ঝিনাইদহে কিশোরীকে উদ্ধার করতে এসে হামলায় আহত যশোরের তিন পুলিশ সদস্য
Published: 5th, May 2025 GMT
ঝিনাইদহে কিশোরীকে উদ্ধার করতে এসে হামলায় আহত যশোরের তিন পুলিশ সদস্য
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করতে এসে হামলায় যশোর কোতোয়ালি থানার তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেলে কালীগঞ্জ পৌরসভার বাকুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত তিন পুলিশ সদস্য হলেন যশোর কোতোয়ালি থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তাপস কুমার পাল, কনস্টেবল রাবেয়া খাতুন ও ফারজানা খাতুন।
স্থানীয় লোকজন জানান, সম্প্রতি বাকুলিয়া গ্রামের ইমাদুলের ভায়রার ছেলে সুজন হোসেন যশোর থেকে এক কিশোরীকে নিয়ে এসে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় মেয়ের পরিবার যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ করেন। এরপর যশোর থানার পুলিশের সদস্যরা সোমবার দুপুরের পর কালীগঞ্জ থানা-পুলিশের সহযোগিতায় মেয়েটিকে উদ্ধারে ওই গ্রামে যান। বাকুলিয়া গ্রামের ইমাদুলের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় স্থানীয় কয়েকজন নারী-পুরুষ পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ সময় তাঁরা পুলিশের কাছ থেকে মেয়েটিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত পুলিশ সদস্য ও কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা ঠেকাতে গিয়ে আহত হন কালীগঞ্জ পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আছাদুজ্জামান আসাদের স্ত্রী মোছাম্মদ মাছুরা খাতুন। পরে আহত পুলিশ সদস্যদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত কনস্টেবল রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় ছয়–সাতজন পুরুষ এসে আমাকে বলে, হাত ছেড়ে দাও। হাত না ছাড়াই আমাকে এবং আমার সঙ্গে থাকা নারী কনস্টেবলকে মারপিট শুরু করে। তারা আমাদের বেধড়ক মারপিট করে।’
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, যশোর কোতোয়ালি থানার-পুলিশ কালীগঞ্জ থানার সহযোগিতায় বাকুলিয়া গ্রামের কিশোরী উদ্ধারে গেলে হামলার শিকার হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনো এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত ন প ল শ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বিরে শিফা: একটি অলৌকিক কুয়ার গল্প
মদিনা থেকে প্রায় ১০২ কিলোমিটার দূরে বদর যুদ্ধের প্রান্তরের কাছে একটি কুয়া রয়েছে, যার নাম বিরে শিফা বা নিরাময় কুয়া। কুয়ার নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এর মহিমা। আরবি ‘বির’ অর্থ কুয়া এবং ‘শিফা’ অর্থ নিরাময় বা আরোগ্য। এই কুয়ার পানি রোগমুক্তি ও সুস্থতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। বদর যুদ্ধের পর এই কুয়ার পানি মহানবী (সা.)-এর একটি অলৌকিক মুজিজার মাধ্যমে বিষাক্ত ও লবণাক্ত অবস্থা থেকে সুপেয় ও সুস্বাদু পানিতে পরিণত হয়। আজও এই কুয়ার পানি মুসলমানদের জন্য রোগমুক্তির আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিরে শিফা কুয়াটি মদিনা থেকে বদর যাওয়ার পথে মূল সড়ক থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার ভেতরে একেবারে বদর যুদ্ধের প্রান্তরের কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত। বদর যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই যুদ্ধে মুসলমানরা সংখ্যায় কম হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর সাহায্যে বিজয় লাভ করে। যুদ্ধ শেষে মহানবী (সা.) এবং তাঁর সাহাবিরা মদিনায় ফিরে আসার পথে পানির সংকটে পড়েন। তখন তাঁরা বিরে শিফা কুয়ার কাছে এসে পৌঁছান।
বিরে শিফা কুয়া, মদিনা