গণ-অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অনেক খাতের মতো সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসেও (বেসিস) পরিবর্তন আসে। বেসিসে সরকার প্রশাসক নিযুক্ত করে। প্রশাসককে সহায়তা করতে ও বেসিসের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রাফেল কবিরের নেতৃত্বে বেসিস সহায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে এই সহায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বেসিসের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ–সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়। বাণিজ্য সংগঠন আইন ১৮ ধারার ২ (ছ) এবং (জ) উপধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে ৩০ এপ্রিল সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যান রাফেল কবির পদত্যাগ করেন।

সহায়ক কমিটি বিলুপ্তের পর এবার বেসিস প্রশাসক পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক মুহম্মদ মেহেদী হাসান। তিনি গতকাল রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

আগামী ২০ জুলাই চাকরিজীবন থেকে অবসরে যাওয়ার কারণে যাবতীয় সংস্কার শেষ করে বেঁধে দেওয়া ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার অক্ষমতা প্রকাশ করে পদত্যাগ করেছেন মুহম্মদ মেহেদী হাসান। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর বেসিসের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আইসিটি বিভাগের এই অতিরিক্ত সচিবকে।

পদত্যাগের ব্যাপারে রাফেল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেসিসে সংস্কারবিরোধী একটা অংশের কারণে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যাচ্ছিল না। যে উদ্দেশ্যে সহায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সে উদ্দেশ্য সফল করা যাচ্ছিল না।’

বেসিসের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আজকালের মধ্যে নতুন প্রশাসক নিয়োগ হতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদত য গ ক কম ট

এছাড়াও পড়ুন:

সুকুক বন্ড বরাদ্দের হার পুনঃনির্ধারণ

সুকুক বন্ড বরাদ্দের হার পুনঃনির্ধারণ করে নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি, বিমা কোম্পানি এবং কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোর ইসলামিক ব্রাঞ্চ ও উইন্ডোজে সুকুক বন্ডে বিনিয়োগ বরাদ্দের হার বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে জারি করা এ-সংক্রান্ত সব নির্দেশনা বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে সংশ্লিষ্টদের এই তথ্য অবহিত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক

এনআরবিসি ব্যাংকের টাউন হল মিটিং অনুষ্ঠিত

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি, বিমা কোম্পানি এবং কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোর ইসলামিক ব্রাঞ্চ ও উইন্ডোগুলো ইস্যু করতে যাওয়া সুকুকের ৮০ শতাংশ, কনভেনশনাল ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি ও বীমা কোম্পানি ইস্যুতব্য সুকুকের ৫ শতাংশ এবং ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারী, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স, ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, গ্র্যাচুইটি ফান্ড, মিউচুয়াল ফান্ড প্রভৃতি ইস্যু করতে যাওয়া সুকুকের ১৫ শতাংশ হারে বরাদ্দ পাবে।

বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সুকুক বরাদ্দের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে সেটি হলো, তিনটি শ্রেণিতেই নির্ধারিত অনুপাতের চেয়ে বেশি বিড দাখিল হলে প্রত্যেক শ্রেণির বিড দাখিলকারীদের মধ্যে তাদের দাখিল করা বিডের সমানুপাতিক হারে সুকুক বরাদ্দ দেওয়া; কোনো শ্রেণিতে নির্ধারিত অনুপাতের চেয়ে কম বিড দাখিল হলে তাদের মধ্যে বিতরণের পর অবশিষ্ট সুকুক বেশি বিড দাখিলকারীদের মধ্যে (যদি থাকে) তাদের দাখিলকৃত বিডের সমানুপাতিক হারে বরাদ্দ দেওয়া। নতুন নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ঢাকা/নাজমুল/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ