ঈদুল আজহায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ২১ মে
Published: 8th, May 2025 GMT
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ২১ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত সাত দিন রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সময় ৩১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত চলাচলকারী আন্তনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। এবারও ঈদযাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, রেলের পূর্বাঞ্চলের (ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ) ট্রেনগুলোর অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে সকাল ৮টায়, চলবে দুপুর ২টার আগ পর্যন্ত। দুপুর ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলের (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ) টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এবার ফিরতি যাত্রায় রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে ৩০ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত। ৭ জুন সম্ভাব্য ঈদের দিন ধরেই টিকিট বিক্রির এই সূচি তৈরি করা হয়েছে।
রেলের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংস্থাটির কর্মকর্তারা নিজেরা বৈঠক করে প্রাথমিক সূচি তৈরি করেছেন। আগামী সোমবার বিদ্যুৎ ভবনে ঈদযাত্রা নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে পারেন।
রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সূচি অনুসারে, ২১ মে বিক্রি করা হবে ৩১ মে চলাচলকারী ট্রেনের টিকিট। ১ জুনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে ২২ মে। একইভাবে ২৩ মে বিক্রি হবে ২ জুনের, ২৪ মে বিক্রি হবে ৩ জুনের, ২৫ মে বিক্রি হবে ৪ জুনের, ২৬ মে পাওয়া যাবে ৫ জুনের এবং শেষ দিন বিক্রি হবে ৬ জুনের অগ্রিম টিকিট।
ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট একজন ব্যক্তি একবারই কাটতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। অগ্রিম টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। ট্রেন চলাচলের দিন আসনের অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ দাঁড়িয়ে ভ্রমণের (স্ট্যান্ডিং) টিকিট বিক্রি করা হবে। এসব টিকিট অনলাইনে নয়, স্টেশনের কাউন্টার থেকে কাটতে হবে।
ঈদযাত্রা হবে সাত দিন। অনলাইনে বিক্রি করা হবে শতভাগ টিকিটএকজন সর্বোচ্চ একবার এবং চারটি টিকিট কাটতে পারবেন।
ঈদ যাত্রা শুরু হবে ৩১ মে থেকে।
কোরবানির পশু পরিবহনে তিনটি ট্রেন চলাচল করবে
সাধারণত আন্তনগর ট্রেনের টিকিট যাত্রার ১০ দিন আগে বিক্রি শুরু হয়। তবে ৭ ও ৮ জুনের ট্রেনের টিকিট ঈদুল আজহার চাঁদ দেখার পর ঠিক করা হবে। কারণ, ঈদের দিন কোনো আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে না। ঈদের পরদিন সীমিত কিছু ট্রেন চলাচল করে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঈদে ৪৩টি আন্তনগর ট্রেন প্রতিদিন ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে। এসব ট্রেনে মোট আসনসংখ্যা ৩৩ হাজার ৩১৫টি। অর্থাৎ প্রতিদিন ৩৩ হাজারের বেশি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।
বিশেষ যাত্রীবাহী ও পশুবাহী ট্রেন
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকায় কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য ‘ক্যাটল স্পেশাল’ নামে তিনটি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। এর মধ্যে ক্যাটল স্পেশাল-১ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে ২ জুন বিকেল ৫টায় ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে। জামালপুরের ইসলামপুর থেকে দ্বিতীয় ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে। দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে পরদিন বিকেল পাঁচটায় পশুবাহী তৃতীয় ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে।
ঈদ উপলক্ষে ১০টি যাত্রীবাহী বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে রেলওয়ে। এর মধ্যে তিস্তা স্পেশাল ট্রেন ৪ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ বাজারের মধ্যে চলাচল করবে। একই সময়ে চট্টগ্রাম–চাঁদপুর পথে চলাচল করবে চাঁদপুর স্পেশাল। ঈদের পর ফিরতি যাত্রার যাত্রীদের জন্য এই বিশেষ ট্রেনগুলো ৯ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে। একই সূচি মেনে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত পার্বতীপুর স্পেশাল নামে দুটি ট্রেন চলাচল করবে।
ঈদের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজের সুবিধার্থে ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ পথে চারটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে।
আরও যে সব উদ্যোগ
ঈদ উপলক্ষে ৩ জুন থেকে ঈদ পর্যন্ত সব আন্তনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ বাতিল করা হবে। ঈদে বাড়তি যাত্রীর চাহিদা পূরণে পাহাড়তলী কারখানা থেকে ২৯টি মিটারগেজ ও সৈয়দপুর কারখানা থেকে ১৫টি ব্রডগেজ কোচ ট্রেনে সংযোজন করা হবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সময়মতো ট্রেন পরিচালনায় জোর দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর জন্য বিভাগীয় ও আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পৃথক পৃথক পর্যবেক্ষক সেল গঠন এবং কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঈদয ত র উপলক ষ র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাকৃতিক অক্সিজেন রক্ষা দিবস উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের ছাত্র-যুব সমাবেশ
‘প্রাকৃতিক অক্সিজেন রক্ষা দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েস আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক ছাত্র-যুব সমাবেশ ও র্যালির আয়োজন করে।
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন গ্রীন ভয়েসের সহসমন্বয়ক আরিফুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মো. আলমগীর কবির।
সমাবেশে বিশেষ বক্তা ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাপার নির্বাহী সদস্য জাভেদ জাহান, যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম, সাংবাদিক ও গবেষক আনিস রায়হান প্রমুখ।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, উন্নয়নের নামে গাছ কাটা এখন যেন রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার প্রশ্নে কোনো রাজনৈতিক দল বা মতের বিভেদ নয়, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিবেশবান্ধব আন্দোলনে নামতে হবে।
গ্রীন ভয়েসের সমন্বয়ক আলমগীর কবির বলেন, অক্সিজেন ছাড়া জীবন অসম্ভব। অথচ এই অক্সিজেন সরবরাহকারী গাছগুলোই উন্নয়নের নামে কেটে ফেলা হচ্ছে। ব্যক্তিস্বার্থ, ধর্মীয় উসকানি বা ভ্রান্ত ধারণায় যারা পরিবেশ ধ্বংস করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আজকের সমাবেশে ঢাকা শহরের অন্তত ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশ শেষে একটি সচেতনতামূলক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।