Samakal:
2025-08-12@08:32:46 GMT

বদলে ফেলুন অন্দরের সাজ

Published: 6th, May 2025 GMT

বদলে ফেলুন অন্দরের সাজ

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে অন্দরমহল হয়ে ওঠে অস্বস্তির কারণ। তাই এ মৌসুমে ঘরের সাজে কিছু পরিবর্তন আনা অত্যন্ত জরুরি। যাতে ঘর থাকে শীতল, আরামদায়ক এবং মনোরম। চলুন জেনে নিই কীভাবে গরমের দিনে অন্দরসজ্জায় আনা যায় প্রশান্তির ছোঁয়া।
বিছানায় পরিবর্তন 
তাপমাত্রা বাড়াতে কিছুটা স্বস্তির ঘুম নিশ্চিত করতে প্রথমেই নজর দিতে পারেন বিছানার চাদরের ওপর। আপনার শোবার ঘরকে উজ্জ্বল করতে এবং একটি প্রফুল্ল গ্রীষ্মের পরিবেশ তৈরি করতে রৌদ্রকরোজ্জ্বল হলুদ বা শান্ত প্যাস্টেলের মতো উষ্ণ রঙের লিনেন বিছানা চাদর ব্যবহার করুন। লিনেন গ্রীষ্মের জন্য উপযুক্ত। এর নরম গঠন আপনার ত্বকের সঙ্গে কোমলভাবে মিশে আপনাকে আরামদায়ক অনুভূতি দেবে।
হালকা রঙের আধিপত্য 
গরমকালে ঘরের দেয়াল, পর্দা থেকে শুরু করে কুশন কভার সবকিছুতেই হালকা রঙের প্রাধান্য দিন। সাদা, অফ হোয়াইট, প্যাস্টেল ব্লু, মিন্ট গ্রিন, লেমন ইয়েলো, পিচ, হালকা গোলাপি ইত্যাদি রং ঘরকে শীতল অনুভূতি দেয়। গাঢ় ও গা-চাপা রং যেমন নীলচে কালো, গাঢ় লাল ইত্যাদি গরমের সময় এড়িয়ে চলা ভালো।
সবুজের ছোঁয়া 
গ্রীষ্মের সৌন্দর্য উপভোগ করুন সবুজের সঙ্গে। টবে সাজানো গাছপালা, ঝুলন্ত ঝুড়ি, লতাপাতা অথবা প্রাণবন্ত ফুলের সাজসজ্জা হোক প্রতিটি বাড়ির সঙ্গী। এ গরমে বসার ঘরের সাজসজ্জায় গাছপালা অন্তর্ভুক্ত করা কেবল আপনার ঘরকেই প্রাণবন্ত করে না, বরং ঘরের ভেতরেও এক সতেজ এবং প্রাণবন্ত পরিবেশ তৈরি করে। গরমে অন্দরমহল সাজানোর সময় অবশ্যই কিছু ইনডোর প্লান্ট রাখুন। মানিপ্লান্ট, স্পাইডার প্লান্ট, অ্যালোভেরা, স্নেক প্লান্ট ইত্যাদি ঘরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ঘরে একটি প্রাণবন্ত পরিবেশ তৈরি করে। ছোট ছোট গাছ টেবিলের ওপরে, জানালার পাশে বা বারান্দার কোণে রাখুন।
প্রাকৃতিক সুগন্ধি
প্রাকৃতিক সুগন্ধিসমৃদ্ধ ডিআইওয়াই তাজা বাতাসের শ্বাস নিয়ে আসবে আপনার অন্দরমহলে। ইউক্যালিপটাস, ল্যাভেন্ডার এবং পুদিনা পাতার মতো সুগন্ধি আপনার ঘরকে তাৎক্ষণিকভাবে সতেজ করে তুলতে পারে। এ সুগন্ধিগুলো ছড়িয়ে দিতে এবং আপনার বাড়িতে একটি প্রশান্তিদায়ক, আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করতে প্রয়োজনীয় তেল, মোমবাতি বা ডিফিউজার ব্যবহার করুন।
পর্দায় পরিবর্তন
গ্রীষ্মকালীন সাজসজ্জায় নতুন পর্দা কতটা পার্থক্য আনতে পারে তা অবিশ্বাস্য। গরমের দিনে সূর্যের আলো সরাসরি ঘরে ঢুকলে ঘর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। তাই হালকা রঙের কিন্তু ঘন বুননের সুতি পর্দা ব্যবহার করুন। দরকার হলে ‘ব্ল্যাকআউট কার্টেন’ ব্যবহার করতে পারেন, যা আলো আটকাতে সাহায্য করে। তবে পর্দা যেন খুব ভারী না হয়, নতুবা ঘর বন্ধ ও ভারী দেখাবে।
আসবাবে পরিবর্তন
গরমের দিনে ভারী কাঠের আসবাব ঘরকে গম্ভীর ও গরম ভাব দেয়। তাই চেষ্টা করুন হালকা ও ন্যাচারাল টোনের আসবাব বেছে নিতে। এ ছাড়া মিনিমাল ডিজাইনের আসবাব ঘরকে খোলা ও হাওয়াবহুল রাখে। মাটির টেক্সচার ব্যবহার করে আপনার ঘরে গ্রীষ্মের আমেজ ছড়িয়ে দিন। ঘরের ভেতরে প্রকৃতির ছোঁয়া আনতে পাট, বেত এবং কাঠের মতো উপকরণ বেছে নিন। আসবাবের লুক পরিবর্তনে বাদামি, সবুজ এবং বেইজ রং বেছে নিতে পারেন, না হলে মাটির রঙে রাঙিয়ে দিতে পারেন।
আলোর ব্যবস্থায় পরিবর্তন
গরমের সময় ঘরের কৃত্রিম আলোর ব্যবহার কমানো উচিত। দিনের আলো কাজে লাগিয়ে জানালার পাশে বসার ব্যবস্থা করুন। রাতে ব্যবহারের জন্য হালকা শেডের এলইডি লাইট বা ফেয়ারি লাইট ব্যবহার করতে পারেন, যা কম তাপ ছাড়ে এবং ঘরকে ঠান্ডা রাখে।
বারান্দায় সাজ
বারান্দা হলো গরমের ক্লান্তি দূর করে বাতাস উপভোগের আদর্শ স্থান। তাই এই অংশেও হালকা ও আরামদায়ক ছোঁয়া থাকা উচিত। বারান্দায় বাঁশ বা বেতের হালকা ফার্নিচার ব্যবহার করুন। এগুলো দেখতে নান্দনিক। চাইলে হ্যাংগিং পট বা ছোট ছোট টবের ইনডোর প্লান্ট ঝুলিয়ে দিতে পারেন। মধুর ছায়া ও সবুজের মিশ্রণে একটা আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি হবে। মাটিতে পাতলা সুতি ম্যাট বিছিয়ে রাখুন। রাতে এখানে বসে হালকা বাতাস উপভোগ করা যাবে। বারান্দার ওপরের দিকে পাতলা ছাউনি লাগাতে পারেন, যাতে সরাসরি রোদ কম আসে। বাঁশের পর্দাও দারুণ বিকল্প। মৃদু আলো যেমন, ছোট ফেয়ারি লাইট বা সোলার লাইট ব্যবহারে বারান্দা হবে মনোরম আরামদায়ক এক কোনা। v
সূত্র: ডেকোরিলা, ডেকোরম্যাটার্স
ছবি সৌজন্য: স্টুডিও এন

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঘর ত র র ব যবহ র কর ব যবহ র কর ন পর ব শ ত র প র ণবন ত ল ইট ব আসব ব গরম র আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

মালয়েশিয়ায় আরো বাংলাদেশি কাজ করার সুযোগ পাবেন: আশা প্রধান উপদেষ্টার

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আরো অধিকসংখ্যক বাংলাদেশি কাজ করার সুযোগ পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মালয়েশিয়া সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে কুয়ালালামপুরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। এরপর দুই দেশের মধ্যে ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি সহযোগিতামূলক নোট বিনিময় স্বাক্ষর করা হয়। 

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় কাজ করছে। তারা উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠান, যা তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবনযাপন, সন্তানের লেখাপড়া এবং ভালো শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের জন্য এই দরজা খোলা থাকবে এবং আমাদের দেশের আরো অধিকসংখ্যক তরুণ-তরুণী এখানে কাজ করার সুযোগ পাবেন।” 

বাংলাদেশের কর্মীদের মালয়েশিয়ায় কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, “মালয়েশিয়ার জনগণ তাদের সঙ্গে পরিবারের একজন সদস্য এবং বন্ধুর মত আচরণ করে। এতে তারা খুব খুশি। তারা অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি এখান থেকে অনেক কিছু শেখে, যা দেশে ফিরে যাওয়ার পর নিজের ব্যবসা দাঁড় করাতে সহায়ক হয়।” 

মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে একটা উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আপনারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন এবং প্রযুক্তি নিয়ে আসুন। আমাদের মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে আপনারা পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারেন।” 

একটা টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে বিনিয়োগ ও ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গত বছর ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমেছিল। আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক বিদায় নিয়েছে। এরপর নতুন সরকারের দায়িত্ব নিয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে আমরা সহযোগিতা খুঁজছিলাম, আর তখন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বন্ধুর মত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি আমাদের শক্তি জুগিয়েছিলেন। ”

বাংলাদেশে সঠিক পথ নিশ্চিত করতে দৃঢ় সংকল্পের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা দেশে শৃঙ্খলা ফেরাতে পেরেছি। অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করেছি।”
“ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবারও কার্যকর করা গেছে। যে কারণে এক বছরের মাথায় এসে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারছি।” আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট নিরসন এবং আসিয়ানের সদস্যপদ প্রাপ্তির জন্য মালয়েশিয়ার জোরালো সমর্থন চান।

সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম আশা প্রকাশ করে বলেন, “দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক উভয় দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে সহায়ক হবে।” 

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ