কাল মিয়ানমার ফিরবেন পালিয়ে আসা ৩৪ সেনা-বিজিপি সদস্য
Published: 6th, May 2025 GMT
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৩৪ জন সদস্যকে আগামীকাল বুধবার ফেরত পাঠানো হবে। এর আগে তিন দফায় ৭৫২ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের সমুদ্রপথে জাহাজে করে ফেরত পাঠানো হলেও এবার ৩৪ জন বিজিপি ও সেনাসদস্যকে ফেরত পাঠানো হবে উড়োজাহাজে করে। বিজিবি, জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার মধ্যে পালিয়ে ওই ৩৪ সেনা ও বিজিপি সদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বিজিবি কক্সবাজার অঞ্চলের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এম ইমরুল হাসান আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ওই ৩৪ বিজিপি ও সেনাসদস্য বর্তমানে বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদের আগামীকাল একটি উড়োজাহাজে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। হস্তান্তরপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে কক্সবাজার বিমানবন্দরে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের পরিচালক মো.
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহেদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমারের ৩৪ জনকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়া গেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী ৩৪ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রশাসনিক কাজ সম্পাদন করা হচ্ছে।
এর আগে গত বছরের ৯ জুন কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর নুনিয়াছটা বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে ১৩৪ বিজিপি ও সেনাসদস্যকে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে ফেরত পাঠানো হয়। গত বছরের ২৫ এপ্রিল সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানো হয় ২৮৮ জনকে। ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ফেরত পাঠানো হয় ৩৩০ জন বিজিপি ও সেনাসদস্যকে। তিন দফায় ফেরত পাঠানো ৭৫২ জনের সবাই রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে নিয়োজিত ছিলেন। রাখাইন রাজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ এখন সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) হাতে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র খ ইন র জ য ও স ন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা সাহেদুর রহমান ওরফে দিপুকে (৫০) একটি পাইপগানসহ গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ রোববার দুপুরে জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে নোয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব অনন্তপুরের একটি দোকান থেকে সাহেদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একলাশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। তাঁর বাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম অনন্তপুর এলাকায়।
জেলা পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাহেদুর অস্ত্রসহ একটি দোকানে অবস্থান করছেন, গোপনে এমন খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগেও চারটি মামলা রয়েছে। তবে তিনি সেসব মামলায় জামিনে রয়েছেন।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম প্রথম আলোকে বলেন, অস্ত্র আইনে সাহেদুরের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। এরপর রোববার দুপুরে তাঁকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।