে, কেউ কিছু বলছে না, কারো কিছু করারও নেই, আমাদের সাংবাদিক ভাইদের জীবনের নিরাপত্তা তাহলে কে দিবে?”
আরো পড়ুন:
কমল হাসানের পায়ের ধুলোরও যোগ্য নন শাহরুখ: লিলিপুট
ছবি ও ভিডিও বিকৃতি নিয়ে সোচ্চার মেহজাবীন
তমা মির্জার এ পোস্টে দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন নেটিজেনরা। ফরহাদ নামে একজন লেখেন, “এদেশে আবার কিসের নিরাপত্তা এদেশ বিক্রি হয়ে গেছে।” রবিউল নামে একজন লেখেন, “কারণ এটা বাংলাদেশ।” শিবলি নামে একজন লেখেন, “বাংলাদেশে জন্ম নেওয়ার থেকে বড় দোষ আর কি করা লাগবে। তার উপর আবার সে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করার চেষ্টা করেছে।”
গোলাম রাব্বি লেখেন, “এটাই আমার সোনার বাংলাদেশ।” সুজন তালুকদার লেখেন, “উনার দোষটা ছিল গণমাধ্যম এখন স্বাধীন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।
ঢাকা/শান্ত