প্রথম ‘জলাভূমি নির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য’ রাজশাহীর ২ জলাভূমি
Published: 7th, May 2025 GMT
দেশে প্রথমবারের মতো দুটি জলাভূমিকে ‘জলাভূমি নির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (৭ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন শাখা-২ থেকে জারি করা আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
ঘোষণা করা অভয়ারণ্য দুটিই রাজশাহী জেলায়। এর একটি হলো জেলার তানোর উপজেলার বিলজোয়ানা এবং অন্যটি গোদাগাড়ী উপজেলার বিলভালা। বিলজোয়ানার আয়তন ১ দশমিক ৬৫ একর। আর বিলভোলা বিলটি ১৫ দশমিক ০৮ একর জমিতে।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রাজশাহীর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী এই ঘোষণা কার্যকর হবে।
আরো পড়ুন:
অসুস্থ বন্য হাতির চিকিৎসা করলো বন বিভাগ
সুন্দরবনে আগুনের তীব্রতা কমলেও নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জ
শীত মৌসুমে বিলজোয়ানা ও বিলভালা জলাভূমি দেশি ও পরিযায়ী পাখির অন্যতম নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত। এ সব বিলে কালেম, কোড়া, ডাহুক, গুড়গুড়ি, জলপিপি, জলময়ূরসহ দেশীয় জলচর পাখির পাশাপাশি বালি হাঁস, পাতি সরালি, বড় সরালি, পিয়াং হাঁস, খুন্তে হাঁস ও ভূতি হাঁসের মতো পরিযায়ী পাখি অবাধে বিচরণ করে। এছাড়া প্রায় শতাধিক পাখির পাশাপাশি উভচর, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীরও বাস রয়েছে এই জলাভূমিগুলোতে।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রাজশাহীর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির জানান, নানা কারণে এসব জলাভূমির জীববৈচিত্র্য গত কয়েক বছর ধরেই হুমকির মুখে রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সরকারের পক্ষ থেকে অভয়ারণ্য ঘোষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
তিনি জানান, অভয়ারণ্য ঘোষণার ফলে এখন থেকে এই এলাকাগুলোতে পাখি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আবাস নিশ্চিত হবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থী, গবেষক ও প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এটি একটি সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য শিক্ষাক্ষেত্র হিসেবে গড়ে উঠবে।
ঢাকা/কেয়া/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে