ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা নিরসনে সহযোগিতার প্রস্তাব রাশিয়ার
Published: 5th, May 2025 GMT
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে ফোনালাপে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এ প্রস্তাব দেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার একই সঙ্গে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল রোববার তাঁর সঙ্গে কথা বলেন লাভরভ।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে দুজনের ফোনালাপের বিষয়ে বলা হয়, ‘নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে বিবৃতিটি প্রকাশ করেছে। এতে আরও বলা হয়, কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় গত ২২ এপ্রিল সংঘটিত হামলার জেরে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার রাজনৈতিক সমাধানের ব্যাপারে ভারত ও পাকিস্তান যদি আগ্রহী হয়, তাহলে রাশিয়া সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলার ঠিক দুই দিন পর ইসহাক দারের সঙ্গে লাভরভের এ ফোনালাপটি হয়। জয়শঙ্করের সঙ্গে আলাপকালেও দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিরোধ মেটানোর আহ্বান জানান তিনি।
গত সপ্তাহে কাশ্মীর উপত্যকার পাহাড়ি পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন।
ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই মুসলিম–অধ্যুষিত কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে। সে দাবিকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে একাধিক যুদ্ধ, সশস্ত্র বিদ্রোহ ও কূটনৈতিক টানাপোড়েনের ঘটনা ঘটেছে।
কয়েক দশক ধরে ভারতে অস্ত্র সরবরাহকারী দেশের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান ধরে রেখেছে রাশিয়া। সোভিয়েত যুগ থেকেই মস্কো ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রমন ত র র পরর ষ ট র প রস ত
এছাড়াও পড়ুন:
ডি ব্রুইনা-সিটির পুনর্মিলনীতে হলান্ডের দ্রুততম ‘ফিফটি’
ম্যানচেস্টার সিটি ২-০ নাপোলি
ইতিহাদ ছেড়ে গিয়েছিলেন গত জুনে। তারপর এবারই তাঁর প্রথম ফেরা বড় সাধের এই স্টেডিয়ামে। ম্যানচেস্টার সিটির দর্শকেরা তাঁকে নায়কের মর্যাদায় বরণও করে নিলেও কোথায় যেন একটা অতৃপ্তি থেকে গেল। কেভিন ডি ব্রুইনা এখন হতে পারেন প্রতিপক্ষ, তবু ম্যাচের মাত্র ২৬ মিনিটে তাঁর বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় সিটির দু-একজন সমর্থকদের মুখটা শুকনো দেখা গেল। ক্লাব কিংবদন্তিকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁরা সম্মান দেখিয়েছেন, তবে মাঠে আরও কিছুক্ষণ দেখতে চেয়েছিলেন নিশ্চয়ই!
কৌশলগত কারণে মাঠ ছাড়তে হয় ডি ব্রুইনাকে। নাপোলি কোচ আন্তোনিও কন্তে অবশ্য তাতে হার এড়াতে পারেননি। বিরতির পর আর্লিং হলান্ড ও জেরেমি ডকুর গোল হজম করতে হয়। সিটির ২-০ গোলের এ জয়ে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েন হলান্ড।
৫৬ মিনিটে তাঁর গোলটির উৎস সিটি মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন। লব করে দারুণভাবে বলটা তুলে সামনে বাড়িয়ে দেন, হেডে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ৫০তম গোল তুলে নেন হলান্ড। সেটা আবার এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্রুততম। ৪৯ ম্যাচে ‘ফিফটি’ পাওয়া হলান্ড পেছনে ফেললেন রুদ ফন নিষ্টলরয়কে (৬২ ম্যাচ)।
ডকুর গোলটি দেখার মতো। ৬৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে গোল করার পথে নাপোলির তিন খেলোয়াড় মিলেও তাঁকে থামাতে পারেননি। সিটির এই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া আসলে একটি সুবিধার ফল। ২১ মিনিটে বক্সে হলান্ডকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন নাপোলি অধিনায়ক ও রাইট ব্যাক জিওভান্নি ডি লরেঞ্জো। এরপর ১০ জনে পরিণত হওয়া ইতালিয়ান ক্লাবটির ওপর চেপে বসে সিটির আক্রমণভাগ।
গোল করলেন জেরেমি ডকু