টুর্নামেন্টের এন্ট্রি ফি সংগ্রহ ও প্রাইজমানি নির্ধারণ হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন ক্লাব এবং জেলাগুলো প্রস্তুতি নিয়েছে। এমনকি উন্মুক্ত প্রেসিডেন্ট কাপ র্যাংকিং এবং প্রাইজমানি টুর্নামেন্টের জন্য পৃষ্ঠপোষকও চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস (টিটি) ফেডারেশন। সব গুছিয়ে ১৫-১৯ মে প্রতিযোগিতার সূচি নির্ধারণ করে তারা। কিন্তু যে ভেন্যুতে খেলা হবে, সেই শহীদ তাজউদ্দিন উডেন ফ্লোর জিমনেশিয়ামের এয়ারকন্ডিশন্ড ব্যবস্থা (এসি) বিকল। এবং ভেন্যুতে নেই পর্যাপ্ত আলো। এ দুই কারণে টুর্নামেন্ট স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি রোববার রাতে বিজ্ঞপ্তি আকারে পাঠায় টিটি ফেডারেশন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট থাকা এসিগুলো আর সংস্কার করা সম্ভব নয়। তাই নতুন এসি লাগাতে ১২ থেকে ১৩ কোটি টাকা প্রয়োজন, যা এই মুহূর্তে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব নয়। তবে টুর্নামেন্টটি যাতে বাতিল না হয়, সেই জন্য মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়াম অথবা ধানমন্ডি মহিলা ক্রীড়া সংস্থার ভেন্যু টিটি ফেডারেশনকে ব্যবহারের জন্য দিতে চায় এনএসসি। বিকল্প ভেন্যু পেতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) আবেদন করা হবে বলে গতকাল সমকালকে নিশ্চিত করেছেন ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সদস্য সুজন মাহমুদ।
দীর্ঘদিন ধরেই পল্টনের এই ইনডোর স্টেডিয়ামের এসি বিকল হয়ে আছে। টেবিল টেনিসের সঙ্গে এই জিমনেশিয়াম ব্যবহার করছে ব্যাডমিন্টনও। চারপাশে আবদ্ধ জিমনেশিয়ামে শীতের সময় খেলতে সমস্যা হয় না। ফেব্রুয়ারিতে টিটির একটি টুর্নামেন্ট হয়েছিল। সেই সময় গরম অনুভব হয়নি বলে সমস্যা দেখা যায়নি।
ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়া অ্যাডহক কমিটির কর্তারা জিমনেশিয়ামের এসির সমস্যার কথা সেভাবে জানতেন না বলে জানান সুজন মাহমুদ, ‘সমস্যা ছিল জানতাম না। তার পরও আমাদের ধারণা ছিল সার্ভিসিং করে চালু করা সম্ভব। এখন জানা যাচ্ছে তা চালু করা সম্ভব না। আমরা তো বুঝিনি। না বুঝে টুর্নামেন্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পল্টনের জিমনেশিয়ামের এসির সমস্যার বিষয়টি জানে এনএসসিও। ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মুহূর্তে সংস্কার করা সম্ভব নয় বলে জানান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ মন শ য় ম সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৫ কোটি ডলার
দেশে চলতি এপ্রিল মাসে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৭৫ কোটি ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)। সেই হিসাবে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১ হাজার ১১৯ কোটি টাকা।
রবিবার (৪ মে) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রেমিট্যান্সের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৫ কোটি ২০ হাজার মার্কিন ডলার। আগের বছর একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৪ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরেরর একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৯১১ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
আরো পড়ুন:
লেনদেন সীমা বাড়ল
বিকাশ-নগদ-রকেটে দিনে ৫০ হাজার টাকা পাঠানো যাবে
রূপালী ব্যাংক: এই সেই তিন ডাকাত
দেশে চলতি বছরের মার্চ মাসে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমান ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি। একক মাসে এত বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স আগে কখনো দেশে আসেনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থপাচারে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ফলে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যালেনে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে বৈধপথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে। এছাড়া গত রমজান মাস কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি বেশি অর্থ পাঠিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আগামী ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করেও রেমিট্যান্স পাঠানোর ধারা অব্যাহত রয়েছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
ঢাকা/এনএফ/বকুল