দেশে প্রথমবারের মতো দুটি জলাভূমিকে ‘জলাভূমি নির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (৭ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন শাখা-২ থেকে জারি করা আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

ঘোষণা করা অভয়ারণ্য দুটিই রাজশাহী জেলায়। এর একটি হলো জেলার তানোর উপজেলার বিলজোয়ানা এবং অন্যটি গোদাগাড়ী উপজেলার বিলভালা। বিলজোয়ানার আয়তন ১ দশমিক ৬৫ একর। আর বিলভোলা বিলটি ১৫ দশমিক ০৮ একর জমিতে।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রাজশাহীর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী এই ঘোষণা কার্যকর হবে।

আরো পড়ুন:

অসুস্থ বন্য হাতির চিকিৎসা করলো বন বিভাগ

সুন্দরবনে আগুনের তীব্রতা কমলেও নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জ

শীত মৌসুমে বিলজোয়ানা ও বিলভালা জলাভূমি দেশি ও পরিযায়ী পাখির অন্যতম নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত। এ সব বিলে কালেম, কোড়া, ডাহুক, গুড়গুড়ি, জলপিপি, জলময়ূরসহ দেশীয় জলচর পাখির পাশাপাশি বালি হাঁস, পাতি সরালি, বড় সরালি, পিয়াং হাঁস, খুন্তে হাঁস ও ভূতি হাঁসের মতো পরিযায়ী পাখি অবাধে বিচরণ করে। এছাড়া প্রায় শতাধিক পাখির পাশাপাশি উভচর, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীরও বাস রয়েছে এই জলাভূমিগুলোতে।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রাজশাহীর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির জানান, নানা কারণে এসব জলাভূমির জীববৈচিত্র্য গত কয়েক বছর ধরেই হুমকির মুখে রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সরকারের পক্ষ থেকে অভয়ারণ্য ঘোষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।

তিনি জানান, অভয়ারণ্য ঘোষণার ফলে এখন থেকে এই এলাকাগুলোতে পাখি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আবাস নিশ্চিত হবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থী, গবেষক ও প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এটি একটি সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য শিক্ষাক্ষেত্র হিসেবে গড়ে উঠবে।
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বনভ ম

এছাড়াও পড়ুন:

ছাতকে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মো.মুজিবুর রহমান (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ৮ মে ) সকালে ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মায়েরকোল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। 

নিহত মুজিবুর রহমান মায়েরকোল গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে। স্থানীয় খুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয়রা জানান, মুজিবুর রহমান সকাল ৮টার দিকে বাড়ির পাশের হাওরে মাছ শিকারে বের হয়। এসময় প্রচণ্ড বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়। মাছ ধরার এক পর্যায়ে বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। গ্রামের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থী মো. মুজিবুর রহমানের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

ঢাকা/মনোয়ার/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ