Samakal:
2025-09-18@03:29:23 GMT

এসি বিকল, বন্ধ টুর্নামেন্ট

Published: 6th, May 2025 GMT

এসি বিকল, বন্ধ টুর্নামেন্ট

টুর্নামেন্টের এন্ট্রি ফি সংগ্রহ ও প্রাইজমানি নির্ধারণ হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন ক্লাব এবং জেলাগুলো প্রস্তুতি নিয়েছে। এমনকি উন্মুক্ত প্রেসিডেন্ট কাপ র‍্যাংকিং এবং প্রাইজমানি টুর্নামেন্টের জন্য পৃষ্ঠপোষকও চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস (টিটি) ফেডারেশন। সব গুছিয়ে ১৫-১৯ মে প্রতিযোগিতার সূচি নির্ধারণ করে তারা। কিন্তু যে ভেন্যুতে খেলা হবে, সেই শহীদ তাজউদ্দিন উডেন ফ্লোর জিমনেশিয়ামের এয়ারকন্ডিশন্ড ব্যবস্থা (এসি) বিকল। এবং ভেন্যুতে নেই পর্যাপ্ত আলো। এ দুই কারণে টুর্নামেন্ট স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি রোববার রাতে বিজ্ঞপ্তি আকারে পাঠায় টিটি ফেডারেশন। 

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট থাকা এসিগুলো আর সংস্কার করা সম্ভব নয়। তাই নতুন এসি লাগাতে ১২ থেকে ১৩ কোটি টাকা প্রয়োজন, যা এই মুহূর্তে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব নয়। তবে টুর্নামেন্টটি যাতে বাতিল না হয়, সেই জন্য মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়াম অথবা ধানমন্ডি মহিলা ক্রীড়া সংস্থার ভেন্যু টিটি ফেডারেশনকে ব্যবহারের জন্য দিতে চায় এনএসসি। বিকল্প ভেন্যু পেতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) আবেদন করা হবে বলে গতকাল সমকালকে নিশ্চিত করেছেন ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সদস্য সুজন মাহমুদ।

দীর্ঘদিন ধরেই পল্টনের এই ইনডোর স্টেডিয়ামের এসি বিকল হয়ে আছে। টেবিল টেনিসের সঙ্গে এই জিমনেশিয়াম ব্যবহার করছে ব্যাডমিন্টনও। চারপাশে আবদ্ধ জিমনেশিয়ামে শীতের সময় খেলতে সমস্যা হয় না। ফেব্রুয়ারিতে টিটির একটি টুর্নামেন্ট হয়েছিল। সেই সময় গরম অনুভব হয়নি বলে সমস্যা দেখা যায়নি। 

ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়া অ্যাডহক কমিটির কর্তারা জিমনেশিয়ামের এসির সমস্যার কথা সেভাবে জানতেন না বলে জানান সুজন মাহমুদ, ‘সমস্যা ছিল জানতাম না। তার পরও আমাদের ধারণা ছিল সার্ভিসিং করে চালু করা সম্ভব। এখন জানা যাচ্ছে তা চালু করা সম্ভব না। আমরা তো বুঝিনি। না বুঝে টুর্নামেন্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ 

পল্টনের জিমনেশিয়ামের এসির সমস্যার বিষয়টি জানে এনএসসিও। ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মুহূর্তে সংস্কার করা সম্ভব নয় বলে জানান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো.

আমিনুল ইসলাম, ‘দীর্ঘদিন ধরে এসিগুলো রিপ্লেস করা হয়নি। এগুলো আসলে মেয়াদোত্তীর্ণ। সার্বিকভাবে এসি লাগাতে প্রয়োজন ১২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে আমাদের বরাদ্দ ৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনেক খরচপাতিও করেছি। আবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সীমাবদ্ধতাও আছে। আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রক্রিয়া শেষ। অনুমোদনটা আসবে জুন মাসে। আগামী অর্থবছরে আমরা পাচ্ছি ১২ কোটি টাকা। এই বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে। দেখা যাক কতটুকু কী করা যায়।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ মন শ য় ম সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২০ হাজার কোটি টাকা
  • বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল কেন