উন্নত চিকিৎসা শেষে চার মাস পর আজ দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে দেশে এসেছেন দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমানও।

মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। 

এরপর বেলা সাড়ে ১১ টার কিছু সময় পর সাদা রঙের প্রাডো গাড়িতে করে বের হতে দেখা যায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।

বেগম খালেদা জিয়া গাড়ির সামনেই বসে ছিলেন। তার পিছের সিটে ২ ছেলের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান। চিকিৎসা শেষে দীর্ঘপথ ভ্রমণ করেও ক্লান্তির ছাপ নেই বেগম জিয়ার চেহারায়। বেশ হাস্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত দেখা গেছে তাঁকে। কর্মীদের উদ্দেশ্য মাথা নেড়ে অভিবাদনও গ্রহণ করেন।

বিমানবন্দর থেকে প্রাডো গাড়িতে করে বের হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

বেগম জিয়ার গাড়ি বের হওয়ার আগেই বিমানবাহিনী, র‍্যাব-পুলিশ, সেনাবাহিনী, সিআরটি সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেন। সাথে আরো ছিলেন এসএসএফ সদস্যরা। তবে, বেগম জিয়ার গাড়ি ৮ নং গেট দিয়ে বের হয়ে একটু অগ্রসর হলেই ভেঙে পড়ে সকল নিরাপত্তা বলয়। র‍্যাব-পুলিশ, সেনাসদস্যরা হুইসেল দিয়ে ভিড় যেন সরাতে পারছিলেন না। একদিকে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের চাপ অন্যদিকে দলীয় সমর্থকদের উচ্ছ্বাস, সবমিলিয়ে বেগম জিয়ার গাড়ি বহর এয়ারপোর্ট এরিয়া থেকে বের হতে প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় নেয়।

দীর্ঘ ৪ মাস চিকিৎসার পর গতকাল সোমবার (৫ মে) বাংলাদেশে সময় ৯টা ৩৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। মাঝে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাদ ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে ১ ঘণ্টার জন্য বিরতিতে ছিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। এ সময় সেখানে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজনীয় জ্বালানি নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।

ঢাকা/সুকান্ত/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব গম জ য় র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যর্থ পাঁচ বিয়ে, অভিনেতার করুণ মৃত্যুর গল্প

বলিউড অভিনেতা মহেশ আনন্দ। তেলেগু, মালায়ালাম, কন্নড় ভাষার সিনেমায়ও দেখা গেছে তাকে। ১৯৮২ সালে ‘সনম তেরি কসম’ সিনেমায় নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। মূলত, এ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন। ১৯৮৪ সালে তার ভাগ্যবদল হয়। এ বছর ‘কারিশমা’ সিনেমায় অভিনেতা হিসেবে কাজের সুযোগ পান। এরপর শুরু করেন মডেলিং।

মার্শাল আর্টে প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্ল্যাক বেল্ট লাভ করেন মহেশ। নায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার জন্য বলিউডে আসলেও খলনায়ক হয়ে যান মহেশ। কারণ প্রযোজকরা তাকে খল চরিত্রের জন্য কাস্ট করতে থাকেন। সময়ের সঙ্গে জনপ্রিয়তা লাভ করেন মহেশ। উপহার দেন ৩ শতাধিক সিনেমা। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে পাঁচটি বিয়ে করেও দাম্পত্য জীবনে ব্যর্থ হন। সর্বশেষ করুণ পরিণতির মাধ্যমে তার জীবনের যবনিকাপাত হয়। চলুন জেনে নিই, তার প্রেম-বিয়ে ও জীবনের করুণ পরিণতির গল্প—

মহেশের জীবনে প্রেম বহুবার এসেছে। জানা যায়, ডজনখানেক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। যাইহোক, মহেশের প্রথম দুই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন বরখা রায়। অভিনেত্রী রীনা রায়ের বোন ছিলেন তিনি। বরখার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান এই অভিনেতা। এ জুটির প্রেম পরিণয় পায়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে তাদের।  

বরখার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর মহেশ মিস ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনালের এরিকা মারিয়ার প্রেমে পড়েন। এ প্রেমও পরিণয় পায়। তাদের সংসার আলো করে জন্ম নেয় একটি পুত্রসন্তান। তবে এ বিয়েও টেকেনি। এরপর মধু মালহোত্রার সঙ্গে ঘর বাঁধেন মহেশ। অভিনেত্রী ঊষা বাচানির সঙ্গে চতুর্থ সংসার বাঁধেন মহেশ। কিন্তু এই দুই সংসারও ভেঙে যায়। লামা নামে রাশিয়ান এক নারীর প্রেম পড়েন মহেশ। এটি তার পঞ্চম বিয়ে। কিন্তু এই সংসারও ভেঙে যায়। তারপর রাশিয়ায় ফিরে যান লানা।

অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে ক্রমেই দুর্বিষহ হয়ে উঠতে থাকে মহেশের জীবন। বলিউড বড়ই নিষ্ঠুর। এখানে কিছুই থেমে থাকে না। সময়ের সঙ্গে মহেশ আনন্দেরও কাজ কমতে থাকে। একবার শহরের এক নাইট ক্লাবে অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান মহেশ। জানা যায়, কয়েকজন নারীকে উদ্দেশ্য করে কুমন্তব্য করেছিলেন মহেশ। তা ভালো লাগেনি অক্ষয়ের। প্রতিবাদ করতেই ঝামেলা তৈরি হয়। জায়গা ফাঁকা থাকে না। মহেশের উশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের জন্য ক্রমশই লাইমলাইট থেকে দূরে সরতে শুরু করেন মহেশ। দীর্ঘ ১৮ বছর তার হাতে কোনো কাজ ছিল না!

অর্থনৈতিকভাবে খুবই খারাপ অবস্থা ছিল মহেশের। সেই সময়ে এক ফেসবুক পোস্টে এই অভিনেতা বলেছিলেন, “বন্ধুরা আমাকে মাদকাসক্ত বলে। আমার পরিবার নেই। আমার সৎভাই ৬ কোটি রুপি নিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমি ৩ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছি। অথচ এক বোতল পানি কেনারও টাকা নেই। এই পৃথিবীতে আমার একটিও বন্ধু নেই। এটি খুবই হতাশাজনক।”
 
নিউজ১৮ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৯ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি মারা যান মহেশ আনন্দ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তার মৃত্যুর সময়ে কেউই তার পাশে ছিলেন না। তার বাসার গৃহপরিচারিকা টানা দুদিন কলিং বেল বাজিয়ে সাড়া না পেয়ে তার বোনকে খবর দেয়। পরে ভারসোভা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে মহেশের মরদেহ উদ্ধার করে।

সোফার ওপরে মরে পড়েছিলেন মহেশ। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মদের বোতল ও খাবার। তার মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। বিশেষ করে স্ত্রীদের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদসহ নানা বিষয় আলোচনায় আসে। তবে জ্যোতি নামে তার এক আত্মীয় মনে করেন, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, মরদেহ উদ্ধারের ৩ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। মহেশের মরদেহে পচন ধরেছিল।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওমর সানীর জন্মদিনে মৌসুমী নেই, কাঁদায় মায়ের স্মৃতি
  • পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় ভাঙনের হুমকিতে দুই কিলোমিটার বাঁধ
  • ফিরোজার পথে খালেদা জিয়া, নেতাকর্মীদের অভ্যর্থনা
  • নোয়াখালীতে কলেজ ছাত্রদলের সভাপতির বিরুদ্ধে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ
  • নাটকে অভিনয় চাকরির মতো হয়ে গেছে
  • ব্যর্থ পাঁচ বিয়ে, অভিনেতার করুণ মৃত্যুর গল্প
  • খালেদা জিয়া ঢাকার উদ্দেশ্যে লন্ডন ছেড়েছেন
  • ঢাকার উদ্দেশে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়ার আগমন নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের জরুরি বার্তা