জকসু নির্বাচনের দাবিতে জবি ছাত্র ফ্রন্টের গণভোট
Published: 8th, May 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন ভাতা চালু ও বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংস্কার করে জকসু নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে গণভোট কর্মসূচি শুরু করেছে শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
গণভোটে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের কাছে দুইটি প্রশ্ন রাখা হয়েছে। প্রথমত, তারা কি শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন ভাতা চান? দ্বিতীয়ত, তারা কি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংস্কার করে জকসু নির্বাচন চান?
আরো পড়ুন:
সেমিনারে অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেলেন জবি শিক্ষার্থী
‘শিশুদের সঠিক শিক্ষা দিলে দেশ ভবিষ্যতে ভালোর দিকে আগাবে’
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, “সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে আয়োজিত গণভোটে অংশগ্রহণ করেছি। শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন ভাতা এখন সময়ের দাবি। অনেকেই মেস বা বাসাভাড়া দিতে হিমশিম খায়। পাশাপাশি, জকসু নির্বাচন না থাকায় শিক্ষার্থীদের মতামত নীতিনির্ধারণে প্রতিফলিত হচ্ছে না। তাই এই দুই দাবি বাস্তবায়ন জরুরি।”
জবি শাখা ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ বলেন, “আসন্ন বাজেটে আবাসন ভাতা বরাদ্দ ও বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংস্কার করে জকসু নির্বাচনের দাবিতে আমরা এই সাত দিনব্যাপী গণভোট কর্মসূচি শুরু করেছি। শিক্ষার্থীদের সাড়া ইতিবাচক, তাদের মতামত ক্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে প্রশাসনের সামনে তুলে ধরা হবে। এটি চলমান আন্দোলনেরই একটি অংশ।”
শাখা ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসিভ বলেন, “দাবিগুলো জনপ্রিয় করে তোলা ও ভবিষ্যৎ আন্দোলনের জনমত গঠনই এই গণভোটের মূল উদ্দেশ্য। শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণে কর্মসূচি শুরু হয়েছে, যা চলবে এক সপ্তাহ ধরে। আগামী ১৮ মে আলোচনা সভায় ফলাফল ঘোষণা করা হবে।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত র ফ রন ট র গণভ ট
এছাড়াও পড়ুন:
খালে লাশ পাওয়ার পর দাফন, এক সপ্তাহ পর জানা গেল তিনি জীবিত
গত শনিবার চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাই খাল থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববার উবায়দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি এসে নিজের ছেলে আব্দুর রহিম পরিচয় দিয়ে লাশ নিয়ে যান ভোলায়। সেখানে দাফনও করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার জানা যায়, আব্দুর রহিম পরিচয়ে যাকে ছয়দিন আগে দাফন করা হয়েছে তিনি জীবিত। পাওনা টাকা দিতে না পেরে মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। ছেলে নিখোঁজ হওয়ায় তার বাবা মনে করেছিলেন ছেলে খুন হয়েছেন। তাই নিজের ছেলে মনে করে নিয়ে গিয়ে দাফন করেছেন।
উবায়দুল্লাহ জানান, তার ছেলে চট্টগ্রামে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। পহেলা মে সকালে একটি ফোন পেয়ে বের হয়ে কর্মস্থল থেকে নিখোঁজ হন। তার দাবি ছিল তার ছেলে অনলাইন জুয়াড়ির খপ্পরে পড়েছিলেন। তাদের হাতে তিনি খুন হতে পারেন। কোতোয়ালী থানা পুলিশও তাকে লাশ বুঝিয়ে দেন। তিনি লাশ ভোলায় নিয়ে যান। সেখানে দাফন করেন।
বৃহস্পতিবার নির্মাণ শ্রমিক আব্দুর রহিমের নাম্বারটি সচল পেয়ে যাচাই করতে গিয়ে তাকে জীবিত দেখতে পান পিবিআই। তারা তাকে হেফাজতে নেন। তিনি পিবিআই কর্মকর্তাদের জানান, পাওনা টাকা দিতে না পেরে তিনি মোবাইল বন্ধ রেখে লুকিয়ে ছিলেন। পরে তার বাবাকে ডেকে আনা হয়। দুইজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আব্দুর রহিমের বাবা উবায়দুল্লাহ পিবিআই কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, খোঁজাখুজি করেও ছেলের হদিস না পাওয়ায় লাশটি তার ছেলের মনে করেছিলেন। লাশটি বিকৃত থাকায় ছেলের লাশ বলে ভুল করে ছিলেন। তার অন্যকোন উদ্দেশ্য ছিল না। পিবিআইয়ের তদন্তেও তা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, খাল থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের পর ছায়া তদন্ত শুরু করে পিবিআই। আব্দুর রহিমের মোবাইল চালু হলে যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে জানা যায় তিনি জীবিত। পরে বাবা-ছেলেকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ছেলে জানিয়েছে পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচতে মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে ছিলেন। বাবা জানিয়েছেন তিনি ছেলেকে চিনতে ভুল করেছেন।
তিনি জানান, যার লাশ দাফন করা হয়েছে তার ডিএনএ সংগ্রহ করা আছে। লাশটির দাবিদার পাওয়া গেলে ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে।