দেশে প্রথমবারের মতো রাজশাহী জেলার দুটি জলাভূমিকে ‘জলাভূমি নির্ভর প্রাণী অভয়ারণ্য’ ঘোষণা করেছে সরকার। এ দুটি জলাভূমি রাজশাহীর তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলায় রয়েছে। 

বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন শাখা-২ থেকে জারি করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী এই ঘোষণা কার্যকর হবে।

অভয়ারণ্য দুটি হলো রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিলজোয়ানা মৌজার ১ দশমিক ৬৫ একর জলাভূমি এবং গোদাগাড়ী উপজেলার বিলভালা মৌজার ১৫ দশমিক শূন্য ৮ একর জলাভূমি।

রাজশাহী বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্য প্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির জানান, বিলজোয়ানা ও বিলভালা শীতকালে দেশি ও পরিযায়ী পাখির অন্যতম আশ্রয়স্থল। এসব বিলে কালেম, কোড়া, ডাহুক, গুড়গুড়ি, জলপিপি, জলময়ূরের মতো দেশি জলচর পাখির পাশাপাশি বালিহাঁস, পাতিসরালি, বড় সরালি, পিয়াং হাঁস, খুন্তে হাঁস, ভুতিহাঁসসহ বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী হাঁস দেখা যায়। শতাধিক পাখি ছাড়াও উভচর, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর বসবাস রয়েছে এসব জলাভূমিতে। 

বন বিভাগ সূত্র জানায়, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মানবসৃষ্ট চাপে এই জলাভূমির জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। অভয়ারণ্য ঘোষণার ফলে এখন থেকে এই এলাকাগুলোতে পাখি ও বন্য প্রাণীর নিরাপদ আবাস নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থী, গবেষক ও প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জীববৈচিত্র্য শিক্ষাক্ষেত্রে পরিণত হবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জল ভ ম পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁচানো গেল না আহত নবজাতককে

পৃথিবীর আলোতে আসার এক দিনের মাথায়ই মারা গেছে সেই নবজাতক। বরগুনার আমতলীতে শনিবার দুপুরের দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিল সে। ওই দুর্ঘটনায় তার মা মোসাদ্দিকা বেগম, নানা আব্দুল আজিজ খান ও দাদি খালেদা বেগম মারা যান। শনিবার রাত ৯টার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে এ নবজাতক।

আব্দুল আজিজ খান আমতলীর মধ্য সোনাখালী গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে তাঁর মেয়ে মোসাদ্দিকা তৃতীয় কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় নবজাতককে পটুয়াখালী নেওয়ার পরামর্শ দেন স্থানীয় চিকিৎসকরা। শনিবার দুপুর ২টার দিকে তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি কেওয়াবুনিয়া হাই স্কুলের উত্তর পাশে দুর্ঘটনার শিকার হয়। পেছন থেকে ঢাকাগামী ইকরা লাক্সারি লিমিটেডের বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৮৯৫৩) ধাক্কায় সেটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আজিজ খান ও খালেদা বেগম প্রাণ হারান। হাসপাতালে মারা যান মোসাদ্দিকা। 

গুরুতর আহত হন মোসাদ্দিকার স্বামী মো. জাহিদুল ইসলাম, তাঁর নবজাতক মেয়ে ও অটোরিকশাচালক মো. আব্দুল হক। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাদের। সেখানেই নবজাতক মারা যায়। ওই হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. ওয়াহিদ শামীমের ভাষ্য, শিশুটি দুর্ঘটনায় মাথা-মুখসহ শরীরের নানা স্থানে আঘাত পায়। দীর্ঘ সময় পানিতে পড়ে থাকায় শরীরের তাপমাত্রাও কমে গিয়েছিল। আইসিইউতে রাখা হলেও বাঁচানো যায়নি শিশুটিকে। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন।

ঝরল আরও সাতজনের প্রাণ

রোববার গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে তিনজনের। বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার টুকুবাজারে প্রাণ যায় সরোয়ার খাঁ (৯০) নামের এক ব্যক্তির। শনিবার রাত ১২টার পর একই মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে দুটি দুর্ঘটনায় নিহত হন বিপুল কুমার পাল (৫২) ও শাওন শেখ (১৮)।

এদিকে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কনটেইনারবাহী লরির পেছনে ধাক্কা খেয়ে প্রাণ গেছে ড্রাম ট্রাকের চালক ও সহকারীর। রোববার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঠাকুরদিঘি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন ট্রাকের চালক ফারুক হোসেন (৪০) ও সহকারী ররিউল ইসলাম (৩৫)।
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা একটি বাসে চারটি গাড়ি ধাক্কা খেলে প্রাণ যায় দু’জনের। তারা সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের বাগুন্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. টিপু সুলতান জানান, যানবাহনগুলো দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো উদ্ধার করে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের একাধিক দল।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ