এয়ারপোর্ট থেকে বের হলেন হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া
Published: 6th, May 2025 GMT
উন্নত চিকিৎসা শেষে চার মাস পর আজ দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে দেশে এসেছেন দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমানও।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এরপর বেলা সাড়ে ১১ টার কিছু সময় পর সাদা রঙের প্রাডো গাড়িতে করে বের হতে দেখা যায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।
বেগম খালেদা জিয়া গাড়ির সামনেই বসে ছিলেন। তার পিছের সিটে ২ ছেলের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান। চিকিৎসা শেষে দীর্ঘপথ ভ্রমণ করেও ক্লান্তির ছাপ নেই বেগম জিয়ার চেহারায়। বেশ হাস্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত দেখা গেছে তাঁকে। কর্মীদের উদ্দেশ্য মাথা নেড়ে অভিবাদনও গ্রহণ করেন।
বিমানবন্দর থেকে প্রাডো গাড়িতে করে বের হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া
বেগম জিয়ার গাড়ি বের হওয়ার আগেই বিমানবাহিনী, র্যাব-পুলিশ, সেনাবাহিনী, সিআরটি সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেন। সাথে আরো ছিলেন এসএসএফ সদস্যরা। তবে, বেগম জিয়ার গাড়ি ৮ নং গেট দিয়ে বের হয়ে একটু অগ্রসর হলেই ভেঙে পড়ে সকল নিরাপত্তা বলয়। র্যাব-পুলিশ, সেনাসদস্যরা হুইসেল দিয়ে ভিড় যেন সরাতে পারছিলেন না। একদিকে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের চাপ অন্যদিকে দলীয় সমর্থকদের উচ্ছ্বাস, সবমিলিয়ে বেগম জিয়ার গাড়ি বহর এয়ারপোর্ট এরিয়া থেকে বের হতে প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় নেয়।
দীর্ঘ ৪ মাস চিকিৎসার পর গতকাল সোমবার (৫ মে) বাংলাদেশে সময় ৯টা ৩৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। মাঝে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাদ ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে ১ ঘণ্টার জন্য বিরতিতে ছিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। এ সময় সেখানে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজনীয় জ্বালানি নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
ঢাকা/সুকান্ত/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব গম জ য় র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
২৫ বছর পর সেই বেনফিকাতে ফিরলেন মরিনিও
চক্র পূরণ করে ২৫ বছর পর আবার বেনফিকায় ফিরলেন জোসে মরিনিও। ২০০০ সালে এই বেনফিকার দায়িত্ব নিয়েই প্রধান কোচের ভূমিকায় কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে মরিনিও ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বেনফিকা। পর্তুগালের শীর্ষ লিগের সফলতম এই ক্লাবের সঙ্গে মরিনিও চুক্তির মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত।
দুই যুগের বেশি সময় আগে বেনফিকায় পেশাদার কোচিং শুরুর পর মাত্র ১১ ম্যাচ দায়িত্ব পালন করেছিলেন মরিনিও। সেই ১১ ম্যাচে তাঁর দলের জয় ছিল ৬টিতে, ড্র ৩টি, ২টিতে হার।
এরপর ২০০১ সালে বেনফিকা ছেড়ে যোগ দেন আরেক পর্তুগিজ ক্লাব উনিআঁউ দ্য লাইরিয়াতে। সেখানেও এক মৌসুম দায়িত্ব পালন করে যোগ দেন পোর্তোয়। পোর্তোর হয়ে টানা দুটি লিগ জেতার পাশাপাশি ২০০৩–০৪ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগও জেতেন মরিনিও।
আরও পড়ুনএক বছরে ৫ বিতর্ক, অবশেষে বরখাস্ত মরিনিও২৯ আগস্ট ২০২৫এ সাফল্যই ইউরোপিয়ান শীর্ষ ক্লাবগুলোর দুয়ার খুলে দেয় মরিনিওর জন্য। ২০০৪ সালে তিনি যোগ দেন ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে। সেখানে জেতেন দুটি প্রিমিয়ার লিগ। এরপর পর্তুগিজ এই কোচ একে একে দায়িত্ব পালন করেন ইন্টার মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ, দ্বিতীয় মেয়াদে চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, টটেনহাম, এএস রোমা ও ফেনেরবাচের মতো ক্লাবে।
মরিনিও যখন প্রথম মেয়াদে বেনফিকায় ছিলেন