জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ও গ্রামীণ ইউগলেনার ইউগলেনা জিজি লিমিটেডের মধ্যে যৌথ গবেষণা, উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অফিসের কনফারেন্স রুমে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
গ্রামীণ ইউগলেনার ইউগলেনা জিজি-লিমিটেডের পক্ষে সহ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শিওরি ওনিশি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
ঢাবির ৪০ শতাংশ শিক্ষক আন্তর্জাতিক মানের: উপাচার্য
প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফরে প্রাধান্য পাবে যেসব বিষয়
এই চুক্তির আওতায় উভয় প্রতিষ্ঠান জিআইএস, রিমোট সেন্সিং, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশগত ও সামাজিক গবেষণা ক্ষেত্রে যৌথভাবে গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এছাড়া, জবির শিক্ষার্থীরা ইউগলেনার আধুনিক প্রযুক্তি ও সামাজিক উদ্যোগ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ ও ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাবে।
এ সহযোগিতার ফলে আন্তঃবিষয়ক গবেষণা ও আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। বিশেষ করে জাপানের ইউগলেনা কোম্পানির সঙ্গে কার্যকর সংযোগ স্থাপন হবে। সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ প্রাথমিকভাবে দুই বছর নির্ধারিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, গ্রামীণ ইউগলেনার ইউগলেনা জিজি লিমিটেডের অপারেশন প্রধান মো. নাজমুস সাদাত, ডেপুটি ম্যানেজার মোকশিমুল ফাহিম প্রমুখ।
বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক অধ্যাপক ড. নাছির আহমাদের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের।
জবি উপাচার্য বলেন, “এই চুক্তি দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গবেষণা ও পরিবেশগত উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। শিক্ষার্থীরা কৃষি ও পরিবেশগত প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হয়ে আরো সমৃদ্ধ হবে।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য পর ব শ সমঝ ত
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)